নিউজ পোল ব্যুরো: নতুন ওয়াকফ সংশোধনী আইন (Waqf Act) নিয়ে দেশজুড়ে তীব্র প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ দেখা দিয়েছে। সংখ্যালঘু মুসলিম সম্প্রদায়ের একটি বড় অংশ এই আইনকে মুসলিম স্বার্থবিরোধী বলে মনে করছে। ইসলামিক সংগঠন থেকে শুরু করে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল একযোগে এই আইনের বিরোধিতা করে সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) মামলা দায়ের করেছে।
আরও পড়ুন: Chief Justice of India: জেনে নিন বিচারপতি সঞ্জীব খান্নার পর কে হচ্ছেন ভারতের প্রধান বিচারপতি
২ এপ্রিল গভীর রাতে লোকসভায় ওয়াকফ সংশোধনী বিল (Waqf Act) পাশ হয় এবং ৩ এপ্রিল মধ্যরাতে তা রাজ্যসভাতেও অনুমোদিত হয়। ৫ এপ্রিল রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু (Draupadi Murmu) স্বাক্ষর করার পর এই বিলটি আইনে পরিণত হয়। এরপর থেকেই দেশজুড়ে ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। মামলার শুনানি শুরু হয় সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court)। যেখানে প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের বেঞ্চ বিষয়টি খতিয়ে দেখে।
আদালতে মামলাকারীদের পক্ষে ছিলেন বিশিষ্ট আইনজীবীরা – কপিল সিব্বল, রাজীব ধবন এবং অভিষেক মনু সিংভি। কেন্দ্রের হয়ে আদালতে সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা সওয়াল করেন। শুনানির সময় কেন্দ্র জানায়, যতদিন না এই মামলার (Waqf Act) নিষ্পত্তি হচ্ছে, ততদিন পর্যন্ত ওয়াকফ হিসেবে ঘোষিত বা ওয়াকফ ব্যবহারকারী হিসেবে চিহ্নিত কোনও সম্পত্তির চরিত্র পরিবর্তন করা যাবে না।
সর্বোচ্চ আদালত কেন্দ্রকে সাতদিনের মধ্যে জবাব জমা দেওয়ার নির্দেশ দেয় এবং জানায় যে, পরবর্তী শুনানির দিন ৫ মে দুপুর ২টায় নির্ধারিত হয়েছে। আদালত আরও নির্দেশ দেয়, মামলার নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত ওয়াকফ বোর্ড বা ওয়াকফ কাউন্সিলে কোনও অমুসলিম সদস্য নিযুক্ত করা যাবে না।
নিউজ পোল বাংলা ইউটিউব লিঙ্ক: https://youtube.com/@newspolebangla?si=mYrQvXTBQ1lG3NFT
শুনানিতে বলা হয়, যেসব সম্পত্তিকে নতুন আইনের আওতায় ওয়াকফ হিসেবে ঘোষণা করা হবে, সেগুলোর ক্ষেত্রে সরকারি তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত কোনও সিদ্ধান্ত কার্যকর করা যাবে না। এছাড়া ওয়াকফ বোর্ডে দু’জন সরকারি প্রতিনিধি ছাড়া বাকি সদস্যদের অবশ্যই ইসলাম ধর্মাবলম্বী হতে হবে।
সিপিএম, তৃণমূল, আইএসএফ, আরজেডি-সহ একাধিক রাজনৈতিক দল ও সংগঠন এই সংশোধনীর বিরুদ্ধে মামলা করেছে। তাদের অভিযোগ, এই সংশোধনীর ফলে ওয়াকফ বোর্ডের ক্ষমতা ও কার্যকারিতা হ্রাস পাচ্ছে, যা মুসলিম সম্প্রদায়ের স্বার্থে বিরূপ প্রভাব ফেলতে পারে।