ফের ইডির হেফাজতে পার্থ ঘনিষ্ঠ প্রসন্ন

অপরাধ রাজনীতি রাজ্য

নিজস্ব প্রতিনিধি,কলকাতাঃ ফের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় ঘনিষ্ঠ প্রসন্ন রায়কে জেল হেফাজতে পাঠাল ইডি। শিক্ষা দুর্নীতিতে নাম জড়ানো প্রসন্ন রায়কে হেফাজতে নিয়ে ফের একবার চলবে জেরা বলে জানা গেছে। এরই মধ্যে হদিস মিলেছে প্রসন্ন রায়ের ১৫০ টি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের। যার মাধ্যমে দুর্নীতির টাকা ৯৮টি সংস্থায় খাটানো হয়েছিল বলে সূত্রের খবর।

উল্লেখ্য, প্রথমে এসএসসি-র গ্রুপ সি ও গ্রুপ ডি নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ইডির হাতে গ্রেফতার হন প্রসন্ন রায়। পরে আদালতের নির্দেশে জামিন পান। এরপর তাঁর নিউ টাউনের বাড়ি ও অফিসে নতুন করে তল্লাশি চালানো হয়। এর জেরেই ফের গ্রেফতার হন প্রসন্ন রায়। এছাড়াও একাদশ-দ্বাদশের নিয়োগ সংক্রান্ত মামলায় ইডি আগেও তাঁকে গ্রেফতার করে।
প্রসন্নকে গ্রেফতার করে নিজেদের হেফাজতে নিতে চেয়ে গতকাল বৃহস্পতিবার নিম্ন আদালতে আবেদন করে ইডি। আবেদন মঞ্জুর হলে ২ ডিসেম্বর হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। সব মিলিয়ে বলাই যায় এই মুহূর্তে দুর্নীতি মামলায় জড়িয়ে থাকা প্রসন্ন রায়কে আষ্টেপৃষ্টে জড়িয়ে ধরেছে কেন্দ্রীয় এজেন্সি।

প্রসঙ্গত, প্রসন্ন রায়ের একাধিক অবৈধ অ্যাকাউন্টের বিষয়ে আগেই সন্দেহ প্রকাশ করে আদালতে তথ্য দিয়েছিল ইডি। প্রসন্ন রায়ের নামে অন্তত ২০০টিরও বেশি ব্যাঙ্ক অ্য়াকাউন্ট রয়েছে। আর তাতেই জমা পড়েছে ৭০ কোটি টাকা সূত্র মারফত জানা গিয়েছিল এমনটাই। আর এই ঘটনার পরেই স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠেছিল তবে কি দুর্নীতি কাণ্ডের মধ্যমণি ছিলেন তিনি? পরবর্তীতে যার উত্তর স্পষ্ট হয়ে যায়। জানা যায় কার্যত দুর্নীতির মাঝে সেতু হিসেবে কাজ করতেন প্রসন্ন রায়। টাকার লেনদেন হতো তার মাধ্যমে। অবৈধ বিপুল সম্পত্তি কেনাবেচার অভিযোগও ওঠে তার বিরুদ্ধে। কিন্তু তখনও পর্যন্ত তা ছিল শুধুই তদন্তের পর অনুমান। পরে প্রসন্ন রায়কে জেরা করার পর যার সত্যতা মেলে অনেকটাই। দুর্নীতির টাকা হাতবদল হওয়ার আগে মধ্যমণি হয়ে উঠতেন তিনি! প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগের তদন্তে নাম আসে প্রসন্ন রায়ের। মন্ত্রীর সঙ্গে ঘনিষ্ঠতার জন্যই একের পর এক দুর্নীতি মামলায় নাম উঠেছিল তাঁর। পরবর্তীতে কেঁচো খুঁড়তেই কেউটে! খোঁজ মিলতে থাকে বিপুল অবৈধ সম্পত্তির।
ফের একবার তদন্তের স্বার্থে সেই প্রসন্ন রায়কেই হেফাজতে নিলো ইডি। এখন প্রশ্ন একটাই তবে কি আবারও খোঁজ মিলতে পারে নতুন কিছুর? জেরার পর হতে পারে কোনও সত্য উদঘাটন? তা এখন শুধু সময়ের অপেক্ষা।