নিউজ পোল ব্যুরো: প্রেমিকের মৃত্যুশোক সহ্য করতে না পেরে আত্মঘাতী হলেন এক দশম শ্রেণির ছাত্রী। বুধবার নিজের বাড়িতেই গলায় ওড়নার ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে পূজা রায় নামের ওই কিশোরী।
২ ফেব্রুয়ারি, রবিবার রাতে নদিয়ার কাঁঠালিয়া এলাকার চার কিশোর বাইকে চেপে সরস্বতী পূজার মণ্ডপ দেখে ফিরছিল। প্রত্যেকের বয়স ১৬ থেকে ১৮ বছরের মধ্যে। করিমপুর থানার কানাইখালি এলাকায় আচমকাই নিয়ন্ত্রণ হারায় বাইকটি। প্রত্যক্ষদর্শীদের মতে, প্রথমে একটি লরির ধাক্কা লাগে, তারপর একটি বন্ধ দোকানের শাটারে সজোরে আছড়ে পড়ে বাইকটি। গুরুতর আহত চারজনকেই দ্রুত উদ্ধার করে স্থানীয় ব্লক হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। তবে চিকিৎসক দু’জনকে মৃত বলে জানান। অপর দু’জনকে অন্য হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হলেও শেষরক্ষা হয়নি, তাঁদেরও মৃত্যু হয়। নিহত চারজনের মধ্যে একজন ছিলেন পূজা রায়ের প্রেমিক। মৃত্যুসংবাদ পাওয়ার পর থেকেই মানসিকভাবে ভেঙে পড়ে পূজা। সে বেতাই উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্রী।
পরিবার সূত্রের খবর, ঘটনার পর থেকে মেয়েটি কিছুতেই নিজেকে সামলাতে পারছিল না। তার বাবা পরিযায়ী শ্রমিক, কাজের সূত্রে বিদেশে থাকেন। পূজা তার মা পায়েল ও দুই ভাইবোনের সঙ্গে বেতাইয়ের উচ্চজিতপুর তাবুপাড়া গ্রামে থাকত।
বুধবার বাড়িতে কেউ না থাকার সুযোগে পূজা গলায় ওড়নার ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করে। বাড়ি ফিরে মেয়ের ঝুলন্ত দেহ দেখে কান্নায় ভেঙে পড়েন মা পায়েল। খবর দেওয়া হয় বেতাই থানায়। পুলিশ এসে দেহ উদ্ধার করে এবং ময়নাতদন্তে পাঠায়। পরিবারের দাবি, প্রেমিকের মৃত্যু মানতে না পেরেই আত্মঘাতী হয়েছে পূজা। তবে বাড়ি থেকে কোনো সুইসাইড নোট পাওয়া যায়নি। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। শোকের ছায়া নেমে এসেছে বেতাইয়ের উচ্চজিতপুর তাবুপাড়া গ্রামে।