নিউজ পোল ব্যুরো: অপারেশন সিঁদুরের (Operation Sindoor) মাধ্যমে পহেলগাঁওয়ের জঙ্গি হামলার ঘটনার বদলা নেওয়া শুরু ভারতের। মঙ্গলবার মধ্যরাতে গোটা দেশ যখন নিদ্রামগ্ন ঠিক তখনই শত্রুর ঘাঁটিতে আঘাত হানে ভারতীয় সেনা (Indian Army)। শক্তিশালী ক্ষেপণাস্ত্র (Missile) প্রয়োগ করে উড়িয়ে দেওয়া হয়েছে পাকিস্তান (Pakistan) এবং পাক অধিকৃত কাশ্মীরের (POK) ৯টি জঙ্গি ঘাঁটি। এবারে এই প্রত্যাঘাতের নেপথ্য ব্যখ্যা দিলেন ভারতের বিদেশসচিব বিক্রম মিশ্রি (Vikram Misri)।
আরও পড়ুনঃ Operation Sindoor Update: ভারতীয় সেনাবাহিনীর পাকিস্তানে সন্ত্রাসী শিবিরে আঘাত
মঙ্গলবার মধ্যরাতে অপারেশন সিঁদুরের (Operation Sindoor) পর বুধবার সকালে সেনার সাংবাদিক বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন ভারতীয় বিদেশসচিব। সেখানে তিনি সাফ জানিয়ে দেন, ভারত নিজেদের অধিকার প্রয়োগ করে যা করেছে সেটা ন্যায়বিচার। যা আবশ্যক ছিল। তাঁর কথায়, “পাকিস্তান সন্ত্রাসবাদকে মদত দেয়। সেই দেশে জেনেশুনেই সন্ত্রাসবাদীদের লুকিয়ে রাখা হয়। পহেলগাঁওয়ের ঘটনার পর ন্যায়বিচার আবশ্যক ছিল। ওই ঘটনার পরেও পাকিস্তান কোনও পদক্ষেপ নেয়নি সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে। বরং পহেলগাঁওয়ের ঘটনার সঙ্গে নিজেদের যোগাযোগ অস্বীকার করেছে।”

ভারতীয় বিদেশ সচিব এও জানান, “আমাদের কাছে খবর ছিল যে আগামী দিনেও হামলা হতে পারে ভারতে। তাই এই প্রত্যাঘাত জরুরি ছিল। নিজের অধিকার প্রয়োগ করে এই জবাব দিয়েছে ভারত। সন্ত্রাসবাদের কাঠামোকে ধ্বংস করার উদ্দেশ্যেই এই হামলা।” তিনি আরও বলেন, “মুম্বই হামলার পর পহেলগাঁওয়ের ঘটনাই সবথেকে বড় জঙ্গি হামলা। পরিবারের সামনে পুরুষদের গুলি করে মারা হয়েছে। জঙ্গি সংগঠন টিআরএফ হামলার দায় স্বীকার করেছে। জঈশ, লস্কর ইত্যাদি গোষ্ঠী এই ধরণের ছোট ছোট সংগঠনের মাধ্যমে কাজ করে। ভারতের এই জবাব তার বিরুদ্ধেই।”
নিউজ পোল বাংলা ইউটিউব চ্যানেলের লিংক: https://youtube.com/@newspolebangla?si=Ygy6shQubNhWstbr
অন্যদিকে ভারতীয় সেনার তরফ থেকে এই সাংবাদিক বৈঠকে এও জানানো হয়েছে যে কীভাবে হামলা চালানো হয়েছে। কর্নেল সোফিয়া, উইং কমান্ডার ব্যোমিকারা জানান, ‘অপারেশন সিঁদুরে’ (Operation Sindoor) পাকিস্তানের সেনা ঘাঁটি বা সাধারণ নাগরিকদের নিশানা করা হয়নি। শুধু নির্দিষ্ট কিছু জায়গাতে আঘাত হানা হয়েছে। যেগুলি লস্কর-ই-তৈবার প্রশিক্ষণকেন্দ্র। জানা গিয়েছে, কোটলিতে যে মসজিদে হামলা চালানো হয়েছে তা লস্করের অন্যতম ঘাঁটি।