Suvendu Adhikari political statement:”নন্দীগ্রাম আমার মন্দির, আমি আপনাদের ছোট চৌকিদার” শুভেন্দুর আবেগময় বার্তা ২০২৬ ভোটের আগে রাজনীতিতে নতুন জোয়ার!

রাজনীতি রাজ্য

নিউজ পোল ব্যুরো:২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচন যতই এগিয়ে আসছে, রাজ্য রাজনীতির উত্তাপ ততই বাড়ছে। আর সেই উত্তাপের কেন্দ্রে বারবার উঠে আসছে নন্দীগ্রাম। রবিবার সেই রাজনৈতিক আবেগ ও কৌশলের মঞ্চেই পরিণত হয় নন্দীগ্রামের বিরুলিয়া। এখান থেকেই রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari political statement) ছুড়ে দেন একাধিক বার্তা—আবেগ, প্রতিশ্রুতি ও রাজনৈতিক অবস্থান মিশিয়ে।

আরও পড়ুন:https://thenewspole.com/2025/06/15/pune-bridge-collapse-mamata-abhishek-kunalghosh-statement/

সভা থেকে নিজেকে ‘ছোট চৌকিদার’ বলে উল্লেখ করে শুভেন্দু বলেন, “আমি আপনাদের ছোট চৌকিদার। দেশের বড় চৌকিদার নরেন্দ্র মোদী।” তাঁর এই বক্তব্য মোদীর জনপ্রিয় ‘চৌকিদার’ স্লোগানের সঙ্গে নিজেকে যুক্ত করার প্রয়াস, যার মাধ্যমে তিনি তুলে ধরেন জনগণের পাশে থাকার দায়বদ্ধতা।

তিনি আরও বলেন, “আমি হয়তো আনন্দে একবার আসব, কিন্তু দুঃখে সঙ্গে সঙ্গে চলে আসব।” তাঁর এই মন্তব্যে সাধারণ মানুষের সুখ-দুঃখে পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি স্পষ্ট।

নন্দীগ্রামের সঙ্গে তাঁর গভীর সম্পর্কের কথা উল্লেখ করে শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari political statement) বলেন, “আমার মন্দির নন্দীগ্রাম, আমার ভদ্রাসন নন্দীগ্রাম।” রাজনৈতিক মহলের মতে, এই বক্তব্য নিছক আবেগ নয়, বরং ২০২৬ সালের নির্বাচনের আগে নন্দীগ্রামের ভোটারদের প্রতি তাঁর অটল আনুগত্য ও সংযোগের বার্তা।

শুভেন্দুর মতে, তৃণমূল কংগ্রেসের দিন শেষ হয়ে এসেছে। তিনি বলেন, “আট মাস পর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মুখ্যমন্ত্রী থাকবেন না, প্রাক্তন হবেন।” এই মন্তব্যে একদিকে যেমন বিজেপির আত্মবিশ্বাস ফুটে ওঠে, তেমনই শাসক দলের বিরুদ্ধে তাঁর কড়া অবস্থানও স্পষ্ট হয়।

তিনি নন্দীগ্রামের জনগণের উদ্দেশে আবেদন করেন, “২০২৬ সালের লড়াইয়ে আপনাদের সহযোগিতা চাই। নন্দীগ্রামকে সুরক্ষিত রাখুন।” এই বক্তব্য তাঁর প্রচারের মূল সুর—নন্দীগ্রামের সুরক্ষা, উন্নয়ন এবং বিজেপির ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার প্রতিফলন।

নিউজ পোল বাংলা ইউটিউব লিঙ্ক:https://youtube.com/@newspolebangla?si=mYrQvXTBQ1lG3NFT

এদিন রাজ্য পুলিশের ভূমিকা নিয়েও কড়া ভাষায় সমালোচনা করেন শুভেন্দু। তাঁর অভিযোগ, পুলিশ শাসক দলের হয়ে পক্ষপাতদুষ্টভাবে কাজ করছে। এই অভিযোগ রাজ্য প্রশাসনের নিরপেক্ষতা নিয়ে বিতর্ককে আরও উস্কে দিতে পারে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।