Kumbh Mela: মহাকুম্ভে নিখোঁজ আতঙ্ক!

breakingnews আন্তর্জাতিক দেশ

নিউজ পোল ব্যুরো: ছিলেন সঙ্গেই, আচমকা নিখোঁজ! মহাকুম্ভে (Kumbh Mela) এবার নিখোঁজ আতঙ্ক। হঠাৎই উধাও কাটোয়ার প্রৌঢ়া। অনেক চেষ্টার পর খুঁজে না পাওয়াতে অবশেষে পুলিশের দ্বারস্থ পরিবার। পুলিসের দ্বারস্থ হয়েছেন তাঁর মেয়ে। মায়ের খোঁজ পেতে পোস্ট দিয়েছেন সোশ্যাল মিডিয়াতেও।

https://thenewspole.com/2025/03/26/sajna-danta-recipes-bengali/

নিখোঁজ ওই প্রৌঢ়া কাটোয়ার বাসিন্দা, নাম আলপনা হালদার। আচমকা তিনি উধাও সেকথা জানিয়েছেন তাঁরই মেয়ে। তাঁদের বাড়ি কাটোয়ার সুদপুরে। ২৪ জানুয়ারি কটোয়া থেকে প্রয়াগরাজে মহাকুম্ভ মেলার (Kumbh Mela) উদ্দেশে রওনা দেন প্রৌঢ়া। সে সময়তাঁর সঙ্গে ছিলেন আরও ১৩ জন সহযাত্রী। তাঁরা সকলেই কমবেশি প্রৌঢ়ার গ্রাম সম্পর্কের আত্মীয়।২৪ জানুয়ারি বিকেলে কাটোয়া থেকে ট্রেনে প্রথমে বর্ধমান আসেন তাঁরা।

https://www.facebook.com/share/p/14ntxvWaWn/

এরপর সেখান থেকে বর্ধমান ধরে প্রয়াগরাজে যাওয়ার কথা ছিল। সেই মতোই বেরিয়েছিলেন তাঁরা, কিন্তু সেখানেও বিপত্তি। মেয়ের বর্ণালী হালদারের দাবি, রওনার পরের দিন ২৫ জানুয়ারি থেকে মা’র খোঁজ পাননি তিনি। সেদিন দুপুর ১ টা থেকে , তাঁর কোনও খোঁজ পাওয়া যায়নি। এরপরেই বিকেলে তিনি মায়ের নিখোঁজ হওয়ার খবর পান। ফোনে তাঁকে মায়ের নিখোঁজ হওয়ার খবর জানান সঙ্গে থাকা আত্মীয়রা।

https://youtu.be/P29UjdiL1dw?si=X9tLLJp6AZAGoS8I

বর্ণালী জানিয়েছেন, এরইমধ্যে তড়িঘড়ি কুম্ভমেলায় পুলিস ক্যাম্পে জানানো হয়েছে ঘটনাটি। তবে এখনও ওই প্রৌঢ়ার কোনও খোঁজ মেলেনি। তাই স্বাভাবিকভাবেই উদ্বেগে রয়েছে পরিবার। কিন্তু এই ঘটনার পর থেকেই মেলাকে ঘিরে ব্যাপক আতঙ্ক ছড়িয়েছে সাধারণের মনে। মেলার নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন যাত্রীদের বৃহৎ অংশ।

পশ্চিম মেদিনীপুরের বাসিন্দা শুভেন্দু তেওয়ারি বলেন, ‘প্রচুর লোক সমাগম হয়েছিল। রাস্তাতেই বুঝেছিলাম প্রচুর ভিড় হবে স্নানের সময়। ভোরবেলা ঘুম ভাঙতে দেরি হওয়ায় ঘটনার বেশ কিছুক্ষণ পরে ঘাটে গিয়েছিলাম। এটা হয়তো আমাদের ভাগ্যে ছিল। না হলে যে কী হতো?’

হুগলির সিঙ্গুরের বাসিন্দা রাজু রুইদাস বলেন, ‘মাইকে একবার ঘোষণা  হলো হুড়োহুড়ি করবেন না। আস্তে আস্তে স্নান করে নেবেন।‌ কিছুক্ষণ পরে ব্যারিকেড ভেঙে পদপিষ্ট হয়ে দুর্ঘটনা ঘটল। ঘটনার পর তো ওখানে  কাউকে যেতে দেয়নি। পরে স্নান সেরে আসবার সময় দেখলাম চারিদিকে কম্বল, ব্যাগ, জুতো, ঘট, জামা-প্যান্ট  পড়ে আছে। তবে অসম্ভব ভিড় ছিল এলাকায়। পা রাখার জায়গা ছিল না।’