নিউজ পোল স্পোর্টস ব্যুরো: বৃহস্পতিবার বাংলাদেশের (Bangladesh) বিরুদ্ধে ম্যাচ দিয়ে তৃতীয়বার চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি (Champions Trophy 2025) জেতার লক্ষ্যে নামছে ভারত। এবারে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি আয়োজনের দায়িত্বে পাকিস্তান (Pakistan) থাকলেও রোহিতরা তাঁদের প্রত্যেকটি ম্যাচ খেলবেন দুবাইয়ের আইসিসি ক্রিকেট অ্যাকাডেমির মাঠে (Dubai ICC Cricket Ground)। বাংলাদেশের পর ২৩ ফেব্রুয়ারি চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী পাকিস্তানের বিরুদ্ধে নামবে টিম ইন্ডিয়া (Team India)। গ্রুপ লিগে তাদের শেষ ম্যাচ মার্চের ২ তারিখ নিউজিল্যান্ডের (New Zealand)বিরুদ্ধে। কিন্তু দুবাইয়ের (Dubai) পিচ নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। কারণ সাম্প্রতিককালে একাধিক ম্যাচ আয়োজিত হয়েছে দুবাইয়ে। যার ফলে রোহিতরা (Rohit Sharma) কতটা সতেজ পিচ (Dubai Pitch) পাবেন যা নিয়ে চিন্তায় ভারতীয় ক্রিকেট মহল।
গতবছর থেকে দুবাইয়ে (Dubai Pitch) একের পর এক টুর্নামেন্ট হয়েছে। অক্টোবরে মহিলাদের টি-২০ বিশ্বকাপ (ICC Womens T20 World Cup), নভেম্বরে পুরুষদের অনূর্ধ্ব উনিশ এশিয়া কাপ (U19 Asia Cup)এবং সদ্য সমাপ্ত হয়েছে আন্তর্জাতিক লিগ টি-২০ টুর্নামেন্ট (ILT20)। আইএলটি-২০ -তে ১৫ টি ম্যাচ হয়েছে দুবাইয়ে। ফলে স্বাভাবিকভাবেই দুবাইয়ের পিচ যে ভেঙেছে তা বলাই বাহুল্য। আর এইধরণের পিচে যতই দলে একাধিক স্পিনার (Spinner) থাকুকনা কেন খেলা সমস্যা। যে দলে মহম্মদ শামি (Mohammed Shami), হর্ষিত রানার (Harshit Rana)মত পেসাররা (Pacer) রয়েছেন সেখানে পিচ থেকে পর্যাপ্ত গতি ও বাউন্স না পেলে সমস্যায় পড়তে হবে ভারতীয় দলকে (Team India)।
সাধারণত দুবাইয়ের পিচ (Dubai Pitch)বরাবরই পেস সহায়ক। পিচ থেকে গতি ও সুইং দুই পাওয়া যায়। রানও ওঠে স্কোর বোর্ডে। সেখানে দলে একঝাঁক স্পিনার থাকলেও পুরনো পিচে খেলা হলে শামি-রানাদের গতি ও বাউন্স কাজে লাগাতে পারবেনা ভারত। আর এখানেই ভারতীয় টিম ম্যানেজমেন্টকে আশ্বস্ত করেছেন দুবাইয়ের পিচ কিউরেটর (Pitch Curator)। তিনি জানিয়েছেন, “এখানে দশটি পিচ রয়েছে। যার মধ্যে দুটি পিচ একেবারেই ব্যবহার করা হয়নি। নির্দেশ ছিল দুটি পিচ কে পুরোপুরি তাজা রাখার কারণ ওগুলো চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে (Champions Trophy)ব্যবহার করা হবে।“
নিউজ পোল বাংলা ফেসবুক পেজের লিংক: https://www.facebook.com/share/1EA79Afcw5/
অন্য আরেকটি সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, “যদিও নক-আউট পর্যায়ে ঐ দুটি পিচ ব্যবহার করা হয়েছে কিনা জানা নেই। তবে অতিরিক্ত ব্যবহারে পিচ যাতে তার নিজস্ব ধরণ না হারায় এবং বল নীচু না হয়ে যায় এই বিষয়টা খেয়াল রাখা হয়েছে। নতুন পিচ থেকে ব্যাটার এবং বোলাররা উভয়েই সাহায্য পাবেন।“ তবে নতুন পিচ যে শুধুমাত্র পেসারদেরই সাহায্য করে এমনটা নয়। যেসব স্পিনাররা গতি কাজে লাগিয়ে বল করেন তারাই নির্ণায়ক হয়ে ওঠেন এইধরণের পিচে। উল্লেখ্য পাঁচ স্পিনার বং তিন পেসারে দল সাজিয়েছে ভারত। ফলে দুবাইয়ের পিচ (Dubai Pitch)যাই হোক না কেন প্রস্তুত গুরু গম্ভীরের ছেলেরা।