Elephant Detection System: রেলওয়ে ট্রায়ালে নতুন প্রযুক্তি ব্যর্থ!

জেলা রাজ্য

নিউজ পোল ব্যুরো: বাংলাদেশের (Bangladesh) উত্তর পূর্বাঞ্চলীয় অঞ্চলের রেলপথগুলি বন্যপ্রাণী, বিশেষ করে হাতির চলাচলের জন্য পরিচিত। এই এলাকাগুলোর রেলপথে হাতির সঙ্গে সংঘর্ষের (Conflict) ঘটনা যেন প্রতিদিনের সঙ্গী হয়ে উঠেছে, যা রেলওয়ের (Railway) জন্য এক বড় ধরনের চ্যালেঞ্জ (Challenge)। এই সমস্যা সমাধানের (Problem Solved) জন্য নর্থ ইস্ট ফ্রন্টিয়ার রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ একটি নতুন এবং উদ্ভাবনী পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে- হাতি সনাক্তকরণ সিস্টেম (Elephant Detection System)।

আরও পড়ুন:Mamata Banerjee: অক্সফোর্ডে সাহিত্যিক হিসেবে আমন্ত্রিত মমতা

এই সিস্টেমের (Elephant Detection System) উদ্দেশ্য, হাতি চলে এলে ট্রেন চালক (Train driver) এবং স্টেশন মাস্টারদের সতর্ক করা, যাতে দুর্ঘটনা এড়ানো যায়। কিন্তু সম্প্রতি, এই সিস্টেমে ট্রায়াল (Trial) চলাকালীন ঘটে যায় এক মর্মান্তিক ঘটনা, যা সকলকে অবাক করে দিয়েছে। এটি একদিকে যেমন প্রযুক্তির (Technology) সক্ষমতা নিয়ে প্রশ্ন তোলে, তেমনি আমাদের প্রকৃতির সঙ্গে সম্পর্কের দিক থেকেও একটি গুরুত্বপূর্ণ বার্তা দেয়।

নর্থ ইস্ট ফ্রন্টিয়ার রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের উদ্যোগে, বনের মধ্যে দিয়ে চলা রেলপথে হাতির সঙ্গে সংঘর্ষ এড়ানোর জন্য একটি সনাক্তকরণ সিস্টেম (Elephant Detection System) ইনস্টল করা হয়েছে। এই সিস্টেমটি চালু করা হচ্ছে যাতে ট্রেন চালক এবং কাছাকছি স্টেশন মাস্টাররা হাতি শনাক্ত করে দ্রুত সতর্ক হতে পারেন। ঘটনাটি ঘটেছে পশ্চিমবঙ্গের আলিপুরদুয়ার (Alipurduar) ডিভিশনের রাজাভাতখাওয়া রেলস্টেশনের কাছে, যেখানে ট্রায়াল চলছিল। সেখানেই উপস্থিত ছিলেন নর্থ ইস্ট ফ্রন্টিয়ার রেলওয়ের জেনারেল ম্যানেজার চেতন কুমার শ্রীবাস্তব এবং অন্যান্য রেল কর্মকর্তারা। ট্রায়ালটি পরিচালনার জন্য বক্সা টাইগার রিজার্ভ থেকে আনা হয়েছিল একটি প্রশিক্ষিত হাতি, নাম জোনাকি।

নিউজ পোল বাংলা ফেসবুক পেজের লিঙ্ক:https://www.facebook.com/share/1XhiZuM5DK/

সূত্রের খবর, বৃহস্পতিবার দুপুরে যখন কাঞ্চনকন্যা এক্সপ্রেস রাজারহাট খাবার স্টেশনের কাছে ট্র্যাকটি পার হচ্ছিল সেই সময় ঘটে মর্মান্তিক ঘটনাটি। ট্রায়ালের অংশ হিসেবে জোনাকি সেই সময় রেলপথে উপস্থিত ছিল। কিন্তু কিছু কারণে, জোনাকি হঠাৎ রেলপথে দাঁড়িয়ে থাকা ৫৫ বছর বয়সে একজন ঠিকাদারের কর্মচারী সন্দীপ চৌধুরীকে আক্রমণ করে। হাতিটি তাকে একদম পদদলিত করে ফেলে, যার ফলে তিনি গুরুতর আহত হন স্থানীয়রা তাকে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে চিকিৎসকরা মৃত বলে জানান।

এটি রেলওয়ের জন্য একটি বড় ধরনের বিপর্যয় এবং সিস্টেমের কার্যকারিতা নিয়েও প্রশ্ন উঠছে। এই ঘটনায় কার্যকারিতা এবং নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়েও সংশয় সৃষ্টি হয়েছে রেল কর্তৃপক্ষ ঘটনাটির তদন্ত শুরু করেছে।

উত্তর-পূর্ব রেলওয়েতে আগামী দিনগুলোতে আরও উন্নত নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করার কথা ভাবছে রেল কর্তৃপক্ষ, যাতে এমন ঘটনা আর না ঘটে। তবে এই মর্মান্তিক ঘটনার পর রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে শোক প্রকাশ করা হয়েছে এবং নিহত কর্মচারীর পরিবারকে সহানুভূতি জানানো হয়েছে।

আরও পড়ুন:Dumdum: অপরাধের মুক্তাঞ্চল হয়ে উঠছে দমদম