নিউজ পোল ব্যুরো: ইতিহাসে প্রথমবার দিল্লীর রাজপথে প্রজাতন্ত্র দিবসের প্যারেডে দেশের তিনবাহিনীকে একসঙ্গে তাঁদের ভূমিকা পালন করতে দেখা যাবে। ২৬ জানুয়ারির বিশেষ দিনে প্রতি বছর প্যারেডে আলাদা আলাদা ভাবে পরাক্রম দেখায় স্থল ও নৌবাহিনী। এবার সেই ছবিতে বদল আসতে চলেছে। দেশের তিন সেনাবাহিনীর ঐক্য প্রদর্শনের লক্ষ্যে অভিনব এই পদক্ষেপ নিয়েছে দেশের প্রতিরক্ষা মন্ত্রক ও ইন্ট্রিগ্রেটেড ডিফেন্স স্টাফ। এবারের প্রজাতন্ত্র দিবসের কুচকাওয়াজের অন্যতম আকর্ষণ হতে চলেছে সামরিক বাহিনীর তিন বাহুর সমন্বিত ট্যাবলো।
এই পদক্ষেপের মূল উদ্দেশ্য হল, দেশের তিন বাহিনীর একে অপরের প্রতি সহযোগিতা ও বোঝাপড়া দৃঢ় করা। দেশের নিরাপত্তা বিপদের মুখে পড়লে একজোট হয়ে ‘ত্রিশূল’-এর মতো শত্রুর উপর ঝাঁপিয়ে পড়বে ভারতের তিন বাহিনী, এমনই স্বপ্ন দেশবাসীর। ভারতের তিন বাহিনীকে এক ছাতার নীচে আনতে এই উদ্যোগ নিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। এতে তিন সেনাবাহিনীর মধ্যে একে অপরের মধ্যে বোঝাপোড়া যেমন বাড়বে, তেমনই যুদ্ধক্ষেত্রে ঐক্যবদ্ধভাবে লড়তে সুবিধা হবে। এই লক্ষ্যেই তিন সেনাবাহিনীর মাথায় নতুন পদ তৈরী হয়েছে যার নাম ‘চিফ অফ ডিফেন্স স্টাফ’।
প্রজাতন্ত্র দিবস উপলক্ষে প্রতি বছর কেন্দ্রীয় সরকার একটি নির্দিষ্ট থিম নির্বাচন করে। ২০২৫ সালে থিম নির্বাচিত হয়েছে ‘স্বর্ণিম ভারত’। এই বছরের থিমটি দেশের সমৃদ্ধ সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য এবং এর প্রবৃদ্ধি ও উন্নয়নের যাত্রাকে তুলে ধরে। ২০২৫ সালের প্রজাতন্ত্র দিবসে পশ্চিমবঙ্গ, অন্ধ্রপ্রদেশ, বিহার, চণ্ডীগড়, গোয়া, গুজরাট, হরিয়ানা, ঝাড়খণ্ড, কর্নাটক এবং মধ্যপ্রদেশ সহ ১৫টি রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের ট্যাবলো কর্তব্য পথ কুচকাওয়াজে প্রদর্শিত হবে। বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রনায়কেরাও উপস্থিত থাকতে পারেন ওই দিন। প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের মতে, প্রজাতন্ত্র দিবসের কুচকাওয়াজে রাজপথে তিন বাহিনীর এই পরাক্রম শত্রুপক্ষের উদ্দেশ্যে বিশেষ বার্তা। সেনা কর্তাদের মতে, ভারতের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থায় আসতে চলেছে আমূল বদল। যেখানে তিন বাহিনীর আধুনিকীকরণ তো বটেই, কৃতিত্ব এবং সহযোগিতামূলক ক্ষমতা প্রদর্শনের এক অনন্য নজির দেখবে ২৬ জানুয়ারি রাজপথ।