চার মাস পরেও অন্ধকারে প্রান্তিক-রাজন্যা

রাজনীতি রাজ্য

নিজস্ব প্রতিনিধি,কলকাতা: আরজিকর কান্ডের সময় শর্ট ফিল্ম তৈরি করতে গিয়েই রাজন্যা হালদার ও প্রান্তিক চক্রবর্তীকে সাসপেন্ড হতে হয়েছিল তৃণমূল কংগ্রেস থেকে। বিতর্কিত ছবিটি ওটিটি প্ল্যাটফর্মে মুক্তি পেয়েছে সেখানে তরুণী চিকিৎসকের ধর্ষণের ঘটনা তুলে ধরা হয়। এমনটাই অভিযোগ ছিল তৃণমূল কংগ্রেস নেতা প্রান্তিক চক্রবর্তী ও রাজন্য হালদার এর বিরুদ্ধে। আর এর জন্য তাদের দুজনের কাছে যায় সাসপেনশনের চিঠি, উক্ত চিঠিতে বলা হয় চার মাসের জন্য তাদের দুজনকে সাসপেন্স করা হল। এমত অবস্থায় ঘটনার পর চার মাস কেটে গেলেও এখনও পর্যন্ত রাজন্য ও প্রান্তিকের সাসপেনশন তোলা হয়নি দলের পক্ষ থেকে।

খুব স্বাভাবিকভাবেই তাদের পরবর্তী পদক্ষেপ ও অবস্থান কি হবে সেটা তাঁরা বুঝতে পারছেন না। তাই অবশেষে দলনেত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়ের দ্বারস্থ হয়েছেন তাঁরা। যদিও শৃঙ্খলার রক্ষা কমিটির কথা ছিল চার মাসের মধ্যেই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে এই দুজনের বিরুদ্ধে কিন্তু সেই সময় অতিক্রান্ত হয়ে যাওয়ার পরেও এখনও পর্যন্ত দলের শৃঙ্খলা কমিটি কোনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানালো না কেন এই মর্মে প্রশ্ন তুলে তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কে চিঠি দিয়েছেন সাসপেন্ডেড নেতা প্রান্তিক চক্রবর্তী ও রাজন্যা হালদার । পাশাপাশি ওই একই চিঠি তৃণমূল কংগ্রেসের ছাত্র পরিষদের সভাপতি তৃণাঙ্কুর ভট্টাচার্যকে ওই একই চিঠি পাঠানো হয়েছে।

উল্লেখ্য,গত সেপ্টেম্বর মাসে প্রান্তিক ও রাজন্যকে দল বিরোধী কাজের জন্য দল থেকে সাসপেন্ড করা হয়। গত বছরের একুশে জুলাইয়ের মঞ্চে নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের রাজ্য হালদারকে মোছে উঠে বক্তৃতা করার সুযোগ দিয়েছিলেন আর এখান থেকেই রাজন্যা নিমেষে নজর খেলেছিলেন গোটা রাজ্যবাসী। একের পর এক কর্মসূচি থেকে শুরু করে নির্বাচনের প্রচারেও দেখা যায় তাঁকে। কিন্তু আর জি কর কাণ্ডের পরেই যে শল্পদীর্ঘ্যের ছবি তৈরি হয়েছিল কেন্দ্র করে।

সেখানেই ঘটে বিপত্তি। প্রান্তিক চক্রবর্তী ও রাজ্যনা হালদার দেখা যায় সেখানে অভিনয় করতে যার ফলে দল মনে করে এটা সম্পূর্ণ দল বিরোধী কাজ। আর এই কাজের জন্যই তাদের সাসপেন্ড করা হয়। এখন দেখার বিষয় দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ফের কি তাদের দুজনকে দলে ফিরিয়ে এনে আরেকটা সুযোগ দেবেন?