নিউজ পোল ব্যুরো: পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হানার পর (Pahalgam Terror Attack) একপ্রকার জবাব দিয়েই ‘অপারেশন সিঁদুর’ (Operation Sindoor) শুরু করে ভারতীয় সেনা। লক্ষ্য ছিল পাকিস্তানের (Pakistan) নিয়ন্ত্রণে থাকা জঙ্গি ঘাঁটিগুলো। সেই অভিযানে সাফল্য মিললেও উত্তপ্ত পরিস্থিতি ছড়ায় সীমান্ত জুড়ে।মুহুর্মুহু গোলাবর্ষণ, ড্রোন হামলা, পাল্টা আক্রমণ। শেষে চার দিনের সংঘর্ষবিরতি হলেও উত্তেজনার পারদ এখনও চড়া। এবার সেই রেশ ছড়াল সিঙ্গাপুর পর্যন্ত শাংগ্রি-লা সংলাপের আন্তর্জাতিক মঞ্চে মুখোমুখি হলেন ভারত ও পাকিস্তানের (India Pakistan Tension) শীর্ষ সেনাকর্তারা।
আরও পড়ুন: India US Trade Deal: নতুন দিগন্তে ভারত-মার্কিন সম্পর্ক: এগিয়ে আসছে ঐতিহাসিক বাণিজ্য চুক্তি
এই বৈঠকে ভারতের প্রতিরক্ষা প্রধান, জেনারেল অনিল চৌহান (Anil Chauhan) স্পষ্ট ভাষায় জানান, “অপারেশন সিঁদুর (Operation Sindoor) আমাদের সহ্যের সীমার শেষ রেখা টেনে দিয়েছে। সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে ভারত (India Pakistan Tensions) আর নীরব থাকবে না। যেকোনো উস্কানিতে জবাব দেওয়া হবে আগের থেকেও কঠোরভাবে।”
পাল্টা প্রতিক্রিয়ায় পাকিস্তানের (Pakistan) সেনাপ্রধান জেনারেল শাহিদ সমশাদ মির্জা কাশ্মীর প্রসঙ্গ টেনে বলেন, “এই সমস্যা (India Pakistan Tensions) যতদিন অমীমাংসিত থাকবে, ততদিন শান্তির আশা করা বৃথা। সংঘর্ষ এড়াতে যদি আন্তর্জাতিক মহল মধ্যস্থতার সুযোগ না নেয়, তা হলে ভবিষ্যতে আর সময় থাকবে না।”
এই উত্তপ্ত বাক্যবিনিময় ঘটে ‘আঞ্চলিক সংকট ব্যবস্থাপনা’ প্যানেল আলোচনার সময়, যেখানে সামরিক কূটনীতি নিয়ে আলোচনা হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু দুই দেশের সাম্প্রতিক সংঘর্ষ এবং সন্ত্রাসবাদ ঘিরে বাগযুদ্ধই মূল হয়ে দাঁড়ায়।
বিশেষজ্ঞদের একাংশ প্রশ্ন তুলছেন, পহেলগাঁও হামলা কি ইচ্ছাকৃতভাবে ঘটানো হয়েছিল কাশ্মীর ইস্যুকে (Kashmir Issue) আবারও আন্তর্জাতিক মঞ্চে টেনে তোলার জন্য? কারণ, জেনারেল মির্জা নিজেই বলেন, “যখন কোনও সঙ্কট থাকে না, তখন কাশ্মীর নিয়েও কথা ওঠে না।”
ভারতীয় সেনার (Indian Army) তরফে এটাও স্পষ্ট করে দেওয়া হয়েছে—যুদ্ধবিরতির পরও তারা সতর্ক এবং প্রস্তুত। ‘অপারেশন সিঁদুর’ কেবল প্রতিরক্ষা নয়, ভারতের কৌশলগত মনোভাবের বদলের প্রতীক। এখন দেখার, পাকিস্তান আদৌ শিক্ষা নেয় কিনা।
নিউজ পোল বাংলা ইউটিউব লিঙ্ক:- https://youtube.com/@newspolebangla?si=mYrQvXTBQ1lG3NFT