নিউজ পোল ব্যুরোঃ গুলির লড়াই! পুলিশ ও মাওবাদীর তুমুল সংঘর্ষ। মঙ্গলবার সকালে পুলিশ ও মাওবাদীর তুমুল সংঘর্ষের জেরে উত্তপ্ত হল ছত্তিশগর-ওড়িশা বর্ডার। এরইমধ্যে গ্রেফতার করা হয়েছে ১৫ জনকে। এনকাউন্টার চলছে এখনও।
৩৬ ঘন্টা অভিযান বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্সের। পুলিশ মাওবাদীর খন্ড যুদ্ধে তুলকালাম কান্ড। এরই মধ্যে এনকাউন্টার করা হয়েছে ১৫ জন মাওবাদীকে। যার মধ্যে দুইজন মহিলা বলে নিশ্চিত করেছে ছত্রিশগড় থানার পুলিশ। সূত্রের খবর এই অভিযান আসলে ২০২৬ সালের মধ্যে ‘নকশালদের অবসান’ অঙ্গীকারের অংশ।
এনকাউন্টারের পর থেকে এখনো পর্যন্ত চলছে গোলাগুলি। গতকাল সোমবার রাতে জিআরপি (ডিস্ট্রিক রিজার্ভ গার্ড), সিআরপিএফ (সেন্ট্রাল রিজার্ভ পুলিশ ফোর্স), এসওজি (উড়িষ্যার স্পেশাল অপারেশন গ্রুপ) এবং ছত্রিশগড়ের কোবরার যৌথ দল এই অভিযান চালায়। পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের তৎপরতায় খবর পেয়ে সোমবার রাত থেকেই চলে অভিযান। অভিযানের চলাকালীন খতম করা হয় দুই মহিলা মাওবাদীকে। রাইফেল সহ প্রচুর আগ্নেয়স্ত গোলাবারুদ এবং আইইডি উদ্ধার করা হয়।
কি এই ‘নকশালদের অবসান’ ?
ছয় ই জানুয়ারি ছত্রিশগড়ের বিজাপুর এ মাওবাদীরা আইইডি বিস্ফোরণ ঘটান। একটি সেনার গাড়ি উড়িয়ে দেন মাওবাদীরা। গাড়িটিতে ছিলেন প্রায় আটজন জিআর জি এবং একজন চালক। মাওবাদীদের আকস্মিক আক্রমণে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় তাঁদের। এরপরেই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ২০২৬ এ ‘নকশালদের অবসান’ নামের প্রতিশ্রুতি দেন। যেখানে তিনি প্রতিশোধ নেওয়ার কথা স্পষ্টও জানিয়ে দেন। এরপরে ই শুরু হয় ভয়ংকর বিস্ফোরণের প্রতিশোধ নেওয়ার তোড়জোড়, যার ফলস্বরূপ আজ মঙ্গলবার উত্তপ্ত হয়ে ওঠে বর্ডার।