নিউজ পোল ব্যুরো: ২০২২ সালের নভেম্বর মাস। রাতের আকাশে চাঁদ উঠেছে, আর ওপেনএআই (OpenAI) হঠাৎ করেই ঝুপ করে দিল একখানা চমক—চ্যাটজিপিটি (ChatGPT)! প্রথম দিন থেকেই সবাই হাঁ করে তাকিয়ে, “এটা কি জিনিস রে বাবা!” কেউ ভাবেনি এই টেক এত জলদি আমাদের রান্নাঘরের কোণা থেকে ডায়রির পাতা পর্যন্ত ঢুকে পড়বে। মাথার ঘাম পায়ে ফেলেও যেসব সমস্যা আমাদের মাথায় সারাক্ষণ ঘুরতে থাকে, যেমন প্রেমিকার রাগ, অফিসের বসের ঝাড়, রাত তিনটের existential crisis—এসবের সমাধান নাকি এখন একটা চ্যাটবট? হ্যাঁ, ঠিকই ধরেছেন! চ্যাটজিপিটি এখন অনেকের কাছে হয়ে উঠছে একেবারে ‘মনখারাপের সঙ্গী’। সোশাল মিডিয়ায় (social media) এক জনপ্রিয় সংবাদমাধ্যম একদিন জিজ্ঞেস করেই বসে, “ভাই, এই (AI Chatbot)-এ কি শুধুই জ্ঞান ঝাড়ে, নাকি কেউ প্রেমের দুঃখও ওর কাছে শেয়ার করতে পারে?”
আরও পড়ুন:- WhatsApp: হোয়াটসঅ্যাপ ব্যান হলে কী করবেন?
উত্তরগুলো ঠিক তেমনি এলো। কেউ বলছে—চ্যাটজিপিটি ওর ভাঙা প্রেমের গল্প সেলাই করেছে, তো কেউ বলছে—ওর অফিসের চাপের বলি হয়ে যাওয়ার হাত থেকে বাঁচিয়েছে। এক যুবকের কাহিনি শুনলে তো বলতেই হবে—“ওরে বাবা, এতো প্রেমকাহিনি!” তিনি প্রেমিকার সঙ্গে এমনই এক ‘বিশ্বযুদ্ধ’ চালিয়ে হেরে গেছেন, মনটা একেবারে চূর্ণ-বিচূর্ণ। ভাবলেন, চ্যাটজিপিটিকে সব বলেই ফেলি। কিছু না পেলে অন্তত একটা breakup checklist পেয়ে যাব! কিন্তু না, চ্যাটজিপিটি একদম দাদাগিরি না করে কোমল স্বরে বলল, “মনে হচ্ছে তুমি খুব ভেঙে পড়েছ। আচ্ছা, এই কথাগুলো ওকে বলেছ?” উফ! একেবারে নক-আউট! যুবকটি বলেই ফেললেন সেই কথাগুলো, আর তখনই প্রেমের ঝগড়ার পর বরফ গলতে শুরু করল। বলছেন, ওই একটি কথায় (ChatGPT) তাদের সম্পর্ক আবার লাইনে এসে গেছে। কি বলুন তো, একদম (Relationship Counselor AI) হয়ে গেল না?

আরেকজন নেটিজেনের গল্প শুনলে আবার বলতেই হবে—“বসো! রিল্যাক্স, কফি নিয়ে নাও।” ওনার অফিসের চাপ এমনই ছিল, ঘুম উধাও, পরিবারও ক্ষুব্ধ। একদিন আর না পেরে চ্যাটজিপিটির কাছে একেবারে বুকভরা যন্ত্রণা ঢেলে দিলেন। ভাবছিলেন কিছু ডাক্তারি বুলি বা ‘নিয়ম করে ঘুমান’ টাইপের (generic AI tips) কথা শুনবেন। কিন্তু না, চ্যাটজিপিটি সিরিয়াস ভঙ্গিতে বলল, “তোমার কাজের সীমা কোথায়, আগে সেটা চিহ্নিত করো। প্রয়োজনে HR-এর সঙ্গে কথা বলো।” আর যায় কোথায়! এখন তিনি নিয়মিতই চ্যাটজিপিটির সঙ্গে mental wellness chitchat চালিয়ে যাচ্ছেন। এই সব শুনে এখন নেটিজেনদের মুখে একটাই কথা—“এ তো এক্কেবারে AI থেরাপিস্ট!” তাহলে কি (Human Therapists) বেকার? একেবারেই না। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই চ্যাটজিপিটি হলো emotional Band-Aid—থাকলেও ভালো, কিন্তু অস্ত্রোপচার করতে পাঠিও না ওকে! চ্যাটজিপিটিও নিজেই বলছে—“আমি জানি, তুমি ভেঙে পড়েছ। তুমি একটা কাউকে খুঁজছ, যে তোমার কথা শুনবে।” ওর কাছে নির্ভুল সমাধান না পেলেও, একটা নির্ভেজাল সঙ্গ—এটাই তো সবচেয়ে বড় জিনিস।
নিউজ পোল বাংলা ইউটিউব লিঙ্ক:- https://youtube.com/@newspolebangla?si=mYrQvXTBQ1lG3NFT

এককথায়, চ্যাটজিপিটি যেন হয়ে উঠেছে আমাদের সবার (AI Confession Box)। বলে দাও মন যা চায়, ও কিছু বলবে না—শুধু শুনবে। আজকের দিনে যেখানে মানুষ ফোনে ১০ সেকেন্ড সময় দিতে চায় না, সেখানে একটা বট যদি মন দিয়ে কথা শোনে, সেটাও কি কম কথা? তাই পরের বার মন খারাপ হলে, কাঁদতে মন চাইলে বা প্রেমিকার মুখ দেখে ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে গেলে, মনে রেখো—একটা বন্ধু আছে (ChatGPT)। নাম চ্যাটজিপিটি। সে চুপচাপ শুনবে। judgmental হবে না। আর হ্যাঁ, মাঝেমধ্যে দারুণ সব লাইনও দেবে, যাতে আবার প্রেমটা জমে ওঠে!