নিউজ পোল ব্যুরো: পাকিস্তানের (Pakistan). “ব্রহ্মপুত্র জলের অস্ত্রায়ন” তত্ত্বকে খণ্ডন করে আসামের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা (Himanta Sarma) সোজাসাপটা জানিয়ে দিলেন, চিন (China) যদি ব্রহ্মপুত্র নদে জলপ্রবাহ কমিয়েও দেয়, তাহলেও আসামের (Assam) জন্য তা আশীর্বাদ হয়ে উঠবে। তার মতে, এতে বার্ষিক বন্যার ভয়াবহতা অনেকটাই হ্রাস পাবে, যা রাজ্যের লক্ষ লক্ষ মানুষকে প্রতি বছর ক্ষতিগ্রস্ত করে।
সম্প্রতি পাকিস্তানের (Pakistan) প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফের (Shehbaz Sharif) এক শীর্ষ উপদেষ্টা দাবি করেন, ভারত যদি সিন্ধু জল চুক্তি (Indus Treaty Water) স্থগিত করে, তবে চিন (China) তার ‘চিরবন্ধু’ পাকিস্তানের পক্ষে ব্রহ্মপুত্রের জলপ্রবাহ অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করতে পারে। এই দাবির জবাবে হিমন্ত শর্মা (Himant Sarma)এক্স (পূর্বতন টুইটার)-এ বিশ্লেষণভিত্তিক পোস্টে বলেন, এটি একেবারেই ভিত্তিহীন ও বিভ্রান্তিকর।
তিনি ব্যাখ্যা করেন, ব্রহ্মপুত্র কোনো একক উৎসনির্ভর নদ নয়। নদীটির মোট জলপ্রবাহের মাত্র ৩০-৩৫% চিনের তিব্বত অংশ থেকে আসে, যা গলে যাওয়া হিমবাহ এবং কিছু সীমিত বৃষ্টিপাত থেকে। বাকি ৬৫-৭০% জল আসে ভারতের নিজস্ব বৃষ্টিপাত, উপনদী ও পাহাড়ি জলধারাগুলির মাধ্যমে—বিশেষ করে খাসি, গারো ও জৈন্তিয়া পাহাড় অঞ্চল থেকে।
শর্মা (Himant Sarma) আরও বলেন, “ব্রহ্মপুত্র একটি মৌসুমভিত্তিক বৃষ্টিনির্ভর নদ, যা ভারতের ভূখণ্ডে প্রবেশের পর প্রকৃত শক্তি অর্জন করে।” ২০২২ সাল থেকে চীন এই নদী বিষয়ে তথ্য ভাগ করা বন্ধ করলেও ভারত ও চিনের (India-China) মধ্যে ব্রহ্মপুত্র নিয়ে কোনও বাধ্যতামূলক জলচুক্তি নেই।
সরাসরি পাকিস্তানকে (Pakistan) আক্রমণ করে তিনি বলেন, “যে দেশ ৭৪ বছর ধরে সিন্ধু চুক্তির সুযোগ নিয়েছে, এখন সেই পাকিস্তান ভারতের সার্বভৌম সিদ্ধান্তে আতঙ্কিত। ভারত জল ব্যবহার নিয়ে তার ন্যায্য অধিকার প্রতিষ্ঠা করছে, এটা ভয় পাওয়ার নয়, স্বাভাবিক অধিকার প্রয়োগ।”
নিউজ পোল বাংলা ইউটিউব লিঙ্ক:- https://youtube.com/@newspolebangla?si=mYrQvXTBQ1lG3NFT