নিউজ পোল ব্যুরো: আমাদের শরীরে দুটি কিডনি (Kidney) রয়েছে, যা রক্ত পরিস্কার, হরমোন উৎপাদন, খনিজ শোষণ, প্রস্রাব তৈরি এবং বিষাক্ত পদার্থ অপসারণের মতো গুরুত্বপূর্ণ কাজগুলো সম্পাদন করে। প্রতিটি কিডনির (Kidney) মধ্যে প্রায় ১০ লাখ ফিল্টার (Filter) থাকে, যা রক্ত (blood) পরিস্কার করার কাজ করে। কিডনি (Kidney) যদি কাজ করা বন্ধ করে দেয়, তবে শরীরে ইউরিয়া এবং ক্রিয়েটিনিন জমা হতে শুরু করে।
কিডনি আমাদের শরীরের অ্যাসিডের (acid) ভারসাম্য বজায় রাখারও দায়িত্বে থাকে। কিন্তু আজকাল অনিয়মিত খাদ্যাভ্যাস, দুষিত পানি এবং দূষণজনিত কারণে কিডনি দ্রুত ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। এর ফলস্বরূপ ডাক্তারদের ডায়ালাইসিস অথবা কিডনি প্রতিস্থাপনের পরামর্শ দিতে হয়। কিডনি সুস্থ রাখতে সুষম খাদ্য খাওয়া অত্যন্ত জরুরি। কিডনি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ হলেও কিছু অভ্যাস অজান্তেই আমাদের কিডনির ক্ষতি করে থাকে, যা সময়মতো সংশোধন করা সম্ভব। যদি সময়মতো অভ্যাসগুলো পরিবর্তন না করা হয়, তবে তা শরীরে যন্ত্রণা সৃষ্টি করতে পারে। এর জন্য কম পানি পান করা, বেশি লবণ খাওয়া এবং অনিয়মিত জীবনযাপন মূল কারণ হতে পারে।
এগুলো থেকে বোঝা যায় যে, কিডনি আমাদের শরীরের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ (Important)অঙ্গ (Part)। কিছু সাধারণ ভুল অভ্যাসের কারণে আমাদের কিডনি (Kidney) দ্রুত ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। চলুন, এমন ৫টি অভ্যাস (habit) সম্পর্কে জানি যেগুলো কিডনির ক্ষতি করে, এবং সেগুলো এড়িয়ে চললে কিডনির (Kidney) স্বাস্থ্যের (Health) উন্নতি হতে পারে।
১. কম জল পান করা: কিডনি রক্তকে ফিল্টার (filter) করতে পর্যাপ্ত পানির প্রয়োজন। কম পানি পানে শরীরে টক্সিন জমা হতে পারে, এছাড়া কিডনিতে পাথরের সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে। তাই, কিডনি সুস্থ রাখতে পর্যাপ্ত পানি পান করুন।
২. অতিরিক্ত মিষ্টি খাওয়া: বেশি মিষ্টি (Sweet) খাওয়ার ফলে প্রস্রাবে প্রোটিন নির্গত হয়, যা কিডনির (kidney) জন্য ক্ষতিকর। অতএব, মিষ্টির পরিমাণ কম রাখুন।
৩. ধূমপান: ধূমপান (Smoking)কিডনির রক্ত প্রবাহে বিঘ্ন ঘটায়, যা কিডনির কার্যকারিতা কমিয়ে দেয়। এটি এথেরোস্ক্লেরোসিস রোগের কারণও হতে পারে। তাই ধূমপান পরিহার করুন।
৪. ঘুমের অভাব: পর্যাপ্ত ঘুম কিডনির স্বাভাবিক কাজের জন্য প্রয়োজনীয়। ঘুমের অভাবে বিপাক প্রক্রিয়া ব্যাহত হয়, ফলে কিডনি ঠিকমতো কাজ করতে পারে না। তাই, নিয়মিত পর্যাপ্ত ঘুম নিন।
৫. অতিরিক্ত লবণ খাওয়া: বেশি লবণ গ্রহণ রক্তচাপ বাড়িয়ে দেয়, যা কিডনির (Kidney) উপর চাপ ফেলতে পারে। তাই, প্রতিদিন মাত্র ৫ গ্রাম লবণ খাওয়ার চেষ্টা করুন এবং লবণের পরিমাণ কমানোর চেষ্টা করুন। এটি কিডনিতে (Kidney) পাথর (Stone) প্রতিরোধেও সহায়ক হবে।
আরও পড়ুন: https://thenewspole.com/2025/02/18/anindita-roychowdhury-maternity-leave-tetulpata/
কিডনি (Kidney) সুস্থ রাখার ৩টি আশ্চর্যজনক প্রতিকার:
১. ক্রিয়েটিনিন এবং ইউরিয়ার মাত্রা কমাতে: নিম এবং পিপলের ছাল সমান পরিমাণে পিষে একসাথে ৪০০ মিলি পানিতে ফুটিয়ে নিন। যখন ১০০ মিলি পানি অবশিষ্ট থাকে, তখন তা ফিল্টার করে প্রতিদিন সকালে ও সন্ধ্যায় খালি পেটে পান করুন।
২. কিডনির যেকোনো সমস্যার সমাধান: ৫০ গ্রাম ভুট্টার খোসা (যা ভুট্টার মটরটি জড়ানো থাকে) নিয়ে ২ লিটার পানিতে কম আঁচে ফুটিয়ে নিন। যখন ১ লিটার পানি অবশিষ্ট থাকে, তা সারা দিন ধরে অল্প অল্প করে পান করুন। এতে কিডনির (Kidney) যেকোনো সমস্যা (Problem) দূর হবে।
৩. কিডনি কোষ পুনর্গঠন: ‘পুনর্নব’ বা সাতোদি সবজি কিডনি কোষ পুনর্গঠনে সহায়ক। এটি খাওয়ার মাধ্যমে মৃত কিডনি কোষ পুনর্জীবিত হয়। সবজিটি শুকিয়ে গুঁড়ো করে কোনো খাবারে (food) যোগ করলে, স্বাদও (Taste) বাড়বে।
এই সকল পদ্ধতি গ্রহণ করে আপনি কিডনি (Kidney) সুস্থ রাখতে সাহায্য করতে পারেন।