অনিরুদ্ধ সরকার
এবার কুম্ভ মেলার আয়োজনকে ‘ডিজিটাল কুম্ভ’ও বলছেন অনেকে। মেলার জন্য বিশেষ অ্যাপ, কিউ আর কোড, গুগল ম্যাপ, নিখোঁজ হয়ে যাওয়া আত্মীয়-বন্ধুদের সন্ধান পাওয়া, বাস-ট্রেনের সময় সূচিসহ প্রায় সব কাজই ডিজিটাল মাধ্যমে করা হচ্ছে। এমনকি মেলায় নিখোঁজদের সন্ধানেও ডিজিটাল প্রযুক্তি ব্যবহার করা হচ্ছে। মহাকুম্ভের অ্যাপটি ১১টি ভাষায় দেখা যাচ্ছে।
যাত্রার পরিকল্পনা থেকে শুরু করে ‘টেন্ট সিটি’ যেখানে বানানো হয়েছে, তার বিস্তারিত তথ্য, পর্যটক গাইড, ব্যবসায়িক ও জরুরি পরিষেবা – সবই পাওয়া যাচ্ছে এই অ্যাপ দিয়ে।

বেশ কয়েকমাস আগে থেকেই মহাকুম্ভের চারটি পৃথক কিউআর কোড ভারতের সর্বত্র বিজ্ঞাপনের আকারে ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।এর মধ্যে একটি কিউআর কোডে রয়েছে কেবল প্রশাসনিক তথ্য।
সবুজ রঙের একটি কোড স্ক্যান করলেই ২৮ পাতার একটি পিডিএফ ডকুমেন্ট খুলে যাবে, যেখানে মেলার সঙ্গে সংযুক্ত সব প্রশাসনিক অফিসার এবং থানার ফোন নম্বর পাওয়া যায়।
আবার গুগলের সঙ্গে বিশেষ ব্যবস্থাপনায় মহাকুম্ভ মেলার পৃথক ম্যাপও বানানো হয়েছে। লাগানো হয়েছে ৩২৮টি আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স ক্যামেরা। সরকার বিনা-পয়সায় ভক্তদের থাকার জন্য হাজার হাজার তাঁবু লাগিয়েছে – সেই এলাকাটিকে বলা হচ্ছে ‘টেন্ট সিটি’।

আবার পাঁচ তারা হোটেলের মতো বিলাসবহুল ব্যবস্থাও রয়েছে কুম্ভক্ষেত্রে। ওই বিলাসবহুল টেন্টের এক রাতের ভাড়া এক লক্ষ টাকার কাছাকাছি। ভারতীয় রেলওয়ে ক্যাটারিং সার্ভিস (IRCTC) নিজেদের একটি ‘টেন্ট সিটি’ বানিয়েছে, যার নাম দেওয়া হয়েছে ‘মহাকুম্ভ গ্রাম’। এই ‘গ্রাম’টিতে সুপার-ডিলাক্স ঘর, টেন্ট এবং বেশ কিছু ভিলা বানিয়েছে তারা। সেখানে প্রতিদিনের ঘরভাড়া ২০ হাজার থেকে ২৫ হাজার টাকা। আবার আরৈল ঘাটের পাশে একটা ‘ডোম সিটি’ নির্মিত হয়েছে। জমি থেকে ১৮ ফুট উঁচুতে গম্বুজ আকৃতির কাঁচের ঘর বানানো হয়েছে।যে দিনগুলোতে শাহী স্নান আছে, সেইসব দিনে হোটেলের ঘরভাড়া ১ থেকে দেড় লক্ষ টাকা নির্ধারিত করা হয়েছে।