হাই কোর্টে সাময়িক স্বস্তি পল্লবী বন্দ্যোপাধ্যায়ের

অপরাধ আইন কলকাতা জেলা রাজ্য স্বাস্থ্য

নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা : কলকাতা হাই কোর্টের নির্দেশে স্যালাইন কাণ্ডে অভিযুক্ত পল্লবী বন্দ্যোপাধ্যায় সাময়িক স্বস্তি পেলেন। বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষের ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়েছে, তাঁর বিরুদ্ধে আপাতত কোন কড়া পদক্ষেপ নিতে পারবে না পুলিশ। পল্লবীর আবেদনটি মূল মামলার সঙ্গে যুক্ত করে প্রধান বিচারপতির এজলাসে পাঠানো হয়েছে। মামলাকারীর আইনজীবী জয়ন্ত নারায়ণ চট্টোপাধ্যায় আদালতে জানান, তাঁরা এরই মধ্যে সাপ্লিমেন্টারি এফিডেভিট জমা দিয়েছেন। রাজ্যের পক্ষ থেকে জানানো হয়, এই মামলা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং ডিভিশন বেঞ্চের আদেশ অনুযায়ী সিআইডি এই তদন্তের দায়ভার নিয়েছে। অ্যাডভোকেট জেনারেল স্পষ্ট করেন, ডিভিশন বেঞ্চের আদেশে অন্য তদন্তকারী সংস্থাকে দায়িত্ব দেওয়ার কথা উল্লেখ রয়েছে।

পল্লবী বন্দ্যোপাধ্যায়ের আইনজীবীর বক্তব্য, এই মামলা স্যালাইনের সাপ্লাই সম্পর্কিত। তাঁর মক্কেলের বিরুদ্ধে ১০৫ (কালপেবল হোমিসাইড), ১২৫বি এবং ১৯৫ ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে। তিনি একজন অভিজ্ঞ অ্যানাস্থেসিস্ট, যিনি শুধু অপারেশন থিয়েটারে অ্যানাস্থেশিয়া দিয়েছিলেন। মৃত্যুর কারণ হিসেবে রিঙ্গার ল্যাক্টেট স্যালাইনের নাম উল্লেখ করা হলেও মেরুদণ্ড সম্পূর্ণ অক্ষত ছিল। বিচারপতি পর্যবেক্ষণ করেন, এই ঘটনা ক্রিমিনাল নেগলিজেন্সের হতে পারে কিন্তু কালপেবল হোমিসাইড নয়। চিকিৎসকের বিরুদ্ধে কোন দূরভিসন্ধি বা মোটিভের প্রমাণ পাওয়া যায়নি। এছাড়া অভিযোগে ডাক্তারদের ভূমিকার ব্যাখ্যা স্পষ্ট নয়। তদন্তের ভিত্তিতে, অভিযুক্ত চিকিৎসক ঘটনার সময় অপারেশন থিয়েটারে উপস্থিত ছিলেন না।

আদালত নির্দেশ দেয়, অভিযুক্ত একজন সিনিয়র চিকিৎসক হওয়ায় তাঁকে মামলার তদন্তে সহযোগিতা করতে হবে। তদন্ত চলাকালীন তাঁর বিরুদ্ধে কোন কড়া পদক্ষেপ নেওয়া যাবে না। রাজ্যের আইনজীবীর বক্তব্য অনুসারে, এই মামলাটি মূল জনস্বার্থ মামলার সঙ্গে যুক্ত এবং সেই মামলায় তদন্তের দায়িত্ব সিআইডিকে দেওয়া হয়েছে। বিচারপতি শেষ পর্যন্ত এই মামলা প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেন।