নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: আলু ব্যবসায়ীদের ট্রাক আটকে রাখার মামলায় রাজ্য পুলিশের ডিজিকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ কলকাতা হাই কোর্টের। পাশাপাশি ডিজির নির্দেশ অনুযায়ী পুলিশ সুপারদের নির্দেশ দেবে আদালত। নাকা চেকিংয়ের নিয়ম পালন করতে হবে নির্দেশ কলকাতা হাই কোর্টের।
রাজ্যের তরফে আইনজীবী বলেন, ‘এধরনের মামলা এন্টারটেইন করা উচিৎ নয়।’
মামলাকারীর আইনজীবী বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্য বলেন, ‘রাজ্যের তরফে বলা হয়েছিল এটা শুধুমাত্র নাকা চেকিংয়ের জন্য আটকে রাখা হয়েছে। অথচ আমাদের ট্রাক ওখানে মাসের পর মাস আটকে রয়েছে। আমাদের রফতানি করতে বাধা দেওয়া হচ্ছে কিভাবে?’
বিচারপতি: ৩০ ডিসেম্বর ছুটির দিনেও আপনারা এতো তৎপর কেন? অ্যাকিউজকে প্রোডাকশন না করে কিভাবে আইও কনসেন্ট দেয়? সম্পূর্ণ রূপে ক্ষমতার অপপ্রয়োগ হচ্ছে!
শির্ষণ্য বলেন: পুরো জিনিষটা একটা কঞ্জেকচারের ওপর বেস করে। তাঁরা বলেননি কোন খালাসী, কোন ব্যাগ কোনও কিছুই বলা হয়নি! শুধুমাত্র বর্ডারের ওই থানাগুলিকে উল্লেখ করে প্রমাণ জোগাড় করে তাঁরা তাঁদের নিজস্ব কোনও অ্যাজেন্ডা সিদ্ধ করতে চায়। আমরা একদিন সময় পেয়েছি। ৪১টা থানার সঙ্গে আমরা যতটা যোগাযোগ করতে পেরেছি সেখানে আমরা এরকম কোনও চালান পাইনি। এরা কখনই বলেনি কোন ট্রাকে কি মাল যাচ্ছে! কিসের বেসিসে তাঁরা এই অভিযোগ করছেন তা তাঁরা বলেননি!
বিকাশ: এটা যদি শুধুমাত্র নাকা চেকিং হয় তাহলে আমি অবশ্যই নাকা চেকিংয়ের মধ্যে দিয়ে যাব। কিন্তু নাকা চেকিংয়ের নামে আমাদের ট্রাক ডিটেন করা হচ্ছে!
রাজ্য: তাঁরা এই প্রটেকশন কেন চাইছেন, সেটা তাঁরাই বলুন। তাঁরা এটা এইজন্য চাইছেন যাতে তাঁরা নিজেদের বেআইনি কাজ চালিয়ে যেতে পারেন।
বিচারপতি: (রাজ্যকে প্রশ্ন) আপনাদের কী কোন পলিসি আছে যে আলু রফতানি করা যাবে না?
রাজ্য: চাল এবং আলুর দাম বৃদ্ধির কারণে আলু, চাল রফতানির ক্ষেত্রে কিছু নির্দেশিকা ছিল। কিন্তু এরা একটা ব্ল্যাঙ্কেট প্রোটেকশন চাইছেন। এটা একটা ইরেসপনসিবল রিট পিটিশন।
বিকাশ: আমরা কাদের বিরুদ্ধে প্রমাণ জোগাড় করব? আমাদের ট্রাক আটকে রাখা হয়েছে।
রাজ্য: কোন ট্রাক? যদি এটা বাজেয়াপ্ত করা হয়ে থাকে, তাহলে সেটা অকশান করানো হবে।
বিচারপতি: আপনারা অকশান করান কিন্তু দাম অত্যধিক বৃদ্ধি হতে দেবেন না বা জিনিষ নষ্ট হতে দেবেন না। তা হলে ডিজিকে নির্দেশ দিচ্ছি প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে এবং সেই অনুযায়ী পুলিশ সুপারদের এই বিষয়ে অবগত করানো হোক।