Sankrail Incident: ব্লকের বিডিওই নিলেন শিক্ষাদানের দায়িত্ব!

জেলা রাজ্য শিক্ষা

নিউজ পোল ব্যুরো: ৩ এপ্রিল সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court) বাতিল করেছে প্রায় ২৬ হাজার শিক্ষক নিয়োগ, যা রাজ্যের শিক্ষা ব্যবস্থায় এক গভীর সংকট সৃষ্টি করেছে। এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি মামলা (SSC Recruitment Scam) জটিলতার পরিপ্রেক্ষিতে এই রায় আসার পর রাজ্যের সরকারি সাহায্যপ্রাপ্ত স্কুলগুলি (State-aided Schools of West Bengal) পড়েছে ভয়ঙ্কর দুশ্চিন্তার মধ্যে। বহু শিক্ষক, যাদের চাকরি বাতিল হয়েছে, তারা চরম মানসিক চাপে ভুগছেন। কেউ কেউ স্কুলে উপস্থিত থাকলেও, অনেকে আর স্কুলমুখো হচ্ছেন না। এর ফলে শিক্ষার্থীদের পড়াশোনায় পড়েছে মারাত্মক প্রভাব (Sankrail Incident)।

আরও পড়ুন:- Bankura: অরণ্যের বুকে লোকনাথ ধামের যাত্রা! জয়পুরে ইতিহাসের নতুন অধ্যায়

এই অস্থিরতার মধ্যেই সাঁকরাইল ব্লকের (Sankrail Block) এক ব্যতিক্রমী ঘটনা এখন রাজ্যের শিক্ষাক্ষেত্রে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে। সাঁকরাইল ব্লকের বিডিও (Block Development Officer), রোহন ঘোষ (Rohan Ghosh), নিজেই স্কুলে গিয়ে শিক্ষকের চেয়ারে বসে পড়াতে শুরু করেছেন ছাত্র-ছাত্রীদের। সূত্রের খবর, বহড়াদাঁড়ি জুনিয়র হাই স্কুলের (Baharadari Junior High School) এক শিক্ষক কিসুন বেসরার (Kishun Besra) নামও চাকরি বাতিল হওয়া তালিকায় রয়েছে। তার ফলে স্কুলটি কার্যত বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। শিক্ষক অনুপস্থিত থাকায় পাঠদান বন্ধ হয়ে গিয়েছিল স্কুলটিতে। এই পরিস্থিতিতে চুপ করে বসে থাকেননি বিডিও রোহন ঘোষ। প্রশাসনিক দায়িত্ব সামলানোর পাশাপাশি তিনি নিজেই স্কুল খুলে, ছাত্র-ছাত্রীদের বাড়ি থেকে ডেকে এনে ক্লাস নেওয়া শুরু করেন। ছাত্রদের ভবিষ্যতের কথা ভেবেই এই পদক্ষেপ নিয়েছেন তিনি। তার মতে, “স্কুল বন্ধ থাকলে ক্ষতি হবে ছাত্রদের, তাই এই দায়িত্ব আমি নিয়েছি।”

নিউজ পোল বাংলা ইউটিউব লিঙ্ক:- https://youtube.com/@newspolebangla?si=mYrQvXTBQ1lG3NFT

যেখানে একদিকে চাকরি হারানো শিক্ষকরা আন্দোলনে নেমেছেন, রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ জানাচ্ছেন, অন্যদিকে বিডিওর এই মানবিক উদ্যোগ (Sankrail Incident) সত্যিই প্রশংসনীয়। ছাত্রদের মনোবল বাড়াতে এবং পরীক্ষার প্রস্তুতিতে যাতে ব্যাঘাত না ঘটে, সেজন্য তিনি নিজেই ব্লকের দায়িত্ব সামলে স্কুলে সময় দিচ্ছেন। মুখ্যমন্ত্রী (Chief Minister) মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আশ্বাসের পর অনেক শিক্ষক স্কুলে ফিরলেও, এখনো বহু জায়গায় অনুপস্থিত শিক্ষক-শিক্ষিকাদের কারণে পাঠদান বিঘ্নিত হচ্ছে। কিন্তু সাঁকরাইলের এই ছবি আলাদা বার্তা দিচ্ছে গোটা রাজ্যকে।