Suvendu Adhikari Tiranga Rally:”গজা-প্যাঁড়ায় ১০০ কোটি!” – ঠাকুরনগরে শুভেন্দুর নজিরবিহীন আক্রমণে উত্তপ্ত রাজ্য রাজনীতি

রাজনীতি রাজ্য

নিউজ পোল ব্যুরো:ভারতীয় সেনাবাহিনীর কথিত ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর সাফল্য উদযাপন এবং জাতীয়তাবাদী চেতনা ছড়িয়ে দিতে রবিবার ঠাকুরনগরে এক বিশাল তিরঙ্গা যাত্রার আয়োজন করল ভারতীয় জনতা পার্টি। রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari Tiranga Rally) নেতৃত্বে আয়োজিত এই কর্মসূচিতে ব্যাপক জনসমাগম হয়। হাজার হাজার বিজেপি কর্মী ও সমর্থক জাতীয় পতাকা হাতে ঠাকুরনগরের রাজপথে অংশগ্রহণ করেন।

আরও পড়ুন:https://thenewspole.com/2025/06/22/sourav-ganguly-political-entry-rumour-2026/

এই কর্মসূচির মধ্য দিয়ে বিজেপি একাধিক রাজনৈতিক বার্তা স্পষ্ট করেছে—সেনাবাহিনীর সাহসিকতার প্রশংসা, মতুয়া সম্প্রদায়ের প্রতি প্রতিশ্রুতি পুনরাবৃত্তি এবং রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে কড়া অবস্থান। বিশেষজ্ঞদের মতে, আগামী লোকসভা নির্বাচনের আগে ঠাকুরনগরের মাটি থেকেই মতুয়া ভোটব্যাঙ্কে দখলদারির লড়াইয়ে স্পষ্ট অবস্থান নিল বিজেপি।

শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari Tiranga Rally) তাঁর ভাষণে বলেন, “ভারতীয় সেনাবাহিনী রাতদিন দেশের সীমান্তে পাহারা দিচ্ছেন। ‘অপারেশন সিঁদুর’ সেই সাহসিকতারই এক উজ্জ্বল নিদর্শন। আমরা গর্বিত। বিজেপির প্রথম শর্তই হল ‘নেশন ফার্স্ট’—দেশ আগে, তারপর বাকি সবকিছু।”

তিনি আরও বলেন, “যে জাতি নিজের সেনাবাহিনীর মর্যাদা রক্ষা করতে পারে না, সেই জাতি মাথা তুলে বাঁচতে পারে না। আজকের তিরঙ্গা যাত্রা সেনাদের শ্রদ্ধা জানানো এবং জাতীয়তাবাদকে স্মরণ করার একটি মাধ্যম।”

মতুয়া সম্প্রদায়কে লক্ষ্য করে শুভেন্দু বলেন, “দীর্ঘদিন ধরে নাগরিকত্বের দাবিতে মতুয়ারা আন্দোলন করে আসছেন। একমাত্র বিজেপিই এই দাবিকে বাস্তবায়িত করার জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। মোদীজির নেতৃত্বে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন (CAA) কার্যকর হবে। যাঁরা এখনও নাগরিকত্ব পাননি, তাঁরা খুব শিগগিরই তা পাবেন।”

তিনি জমি সংক্রান্ত সমস্যার প্রসঙ্গ টেনে বলেন, “মতুয়াদের জমি সংক্রান্ত বহু সমস্যা এখনও মেটেনি। বিজেপি সরকার এ নিয়ে সচেষ্ট এবং ভবিষ্যতে এই সমস্যা সমাধানে কার্যকর পদক্ষেপ নেবে।”

নিউজ পোল বাংলা ইউটিউব লিঙ্ক:https://youtube.com/@newspolebangla?si=mYrQvXTBQ1lG3NFT

তৃণমূল কংগ্রেস সরকারের বিরুদ্ধে তীব্র আক্রমণ শানান শুভেন্দু। তিনি বলেন, “বাংলার আইনশৃঙ্খলা এখন ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। নারী সুরক্ষা বলে কিছু নেই। প্রতিদিন মা-বোনেরা আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন। আর সরকার দেখছে না, শুনছে না।”

তিনি আরও অভিযোগ করেন, “গজা-প্যাঁড়ার মতো দুর্নীতির ঘটনা থেকে পরিষ্কার, এই সরকার দুর্নীতিতে ডুবে গেছে। ১০০ কোটি টাকার লুঠ হয়েছে। সাধারণ মানুষের ট্যাক্সের টাকা চলে যাচ্ছে কিছু প্রভাবশালীদের পকেটে।”