বিশ্বকাপ জয়ের গৌরব নিয়ে মুর্শিদাবাদে ফিরলেন সুমন্ত

ক্রীড়া জেলা রাজ্য

নিউজ পোল স্পোর্টস ব্যুরো : বাংলাকে বিশ্বের দরবারে আরও একবাদ গৌরবান্বিত করলেন মুর্শিদাবাদের প্রত্যন্ত গ্রামের ছেলে সুমন্ত ঘোষ। গত বছরের ২৮ ডিসেম্বর থেকে শুরু হয়েছিল ‘ইউনিভার্সাল যোগা স্পোর্টস ফেডারেশন’ আয়োজিত হয়েছিল, যা অনুষ্ঠিত হয়েছিল অন্ধ্রপ্রদেশের বিশাখাপত্তনমে। এই প্রতিযোগিতায় ১২টি দেশ অংশগ্রহণ করেছিল। বাংলার ছেলে সুমন্ত ১২টি দেশকে পিছনে ফেলে বিশ্বকাপ জয় করেন। সুমন্তের এই সাফল্যে উচ্ছসিত তাঁর পরিবার সহ এলাকাবাসীরা।

বিশ্বকাপ জয়ী সুমন্তের বাড়ি মুর্শিদাবাদের বড়ঞা ব্লকের শাবলপুর গ্রামে। বৃহস্পতিবার সুমন্ত বাড়িতে ফেরেন। পরিবারের সদস্য সহ গ্রামের মানুষরা ফুল-মিষ্টি দিয়ে তাঁকে বরণ করে নেয়। বাজি ফাটিয়ে ও ঢাক-ঢোল বাজিয়ে তাঁকে স্বাগত জানানো হয়। সুমন্ত দীর্ঘদিন ধরে কঠোর পরিশ্রম করেছিলেন এই স্বপ্নপূরণের লক্ষ্যে। অবশেষে তাঁর অসাধারণ পারফর্মেন্স বিশ্বকাপ জয়ের অন্যতম প্রধান কারণ। সুমন্তের এই সাফল্যে শুধুমাত্র তাঁর নিজের নয়, এটি সমগ্র মুর্শিদাবাদ ও সমগ্র রাজ্যের গর্ব।

সুমন্ত সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘ছোটবেলা থেকেই আমি যোগা করতাম, কিন্তু কখনও ভাবিনি বিশ্বকাপ জিতব। গত দেড় বছর ধরে হাওড়ার বাগনানের প্রদীপ ভূঁইয়া স্যারের কাছে অনুশীলন করছি। তাই আমি যা সাফল্য অর্জন করেছি তা পুরোটাই স্যারের জন্য।’ গোটা রাজ্যবাসীকে ধন্যবাদ জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আমি আমার রাজ্যবাসীকে জানাতে চাই যোগাভ্যাস স্বাস্থ্যের পক্ষে কতটা উপকারী। শারীরিক ও মানসিকভাবে সুস্থ থাকতে যোগা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তাই সকলকেই আমি অনুরোধ করব প্রতিদিন সকালে যোগা ব্যায়াম করার জন্য।’

সুমন্তের কৃতিত্বে তাঁর পরিবার সহ খুশি বড়ঞার প্রশাসনিক আধিকারিকরাও। যেভাবে সুমন্ত বিশ্বের বিভিন্ন দেশকে পেছনে ফেলে ভারতবর্ষকে যোগাসন বিশ্বকাপ প্রতিযোগিতায় প্রথম স্থানে নিয়ে গেছে তার জন্য গর্বিত সকলেই। এরমধ্যেই প্রশাসনের আধিকারিকরা তাঁর সঙ্গে দেখা করে আগামীদিনে প্রয়োজনীয় সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। সুমন্তের কাকা বংশী কুমার ঘোষ জানিয়েছেন, ‘ছোটবেলা থেকেই সুমন্তের যোগার প্রতি ঝোঁক ছিল। তবে আমরা কোনওদিন ভাবতেই পারিনি যে ওঁকে বিশ্বকাপ হাতে দেখতে পাব। গ্রামের প্রায় ৫০০ জন মানুষ সুমন্তকে সংবর্ধনা দিয়ে গেছেন। বাড়ির ছেলের এই সাফল্যে আমরা সকলেই উচ্ছ্বসিত’।