নিউজ পোল ব্যুরো: মানসিক স্বাস্থ্য (Mental Health) হলো আমাদের দৈনন্দিন জীবনের মনস্তাত্বিক, আবেগীয়, এবং সামাজিক সুস্থতার একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ যা আমাদের চিন্তাভাবনা করার প্রক্রিয়া, অনুভব করার শক্তি নির্ধারণ করে ও বিভিন্ন পরিস্থিতিতে আমাদের প্রতিক্রিয়ার ওপর নিয়ন্ত্রণ রাখে। মানসিক স্বাস্থ্য আমাদের দৈনন্দিন জীবনে সিদ্ধান্ত নেওয়া, সম্পর্ক তৈরি করা, এবং জীবনের নানা চাপের সাথে মোকাবিলা করার দক্ষতা প্রদান করে।
আরও পড়ুন: Menstrual Cycle: ঋতুস্রাব ও মানসিক স্বাস্থ্য: কতোটা একে অপরের সাথে জড়িত?
তাই শরীরের পাশাপাশি আমাদের মনের দিকেও নজর দেওয়া একান্ত আবশ্যক। মানসিক স্বাস্থ্যের (Mental Health) অবহেলা করলে তার নানারকম নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে আমাদের ওপর, যার মধ্যে অন্যতম হলো অবসাদ এবং উদ্বেগ। এগুলো এক ধরনের মানসিক সমস্যা যা ব্যক্তির অনুভূতি, চিন্তা এবং দৈনন্দিন কাজকর্মকে জটিল করে তোলে।
অবসাদ এবং উদ্বেগ নানা কারণের জন্য হতে পারে। দীর্ঘমেয়াদি চাপ বা মানসিক আঘাত, আত্মসম্মানের অভাব বা নেতিবাচক চিন্তাভাবনা, বড় কোনো ব্যক্তিগত ক্ষতি বা দুঃখজনক অভিজ্ঞতা (যেমন প্রিয়জনের মৃত্যু), আর্থিক সমস্যা বা কর্মক্ষেত্রের চাপ, একাকীত্ব ইত্যাদির কারণে জাঁকিয়ে বসতে পারে অবসাদ। আবার অন্যদিকে অতীতের কোনো নেতিবাচক অভিজ্ঞতা বা ট্রমা, ভবিষ্যৎ সম্পর্কে অতিরিক্ত চিন্তা, নিজেকে অপূর্ণ বা অক্ষম ভাবা, সম্পর্কের সমস্যা, আর্থিক সমস্যা, অতিরিক্ত কাজের চাপ বা পড়াশোনার চাপ ইত্যাদির কারণে উদ্বেগের সৃষ্টি হয়।
দীর্ঘদিন ধরে মন খারাপ বা মনমরা হয়ে থাকা, অপর্যাপ্ত বা অতিরিক্ত ঘুম, খিদে না পাওয়া বা অতিরিক্ত খিদে পাওয়া, উপভোগ্য কাজগুলিতে আর আগ্রহ না পাওয়া অবসাদের প্রধান লক্ষণ। অবস্থার অবনতি ঘটলে যদি মনোরোগ বিশেষজ্ঞের পরামর্শ না নেওয়া হয় তবে তা মারাত্মক আকার ধারণ করতে পারে। কখনো কখনো আত্মঘাতী হওয়ার পর্যায়ে পৌঁছে যায় অবসাদে আক্রান্ত ব্যক্তি।
অতিরিক্ত ভয় বা দুশ্চিন্তা, ঘাম হওয়া, হৃদস্পন্দন বেড়ে যাওয়া, ঘুমের সমস্যা, শ্বাস নেওয়ার অসুবিধা এই উপসর্গগুলি দেখা যায় উদ্বেগের ক্ষেত্রে। উদ্বেগ মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলে এবং এটি দীর্ঘমেয়াদে মানসিক ও শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটাতে পারে। দীর্ঘস্থায়ী উদ্বেগ প্রায়ই প্যানিক অ্যাটাক এবং ট্রমার সঙ্গে যুক্ত হতে পারে। এটি মস্তিষ্কে দীর্ঘস্থায়ী আঘাত সৃষ্টি করতে পারে।
সমাধানের উপায়:
১. মানসিক স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞের সঙ্গে কথা বলুন।
২. ব্যায়াম করুন, নিয়মিত ঘুমান, এবং পুষ্টিকর খাবার খান।
৩. ধ্যান, যোগব্যায়াম, বা শ্বাস-প্রশ্বাসের অনুশীলন করুন।
৪. প্রিয়জনদের সঙ্গে সময় কাটান।
৫. প্রয়োজন হলে ডাক্তারের পরামর্শে সঠিক ওষুধ নিন।
নিউজ পোল বাংলা ইউটিউব লিঙ্ক: https://youtube.com/@newspolebangla?si=mYrQvXTBQ1lG3NFT