Murshidabad: ধুলিয়ানে ফের চলল গুলি, মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কথা রাজ্যপালের

রাজনীতি রাজ্য

নিউজ পোল ব্যুরো: নতুন করে অগ্নিগর্ভ মুর্শিদাবাদ (Murshidabad)! ধুলিয়ানে ছড়ালো উত্তেজনার ছায়া। ওয়াকফ আইন (Waqf Bill) প্রত্যাহারের দাবিতে রাজপথে নেমে জনতা বিক্ষোভে ফেটে পড়েছে। শুক্রবার জঙ্গিপুর থেকে শুরু। আর শনিবার তা ভয়াবহ রূপ নেয় ধুলিয়ানে। একের পর এক হামলা, বিক্ষোভ, ভাঙচুর আর পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে গোটা শহর।

আরও পড়ুন: Nawsad Siddique: ভয়াবহ দুর্ঘটনার পর কেমন আছেন ভাঙড়ের বিধায়ক?

একটি বেসরকারি হাসপাতালে হামলা চালিয়ে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। ধুলিয়ান পুরসভার দফতরে ব্যাপক ভাঙচুর চলে। শুধু তাই নয়, স্থানীয় বিধায়ক মণিরুল ইসলামের দাদা কাওসার আলির বাড়িও রেহাই পায়নি উত্তেজিত জনতার হাত থেকে। এদিকে শান্তি ফেরাতে নামানো হয় পুলিশ (Police) এবং বিএসএফ (BSF)। আর সেখানেই অভিযোগ, বিএসএফ (BSF) নির্বিচারে গুলি চালায়। গুলিতে আহত হন দুজন। যার মধ্যে একজন নাবালক। মুদ্দিন শেখ নামে এক যুবকের পায়ে গুলি লাগে। হাসান শেখ নামে এক কিশোরও আহত হয়ে ভর্তি রয়েছে হাসপাতালে।

মালদহের (Malda) অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মহম্মদ জামালও আহত হন বলে সূত্রের খবর। ১৬৩ ধারা কার্যকর থাকা সত্ত্বেও অবরোধ করে জনতা। চলতে থাকে ইটবৃষ্টি, বোমাবাজি। পুলিশের লাঠিচার্জ, কাঁদানে গ্যাসের পাল্টা জবাবে পরিস্থিতি আরও অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে।

প্রশ্ন উঠছে প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে। সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা কোথায়? কেন্দ্রীয় বাহিনীর ভূমিকা নিয়েও দেখা দিয়েছে বিতর্ক। রাজ্য সরকার কীভাবে সামাল দেবে এই পরিস্থিতি? মুর্শিদাবাদ যেন হয়ে উঠেছে রাজনৈতিক আগুনে ঝলসে ওঠা এক মঞ্চ। যেখানে সাধারণ মানুষের রক্তেই লেখা হচ্ছে নতুন উত্তেজনার ইতিহাস। এখন প্রশ্ন একটাই, শান্তি কবে ফিরবে এই জেলায়?

নিউজ পোল বাংলা ইউটিউব লিঙ্ক: https://youtube.com/@newspolebangla?si=mYrQvXTBQ1lG3NFT

সম্প্রতি কার্যকর হওয়া ওয়াকফ সংশোধনী আইন ঘিরে রাজ্যের একাধিক জেলায় দানা বাঁধছে অশান্তি। মালদহ, মুর্শিদাবাদ (Murshidabad) থেকে শুরু করে দক্ষিণ ২৪ পরগনা বিক্ষোভের আগুনে জ্বলছে একের পর এক এলাকা। কোথাও গাড়ি ভস্মীভূত, কোথাও ছোঁড়া হচ্ছে বোমা। শুক্রবার মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) সুতি ও সামসেরগঞ্জ এলাকায় বিকেলের দিকে একাধিক বিস্ফোরণের শব্দে কেঁপে ওঠে জনপদ। তাণ্ডবের মাঝেই গুলিবিদ্ধ হন এক কিশোর সহ দুজন কে গুলি চালাল, তা এখনও ধোঁয়াশায়।

অন্যদিকে, দক্ষিণ ২৪ পরগনার আমতলায় দুপুরের পর থেকে অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে রাস্তা। উত্তাল জনতার রোষ গিয়ে পড়ে পুলিশের উপরেও। ভাঙচুর চালানো হয় পুলিশের গাড়িতে। এই জটিল পরিস্থিতিতে মুখ খুলেছেন রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস। এক ভিডিও বার্তায় তিনি জানিয়েছেন, রাজ্য প্রশাসনকে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। একইসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) সঙ্গে তাঁর ‘গোপন বৈঠক’-এর কথাও উল্লেখ করেছেন রাজ্যপাল, যদিও বৈঠকের বিস্তারিত তুলে ধরেননি তিনি।

পরিস্থিতি ক্রমশ জটিল হচ্ছে, প্রশাসনের উপর চাপ বাড়ছে। রাজ্যপালের হস্তক্ষেপে রাজনৈতিক মহলে আলোচনার ঝড় বইছে। এখন দেখার এই অস্থিরতা কত দ্রুত নিয়ন্ত্রণে আসে।