নিউজ পোল ব্যুরো: চমকে দেওয়ার মতো খবর এল একেবারে লক্ষ্মীবারে। বিয়ে করছেন বিজেপির (BJP) প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh Marriage)। শুক্রবার (Friday) নিউটাউনের (Newtown) নিজের বাড়িতেই রেজিস্ট্রির মাধ্যমে চার হাত এক করলেন দিলীপ (Dilip Ghosh Marriage) ও রিঙ্কু মজুমদার (Rinku Majumdar)। পাত্রীর বয়স ৪৭। পেশায় তিনি বিজেপি (BJP) মহিলা মোর্চার নেত্রী। আগের এক সম্পর্ক থেকে তাঁর একটি ২৫ বছর বয়সী পুত্র রয়েছে। ছেলের সম্মতি নিয়েই রিঙ্কু এই নতুন জীবনের পথে পা রেখেছেন। দিলীপ ঘোষের (Dilip Ghosh Marriage) বয়স বর্তমানে ৬১।
তবে দিলীপ ঘোষ একমাত্র নন, গত কয়েক বছরে বাংলায় একাধিক বিশিষ্ট ব্যক্তি প্রৌঢ় বয়সে বিয়ের সিদ্ধান্ত নিয়ে চমকে দিয়েছেন সকলকে।

আরও পড়ুন: Dilip Ghosh Wedding : দিলীপ না রিঙ্কু, কে প্রথম কাছে এসেছেন?
অরুণ লালের ভালোবাসার দ্বিতীয় ইনিংস
২০২২ সালের মে মাসে ৬৬ বছর বয়সে জীবনের দ্বিতীয় ইনিংস শুরু করেন বাংলার প্রাক্তন ক্রিকেটার ও কোচ অরুণ লাল (Arun Lal)। বহুদিনের সঙ্গী বুলবুলের সঙ্গে তাঁর বিয়ে হয় কলকাতার একটি পাঁচতারা হোটেলে। দীর্ঘদিন ক্যানসারের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের পর এই বিয়ে যেন নতুন করে বাঁচার আনন্দ এনে দেয় তাঁকে। লাল পাঞ্জাবি ও ধুতি পরে বিয়েতে উপস্থিত হন অরুণ লাল, বুলবুল পরেছিলেন লাল বেনারসী। কাছের আত্মীয় ও বন্ধুরাই ছিলেন সাক্ষী।

আশিস বিদ্যার্থীর দ্বিতীয় দাম্পত্য জীবন শুরু ষাটে
প্রখ্যাত অভিনেতা আশিস বিদ্যার্থী ২০২৩ সালের ২৫ মে ৬০ বছর বয়সে দ্বিতীয়বার বিয়ে করেন গুয়াহাটির (Guwahati) বাসিন্দা ও ফ্যাশন উদ্যোক্তা রূপালি বড়ুয়াকে। কলকাতার এক ক্লাবে রেজিস্ট্রির মাধ্যমে এই বিয়ে সম্পন্ন হয়। আশিস বলেন, ‘এই বয়সে রূপালির সঙ্গে বিয়ে করার অভিজ্ঞতা অসাধারণ।’

৭৭-এ নতুন জীবনসঙ্গী লক্ষ্মণ শেঠের
২০২৩ সালে ৭৭ বছর বয়সে দ্বিতীয়বার বিয়ে করেন হলদিয়ার প্রাক্তন সিপিএম সাংসদ লক্ষ্মণ শেঠ। তাঁর পছন্দের মানুষ মানসী দে। বয়স ৪২, একজন কর্পোরেট আধিকারিক। বিয়ের পর তিনি জানান, ‘আমি চেয়েছিলাম এমন একজন, যার সঙ্গে দিনশেষে কিছু কথা ভাগ করে নেওয়া যায়। ও শিক্ষিতা রাজনীতিতে সক্রিয় নন, কিন্তু রাজনীতি সচেতন।’

স্নেহাশিস গঙ্গোপাধ্যায়ের ঘরোয়া শুভ পরিণয়
বাংলার প্রাক্তন ক্রিকেটার ও CAB সভাপতি স্নেহাশিস গঙ্গোপাধ্যায় ২০২৪ সালে, ৫৯ বছর বয়সে দ্বিতীয়বার বিয়ে করেন। পাত্রী কর্পোরেট দুনিয়ার পরিচিত মুখ। দীর্ঘদিন ধরে তাঁদের মধ্যে বন্ধুত্ব ছিল। দুই পরিবারের সম্মতিতেই এই সম্পর্ক বিবাহে পরিণত হয়। কলকাতায় একান্ত ঘরোয়া পরিবেশে হয় বিয়ের আয়োজন, যেখানে সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়, ডোনা ও সানা-সহ কয়েকজন ঘনিষ্ঠ আত্মীয়-বন্ধু উপস্থিত ছিলেন।
