নিউজ পোল ব্যুরো:রবিবার এক গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ‘নারী শক্তি’কে (Narendra Modi women empowerment speech) দেশের উন্নয়ন ও প্রগতির মূল চালিকা শক্তি হিসেবে তুলে ধরেন। তিনি বলেন, “ভারতের মা-বোনেরা আর শুধুমাত্র প্রতিকূলতার শিকার নন, বরং আধুনিক ভারতের নির্মাণে তাঁরা আজ অগ্রণী ভূমিকা পালন করছেন। শিক্ষা, কৃষি, প্রতিরক্ষা, ব্যবসা—সব ক্ষেত্রেই নারীরা নতুন নতুন ইতিহাস গড়ছেন।” তিনি ‘স্বচ্ছ ভারত অভিযান’, ‘জনধন প্রকল্প’, ‘উজালা যোজনা’, ও ‘বেটি বাঁচাও বেটি পড়াও’-এর মতো প্রকল্পগুলোর মাধ্যমে নারীর মর্যাদা, আর্থিক স্বনির্ভরতা ও নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করার দৃষ্টান্ত তুলে ধরেন।
আরও পড়ুন:https://thenewspole.com/2025/06/08/newton-das-bangladesh-india-citizenship-controversy/
প্রধানমন্ত্রীর এই বক্তব্য সামনে আসতেই বিরোধীরা পাল্টা আক্রমণে নামে। কংগ্রেস নেতা জয়রাম রমেশ অভিযোগ করেন, “প্রধানমন্ত্রী মুখে নারীর সম্মানের কথা বললেও, বাস্তবে তিনি সংবাদমাধ্যমের সামনে দাঁড়ানোর সাহস দেখান না। ১১ বছরে একবারও ‘আনডক্টর্ড’ প্রেস মিট করেননি।” তাঁর দাবি, “যাঁরা সত্যিকারের গণতন্ত্রে বিশ্বাস করেন, তাঁরা জনতার প্রশ্নের সম্মুখীন হন—মোদি তা করেন না।”
বিশেষ করে মণিপুরে দীর্ঘমেয়াদী হিংসা, নারী ও শিশুদের উপর নির্যাতনের প্রেক্ষিতে প্রধানমন্ত্রীর ‘নীরবতা’ বিরোধীদের কাছে বড় রাজনৈতিক অস্ত্র হয়ে উঠেছে। কংগ্রেসের দাবি, “মণিপুর জ্বলছে, নারীরা নির্যাতিত হচ্ছেন, আর প্রধানমন্ত্রী বিদেশ সফরে ব্যস্ত। এটা লজ্জাজনক ও অমানবিক।”
বিজেপির পক্ষ থেকে অবশ্য মোদীর বক্তব্যকে ‘দূরদর্শী নেতৃত্বের’ পরিচায়ক বলে দাবি করা হচ্ছে। তাঁদের মতে, এনডিএ সরকারের ‘নারী নেতৃত্বাধীন উন্নয়ন’ মডেলই ভবিষ্যতের ভারত গড়ার রূপরেখা দিচ্ছে।
নিউজ পোল বাংলা ইউটিউব লিঙ্ক:https://youtube.com/@newspolebangla?si=mYrQvXTBQ1lG3NFT
এই অবস্থায় রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, একদিকে মোদীর ‘উন্নয়ন ও নারী ক্ষমতায়ন’-এর বার্তা (Narendra Modi women empowerment speech) , অন্যদিকে বিরোধীদের তুলধোনা করা ‘নীরবতা ও জবাবদিহির অভাব’—এই দ্বন্দ্ব আগামী দিনে জাতীয় রাজনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলতে পারে। জনগণের আদালতে এখন প্রশ্ন—উন্নয়নের প্রচার জিতবে, না কি বাস্তব পরিস্থিতি ঘিরে ওঠা কঠিন প্রশ্ন? সময়ই দেবে উত্তর।