নিউজ পোল ব্যুরো: অবশেষে ধরা পড়লেন চলপতি। গত কয়েক দশক ধরে পুলিশের চোখে ধুলো দিয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছিলেন মাওবাদী নেতা জয়রাম রেড্ডি ওরফে চলপতি। আট বছর আগে স্ত্রীর সঙ্গে তুলেছিলেন একটি মাত্র সেলফি, সেই সেলফিই কাল হল চলপতির। এক কোটি টাকার পুরস্কারের পেছনে থাকা চলপতি,যিনি দীর্ঘদিন ধরে ছত্তিশগড় ও ওড়িশার জঙ্গলে লুকিয়ে ছিলেন। সম্প্রতি এই সীমান্তে নিরাপত্তা বাহিনীর অভিযানে মৃত্যু হয়েছে ২০ জন মাওবাদীর। তার মধ্যে রয়েছে চলপতি।যার মাথার দাম ছিল ১ কোটি টাকা।
সূত্রের খবর, চলপতি ওরফে রামচন্দ্র রেড্ডি। তিনি অন্ধ্রপ্রদেশের চিত্তুরের বাসিন্দা। শিক্ষাগত যোগ্যতা কম থাকলেও তাঁর বুদ্ধি ছিল নজরকাড়া। দশম শ্রেণিতে পড়তে পড়তেই সিপিআইএমএলের হাত ধরে সশস্ত্র বিপ্লবে যোগ দেন। কয়েক দশকে শুধু উত্থানই দেখেছেন চলপতি। মাওবাদী কেন্দ্রীয় কমিটির মূল মাথা ছিলেন তিনি।
তাঁর নেতৃত্বে ২০০৮ সালে ওড়িশার নয়াগড়ে এক বড় হামলা চালানো হয়। যেখানে নিহত হন ১৩ নিরাপত্তা কর্মী। সেই হামলায় পুলিশি অস্ত্রাগার লুঠ করেন নকশালরা। তারপর থেকেই এক নম্বরে চিহ্নিত হন নিরাপত্তা বাহিনীর তালিকায়। এরপর ২০১৬ সালে অন্ধ্রপ্রদেশে নিরাপত্তা বাহিনী ও নকশালদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। আর সেই সংঘর্ষে ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার হয় একটি স্মার্টফোন। যেখানে তাঁর স্ত্রীর সঙ্গে একটি সেলফি মেলে। সেলফিটি দ্রুত ভাইরাল হয়ে যায় এবং পুলিশের জন্য চলপতিকে ধরতে আরও সহজ হয়। ওই ছবির ভিত্তিতেই তাঁর খোঁজ শুরু হয়।
বস্তার এলাকাতেই ঘাঁটি গড়েছিলেন চলপতি ও তাঁর সঙ্গীরা। গোপন সূত্রে খবর মিলেছিল মাওবাদীরা সীমানা এলাকার জঙ্গল থেকে হামলার ছক কষেছে। সেইমতো সোমবার টানা ৩৬ ঘন্টার অভিযানে নিহত হন ২০ জন মাওবাদী। ওড়িশা পুলিশ ও ছত্তিশগড় পুলিশের পাশাপাশি প্রায় ১০ টি আলাদা আলাদা বাহিনী অংশ নিয়েছিল এই অভিযানে। অবশেষে ওই ছবিই মাও বিরোধী অভিযানে বিরাট সাফল্য এনেছে।