এনকাউন্টারের পথে হাঁটার নির্দেশ?

breakingnews আইন রাজ্য

নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: এবার থেকে অন্যায় দেখলেই এনকাউন্টারের পথে হাঁটবে পুলিশ। কেউ গুলি চালালে আমরা ওর থেকে চারগুণ চালাবো সাফ বার্তায় ডিজি রাজীব কুমার। রাজ্য জুড়ে একের পর এক জায়গায় পুলিশের উপর বাড়ছে হামলা। সেই ঘটনাকে সামনে রেখে এবার রাজ্য পুলিশের ডিজি রাজীব কুমারের কড়া বার্তা।

উত্তর দিনাজপুরের গোয়ালপোখরে দুই অফিসার গুলিবিদ্ধ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি, চিকিৎসাধীন। ঘটনার পর বেঙ্গল পুলিশের ডিআইজি রাজীব কুমার কড়া হুঁশিয়ারি জারি করে বলেন, ‘তারা যদি একবার আমাদের দিকে গুলি চালায়, তাহলে আমরা চারবার পাল্টা জবাব দেব। আমরা প্রশিক্ষিত এবং জানি কীভাবে এই ধরনের পরিস্থিতি সামলাতে হয়।’ গতকাল বুধবার, গোয়ালপোখরে একজন বন্দিকে কারাগারে ফেরত নিয়ে যাওয়ার সময় সন্দেহভাজন পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়। পরে, মুর্শিদাবাদের ডোমকলে একজন অপরাধী ধারালো অস্ত্র দিয়ে পুলিশকে আক্রমণ করে পালিয়ে যায়।

একের পর ঘটনা রীতিমতো রাজ্য সরকারকে এক বড়ো প্রশ্ন চিহ্নের মুখে ফেলে দিয়েছে। খোদ মুখ্যমন্ত্রী রাজ্যের আইন নিয়ে যখন নিজেই প্রশ্ন তুলছেন তখন রাজ্যের মানুষের মধ্যে সেই প্রশ্ন আরো বড় হয়ে দানা বাঁধছে।
যেখানে একজন আসামীকে লক আপে নিয়ে যাওয়া এবং নিয়ে আসার সময় নিয়ম অনুযায়ী কোমরে দড়ি পরিয়ে নিয়ে যেতে হয়। পাশাপাশি সেই কয়েদিকে জেলখানা থেকে বের করে প্রিজন ভ্যানে তোলা পর্যন্ত দায়িত্ব তাদের। সেখান থেকে নামিয়ে কোর্টে ঢোকানো পর্যন্ত কারা রক্ষীরা দায়বদ্ধ থাকে নিজেদের কর্তব্যে কিন্তু বুধবার গোয়ালপাখরের যে ঘটনা সাক্ষী রইলো রাজ্য তথা গোটা দেশ তাতে লজ্জায় মাথা হেট হল রাজ্য প্রশাসনের।
আর সেই জায়গা থেকেই রাজ্য পুলিশের ডিজি রাজীব কুমার নিজেদের গাফিলতিতে ঢাকতে পরিষ্কার ভাষায় জানান কাউন্টারের জবাব এনকাউন্টারে দেওয়া হবে। যেখানে নিয়ম অনুযায়ী কোনও আসামীকে কিছু দিতে গেলে সংশ্লিষ্ট কোর্টের অফিসার ইনচার্জের অনুমতি লাগে সেখানে কিভাবে এই আসামির কাছে এত সহজে পরিজনেরা কম্বল পৌঁছে দিলেন? যার ভিতরে ছিল পিস্তল! আর এখান থেকেই রীতিমতন প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে তাহলে কি পুলিশের সঙ্গেই গোপন আঁতাত বা যোগ সহজেই আসামি পালাতে সমর্থক হয়েছে?