Tangra Case: ‘পুণ্যের কাজই করেছে’, ট্যাংরা কাণ্ডে স্বীকারোক্তি দাদা প্রণয়ের

breakingnews অপরাধ কলকাতা

নিউজ পোল ব্যুরো: ভয়ঙ্কর ঘটনা ঘটেছিল কলকাতার ট্যাংরায় (Tangra Case)। উদ্ধার হয়েছিল তিন মহিলার মৃতদেহ। সেই দেহ উদ্ধারের পর থেকেই ঘটনার পরতে পরতে ছিল রহস্যের মোড়। যদিও সেই জট অনেকটাই কেটেছে। পুলিশ জানিয়েছে কেন কিভাবে হয়েছে এই হত্যাকাণ্ড(Murder)। সেই ঘটনায় বাড়ির দুই ছেলের দিকে প্রথম থেকেই ছিল সন্দেহের তীর। পুলিশের সেই সন্দেহ ঠিক প্রমাণিত হয়েছে। ট্যাংরার সেই কাণ্ডে এবার স্বীকারোক্তি দিলেন প্রণয় দে।

ট‌্যাংরার অভিজাত দে পরিবারের বড় ছেলে প্রণয় এনআরএস হাসপাতালের বেডে শুয়ে দিয়েছেন অকপট স্বীকারোক্তি। বললেন, কোনও পাপ করিনি। ভাই প্রসূনকে বলেছি ওর মেয়ে ও বাড়ির দুই বউকে মুক্তি দিতে। প্রসূন যা করেছে, তাকে খুন বলা যায় না। সে তিনজনকে মুক্তি দিয়ে পুণ্যের কাজই করেছে।” এখানেই শেষ নয় তিনি পুলিশকে আরও বলেন, “আমি মানসিকভাবে দুর্বল, তাই নিজের হাতে এই কাজ না করে প্রসূনকে দিয়ে করিয়েছি।” কাউকে মুক্তি দিলে পুণ‌্য অর্জন হয় এই তত্বেই খুন করা হয়েছে বলেই জানাচ্ছেন প্রণয়। পুলিশ জানিয়েছে, বাড়ির সকলে মিলে আত্মহত্যার পরিকল্পনা করেছিল। তাঁরা যেহেতু আধ্যাত্মিক মানুষ ছিলেন তাই পায়েসের মধ্যে ওষুধ মিশিয়ে খান। কিন্তু সেই ওষুধ কাজ না করাতেই নেন পরবর্তী পদক্ষেপ। পুলিশ জানিয়েছে, প্রণয়ের ভাই প্রসূন প্রথমে মুখে বালিশ চাপা দিয়ে নিজের মেয়ে প্রিয়ংবদাকে খুন করে। তারপর বাকিদের মৃত্যু নিশ্চিত করতে প্রথমে কাগজ কাটার ধারালো ছুরি দিয়ে ঘুমন্ত অবস্থায় হাতের শিরা ও গলা কেটে খুন করে দাদা প্রণয়ের স্ত্রী সুদেষ্ণাকে। তার পর প্রসূন নিজের স্ত্রী রোমির হাতের শিরা ও গলা কাটে। প্রতীপের হাতও কাটে। কিন্তু তাদের নাবালক ছেলে উঠে গেলে প্রণয় তার ভাই প্রসূনকে বারণ করে প্রতীপকে খুন করতে। এই নিয়েই প্রতীপকেও জেরা করছে পুলিশ।

আরও পড়ুন: https://thenewspole.com/2025/02/27/the-presence-of-mamata-banerjee-and-abhishek-banerjeetmc-state-conference/

উল্লেখ্য, মঙ্গলবারই ট্যাংরা কাণ্ডে (Tangra Case) পুলিশের হাতে এসেছে দে বাড়ির তিন মহিলার ময়না তদন্তের রিপোর্ট। সেখানে উল্লেখ করা হয়েছে আত্মহত্যা হয় দে বাড়ির তিন জনকে খুনই করা হয়েছে। রিপোর্টের ভিত্তিতে প্রণয় ও প্রসূন দে-কে জেরা করছে পুলিশ। সেখান থেকেই উঠে আসছে একাধিক চাঞ্চল্যকর সব তথ্য। তদন্তকারই অফিসাররা বলছেন এবার প্রসূনের স্বীকারোক্তি কেবল সময়ের অপেক্ষা। দে বাড়ির নাবালক ছেলেকে হোমে রাখা হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

নিউজ পোল ফেসবুক পেজের লিংক: https://www.facebook.com/share/1EA79Afcw5/