Novelty device: যন্ত্রেই ফুটছে হাঁস মুরগীর ছানা

পেজ 3

নিউজ পোল ব্যুরো: ডিম থেকে ছানা তৈরি করতে আর প্রয়োজন নেই হাঁস মুরগীর। স্বপ্নের মত শোনালেও এটাই বাস্তব। স্বনির্ভরতার পথে এক নতুন পদক্ষেপ (Novelty device) মিঠুন বর্মনের। নিজের তৈরি যন্ত্রের (Novelty device) মাধ্যমে হাঁস ও মুরগী ছাড়া ডিম ফুটিয়ে ছানা উৎপাদনে সফল হয়েছেন, যা সকলের নজর কেড়েছে। ফালাকাটা ব্লকের জটেশ্বর ২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের পশ্চিম ডালিমপুরে তাঁর বাড়ি। একটি অভিনব যন্ত্র তৈরি করে তাকে লাগিয়ে দিয়েছেন মিঠুন। এমন একটি মেশিন তৈরি করেছেন যা হাঁস ও মুরগীর ডিমের তা দেওয়া ছাড়াই ২০ থেকে ২৮ দিনের মধ্যে ছানা ফোটাতে সক্ষম। তাঁর এই উদ্ভাবন স্বনির্ভরতা অর্জনে সাহায্য করেছে এবং তাঁর পরিবারের সদস্যদের মুখে হাসি ফিরিয়ে দিয়েছে।

নিউজ পোল ইউটিউব লিংক:  https://youtu.be/uVvk1b9UKnk

আগে অপারেটর হিসেবে কাজ করতেন ডালিমপুরের মিঠুন। সংসার ছিল অভাব অনটনে ভরা। একদিন হঠাৎ যন্ত্রপাতির সঙ্গে পরীক্ষা নিরীক্ষা করতে গিয়ে তিনি নিজের হাতে একটি শক্তিশালী হিটার তৈরি করেন যার সাহায্যে তিনি দেশের বিভিন্ন প্রজাতির হাঁস ও মুরগীর ডিম যেমন, করকনাথ, রাজহাঁস, খাকি ক্যাম্পবেল এবং আরআইআর ফুটিয়ে ছানা তৈরি করতে সক্ষম হন। বর্তমানে মিঠুনের বাড়ি থেকে অনেকেই হাঁস ও মুরগীর বাচ্চা নিয়ে পালন করছেন।

মিঠুন জানিয়েছেন, এই যন্ত্রটি তৈরি করতে সেরম কিছু যন্ত্রপাতি ব্যবহার করেননি। খুব সাধারণ জিনিসপত্র ব্যবহার করেছেন। এতে হাঁস মুরগীর ডিম ২০ থেকে ২৮ দিনের মধ্যে ফুটে ছানা হয়ে ওঠে। বর্তমানে মাসে ১৫ হাজার থেকে ২০ হাজার টাকা উপার্জন করেন। তিনি আরও বলেন, তাঁর স্ত্রী এই কাজে তাঁকে পূর্ণ সহযোগিতা করেছেন। তবে যদি প্রশাসনিক স্তরের সহযোগিতা পাওয়া যায় তাহলে তাঁর এই সাফল্য আরও এগিয়ে নিয়ে যেতে পারবেন বলে জানান।