নিউজ পোল ব্যুরো: রাস্তা-ঘাটে চলতে গিয়ে বা গান শোনার সময় ইয়ারবাড (Earbuds) বা হেডফোন (Headphone) ব্যবহার করা প্রয়োজন হয়ে থাকে। সাধারণ হেডফোনে (Headphone) গান শুনতে বা কথা বলতে গেলে আশেপাশের পরিবেশের শব্দও কিছুটা শোনা যায়। এই unwanted বা অপ্রয়োজনীয় শব্দগুলো যেন না আসে তার জন্য অনেকেই ‘নয়েজ ক্যান্সেলেশন’ (Noise Cancellation) প্রযুক্তির হেডফোন ব্যবহার করে থাকেন। বর্তমানে নয়েজ ক্যান্সেলেশন (Noise Cancellation) ফিচারযুক্ত হেডফোন (Headphone) এবং ইয়ারবাডের (Earbud) চাহিদা অনেক বেশি।
আরও পড়ুন: Airtel IPTV Service: এয়ারটেল আনলো সেরা অফার! এবার একসঙ্গে সব বিনোদন
নয়েজ ক্যান্সেলেশন প্রযুক্তি কীভাবে কাজ করে?
নয়েজ ক্যান্সেলেশন (Noise Cancellation) একটি বিশেষ প্রযুক্তি যা আশেপাশের অপ্রয়োজনীয় শব্দ কমিয়ে দেয়। এটি সাধারণত দুটি পদ্ধতিতে কাজ করে। প্রথম পদ্ধতিতে, হেডফোনের মাইক্রোফোন চারপাশের শব্দগুলো ধরতে পারে এবং পরে সেই শব্দগুলোকে ফিল্টার করে দেওয়ার জন্য স্পিকারগুলির মাধ্যমে বিপরীত তরঙ্গ সৃষ্টি করে। এর ফলে আপনি শুধু সেই শব্দ শুনতে পান যা আপনি চান।
নিউজ পোল বাংলা ফেসবুক পেজের লিঙ্ক: https://www.facebook.com/share/1XhiZuM5DK/
নয়েজ ক্যান্সেলেশন কীভাবে কার্যকর?
শব্দ হল বাতাসে চলমান তরঙ্গ। এই তরঙ্গের প্রভাব আমরা কানের মাধ্যমে শুনতে পাই। নয়েজ ক্যান্সেলেশন হেডফোনে একটি বিশেষ মাইক্রোফোন থাকে যা পরিবেশের শব্দকে শনাক্ত করে। তাদের বিপরীত তরঙ্গ তৈরি করে। এই বিপরীত তরঙ্গের মাধ্যমে unwanted শব্দগুলো বাতিল হয়ে যায়। এই প্রযুক্তিটি সাধারণত ‘অ্যাকটিভ নয়েজ ক্যান্সেলেশন’ (ANC) হিসেবে পরিচিত।
নয়েজ ক্যান্সেলেশন হেডফোনের তিনটি ধরনের প্রযুক্তি রয়েছে:
1.অ্যাকটিভ নয়েজ ক্যান্সেলেশন (ANC): এটি মাইক্রোফোন এবং স্পিকার ব্যবহার করে ব্যাকগ্রাউন্ড শব্দ কমাতে সাহায্য করে। এটি সাধারণত বড় আকারের হেডফোনে ব্যবহার করা হয়, কিন্তু এখন ছোট ডিজাইনের ইয়ারবাডেও পাওয়া যাচ্ছে।
2.প্যাসিভ নয়েজ ক্যান্সেলেশন: এতে বিশেষ ধরনের ইয়ার কাপ ব্যবহার করা হয় যা বাইরের শব্দ শোনার ক্ষমতা কমিয়ে দেয়।
3. অ্যাডাপটিভ অ্যাকটিভ নয়েজ ক্যান্সেলেশন: এই প্রযুক্তি আশেপাশের পরিবেশের শব্দের উপর ভিত্তি করে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ক্যান্সেলেশন অ্যাডজাস্ট করে।
নিউজ পোল বাংলা ইউটিউব লিঙ্ক: https://youtube.com/@newspolebangla?si=mYrQvXTBQ1lG3NFT
নয়েজ ক্যান্সেলেশন হেডফোনের অনেক সুবিধা রয়েছে। এটি বিশেষভাবে সুবিধাজনক যখন আপনি বিমান বা ট্রেনে ভ্রমণ করছেন। কারণ এতে বাইরের শব্দ কমে যায় এবং দীর্ঘ ভ্রমণে আরামদায়ক অনুভূতি প্রদান করে। তাছাড়া এটি কাজের পরিবেশে, পড়াশোনার সময় বা যখন আপনার কোনো কিছুতে মনোযোগ দিতে হয় তখন অত্যন্ত কার্যকর।