নিউজ পোল স্পোর্টস ব্যুরো: আজ শুক্রবার পুণের মহারাষ্ট্র ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত চতুর্থ টি-২০ ম্যাচে ভারত ইংল্যান্ডকে ১৫ রানে পরাজিত করে সিরিজ জয় নিশ্চিত করেছে। টস জিতে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেয় ভারতীয় অধিনায়ক সূর্যকুমার যাদব। প্রথমে ব্যাট করে ভারত নির্ধারিত ২০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে ১৮১ রান সংগ্রহ করে। হার্দিক পান্ডিয়া ও শিবম মাভি ষষ্ঠ উইকেটে ৪৫ বলে ৮৭ রানের পার্টনারশিপ গড়ে দলের স্কোরকে সম্মানজনক স্থানে নিয়ে যান। দুজনেই ৫৩ রান করে অবদান রাখেন।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে ইংল্যান্ডের ইনিংসের শুরুটা ভালো হয়নি। ভারতীয় স্পিনারদের দাপটে ইংল্যান্ডের ব্যাটসম্যানরা নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকেন। হ্যারি ব্রুক ২৫ বলে হাফসেঞ্চুরি করলেও বরুণ চক্রবর্তীর স্পিনে পরাস্ত হয়ে প্যাভিলিয়নে ফেরেন। বরুণ একই ওভারে ব্রাইডন কার্সকেও আউট করেন। শেষ পর্যন্ত ইংল্যান্ডের ইনিংস থামে ১৪৬ রানে। এই জয়ের ফলে ভারত পাঁচ ম্যাচের সিরিজে ৩-১ ব্যবধানে এগিয়ে থেকে সিরিজ জয় নিশ্চিত করল। সিরিজের শেষ ম্যাচটি হবে আগামী সপ্তাহে। ভারতীয় দলের এই পারফরম্যান্স ক্রিকেটপ্রেমীদের মধ্যে নতুন আশার সঞ্চার করেছে।ম্যাচের সেরা খেলোয়াড় নির্বাচিত হন বরুণ চক্রবর্তী, যিনি তার স্পিন বোলিং দিয়ে ইংল্যান্ডের ব্যাটসম্যানদের চাপে রেখেছিলেন। তার বোলিং ফিগার ছিল ৪ ওভারে ২২ রানে ৩ উইকেট। বরুণের এই পারফরম্যান্স ভারতীয় দলের জয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে।ভারতীয় দলের এই জয়ে অধিনায়ক সূর্যকুমার যাদবের নেতৃত্ব প্রশংসিত হয়েছে।
তাঁর নেতৃত্বে দল গুছিয়ে নিয়েছে এবং তরুণ খেলোয়াড়দের সুযোগ দিয়ে ভবিষ্যতের জন্য একটি শক্তিশালী দল গড়ে তুলছে। বিশেষ করে অভিষেক শর্মা ও সঞ্জু স্যামসনের মতো খেলোয়াড়রা তাঁদের পারফরম্যান্স দিয়ে দলের জয়ে অবদান রাখছেন। ইংল্যান্ডের জন্য এই পরাজয় একটি বড় ধাক্কা। তাঁদের ব্যাটিং লাইনআপ ভারতীয় স্পিনারদের সামনে অসহায় মনে হয়েছে। বিশেষ করে জস বাটলারের নেতৃত্বাধীন দলের জন্য এটি একটি চিন্তার বিষয়। তাদের বোলাররা ভালো পারফরম্যান্স করলেও ব্যাটসম্যানদের ব্যর্থতা দলের পরাজয়ের কারণ হয়েছে। ভারতীয় দলের এই জয় আগামী বছরের টি-২০ বিশ্বকাপের প্রস্তুতির জন্য একটি বড় প্রেরণা। তরুণ খেলোয়াড়দের পারফরম্যান্স এবং দলের সমন্বয় ভবিষ্যতে আরও ভালো ফলাফলের আশা জাগাচ্ছে। বিশেষ করে স্পিন বোলিং বিভাগে বরুণ চক্রবর্তী ও অক্ষর পটেলের মতো খেলোয়াড়দের পারফরম্যান্স দলের শক্তি বাড়িয়েছে।
সিরিজের শেষ ম্যাচে ভারতীয় দল তাদের জয়ের ধারা অব্যাহত রাখতে চাইবে এবং ইংল্যান্ড দল সম্মান রক্ষার জন্য লড়াই করবে। দুই দলের মধ্যে এই প্রতিদ্বন্দ্বিতা ক্রিকেটপ্রেমীদের জন্য আরও উত্তেজনাপূর্ণ ম্যাচের আশা জাগাচ্ছে।