নিউজ পোল ব্যুরো: বর্তমানে দাঁড়িয়ে যখন প্রযুক্তি আর মানবিকতার যুগলবন্দি ঘরে-বাইরে সব সমস্যার সমাধান দিতে পারে বলে আমরা বিশ্বাস করি, তখন সেই আশায় ফাটল ধরাল এক তিক্ত অভিজ্ঞতা। মেরুদণ্ডে অস্ত্রোপচারের পর ছোট্ট মেয়েকে কোলে নিতে না পারা কনীনিকা বন্দ্যোপাধ্যায় (Koneenica Banerjee) যখন কলকাতা বিমানবন্দরে সাহায্যের জন্য গিয়েছিলেন, তখন তার জন্য অপেক্ষা করছিল উপেক্ষা আর অসহযোগিতা। সদ্য থাইল্যান্ড ভ্রমণ শেষে নিজের শহরে ফিরে একেবারে হতবাক অভিনেত্রী! স্টলার চেয়ে পাননি সহযোগিতা, পেয়েছেন শুধু অমানবিকতা! মায়ের দুর্ভোগে প্রযুক্তিও হার মানল, আর তাই মুখ খুললেন কনীনিকা। বললেন, “আমি স্টাইলের জন্য স্টলার নিয়ে ঘুরি না!”
আরও পড়ুন:Bankura: ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় তীব্র জনরোষ, গণপিটুনিতে অভিযুক্তের মৃত্যু!
কনীনিকা (Koneenica Banerjee) আরও জানান, তার এই সমস্যা নতুন নয়। একাধিক বার তাকে এই যন্ত্রণার মুখোমুখি হতে হয়েছে। তাই বাধ্য হয়ে বুধবার তিনি প্রতিবাদের সোচ্চার হন। নিজের শহরের থেকে আরও একটু মানবিকতা আশা করেছিলেন তিনি। কনীনিকা বন্দ্যোপাধ্যায় ( Koneenica Banerjee) বললেন, “সম্প্রতি আমার মেরুদণ্ডে অস্ত্রোপচার হয়েছে। ঘুমন্ত কিয়াকে কোলে নিয়ে হাঁটতে পারি না। তাই স্টলার বা প্যারাম্বুলেটর (Parambulator) ব্যবহার করি।” অথচ বিমান থেকে নামার পর একরত্তি মেয়ের প্যারাম্বুলেটরটাও পেলেন না অভিনেত্রী! “সঙ্গে ষাটোর্ধ্ব বাবা আর কাকা ছিলেন। আমি পারি না বলে ওঁরাই ঘুমন্ত মেয়েকে কোলে নিয়ে হাঁটলেন!”
কিয়ার (kiya) জন্মদিনের কিছুদিন আগেই গেছে তার বাবার জন্মদিন। স্বামী ও মেয়ের জন্মদিনের উদ্যাপন করতেই সপরিবারে কনীনিকা ঘুরতে গিয়েছিলেন থাইল্যান্ড (Thailand)। থাইল্যান্ড সফরটা বেশ মজা করেই কাটিয়েছেন অভিনেত্রী পরিবারের সাথে। কিন্তু কখনোই ভাবেননি তিনি যে নিজের শহরেই এত তিক্ত অভিজ্ঞতা তার জন্য অপেক্ষা করে আছে। তার সমস্ত ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন তিনি। তার কথায়, “আমি কিন্তু ফ্যাশনের জন্য প্যারাম্বুলেটর নিয়ে ঘুরি না।” তিনি বলেন তার মতো সমস্যা আরও অনেকেরই রয়েছে। আবারও এমন অনেকেই আছেন যারা স্পন্ডেলাইটিসেও ভোগেন। তারাও বাচ্চার জন্য প্যারাম্বুলেটর নিয়ে ঘোরেন। আগামী দিনে তারা তা হলেও কী তাদের সাথেও এমনটাই হবে?”
অভিনেত্রী আরও আফসোস জানিয়েছেন, তিনি দেশে বিদেশের বিভিন্ন শহরে ঘুরেছেন। অন্য শহরের বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ তাকে সম্পূর্ণ সহযোগিতা করেছেন এমতাবস্থায়। কলকাতা বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ তাকে জানিয়েছেন, ডমেস্টিক বিমান হলে তিনি স্ট্রলার পেয়ে যেতেন। আন্তর্জাতিক স্তরের বিমানে না কি প্যারাম্বুলেটর ফেরত পাওয়া যায় না! অভিনেত্রী এই নিয়ে বলেছে, “লিখলে ফল পাব? তা হলে জানাতাম। জানি, কিচ্ছু হবে না। তাই এ ভাবেই প্রতিবাদ জানাচ্ছি।” অভিনেত্রী নিজের শহরেই এমন অসহযোগিতা পাবেন সেটা তিনি ভাবতে পারছেন না।
নিউজ পোল বাংলা ইউটিউব লিঙ্ক:- https://youtube.com/@newspolebangla?si=mYrQvXTBQ1lG3NFT