নাম বদলের খাতায় এবার ‘জোম্যাটো’

দেশ

নিউজ পোল ব্যুরো: প্রযুক্তির অগ্রগতির সঙ্গে তাল মিলিয়ে অনলাইন ফুড ডেলিভারি পরিষেবা আজকের ব্যস্ত জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে উঠেছে। রাত হোক বা দিন, কয়েকটি ট্যাপেই পছন্দের খাবার পৌঁছে যায় দরজায় দরজায়। ভারতের অন্যতম জনপ্রিয় ফুড ডেলিভারি প্ল্যাটফর্ম জোম্যাটোও এই ক্ষেত্রে বড় ভূমিকা পালন করছে। তবে এবার সংস্থাটি নিজেদের নতুন পরিচয়ে তুলে ধরতে চলেছে। পরিবর্তন আসছে তাঁদের নামেও। ভারতের অন্যতম জনপ্রিয় অনলাইন ফুড ডেলিভারি প্ল্যাটফর্ম জোম্যাটো এবার থেকে ‘ইটারনাল’ (Eternal) নামে পরিচিত হবে। সংস্থার সহ-প্রতিষ্ঠাতা ও সিইও দীপিন্দর গোয়েল এই ঘোষণা করেছেন। এরই মধ্যে সংস্থার বোর্ড অফ মেম্বারস এই সিদ্ধান্তকে অনুমোদন দিয়েছে, এবং শীঘ্রই শেয়ার হোল্ডারদের চূড়ান্ত সম্মতি পেলেই নতুন নাম আনুষ্ঠানিকভাবে কার্যকর করা হবে।

এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, বৃহস্পতিবার স্টক এক্সচেঞ্জ ফাইলিংয়ের মাধ্যমে জোম্যাটোর পক্ষ থেকে এই পরিবর্তনের বিষয়ে তথ্য জানানো হয়েছে। দীপিন্দর গোয়েল শেয়ারহোল্ডারদের উদ্দেশ্যে লেখা এক চিঠিতে উল্লেখ করেছেন, বোর্ড যখন নতুন নামের অনুমোদন দিয়েছে, তখন শেয়ারহোল্ডারদের সমর্থনও সংস্থার কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। নতুন নাম চূড়ান্ত অনুমোদন পেলেই জোম্যাটো ডট কম-এর কর্পোরেট ওয়েবসাইট বদলে ‘ইটারনাল ডট কম’ হয়ে যাবে। ফুড ডেলিভারি প্ল্যাটফর্মগুলোর অন্যতম প্রধান সমস্যা হল খাবারের অপচয়। অনেক সময় খাবার প্রস্তুত হয়ে যাওয়ার পরেও গ্রাহকরা তাঁদের অর্ডার বাতিল করে দেন, যার ফলে সেই খাবার নষ্ট হয়। এই সমস্যার সমাধান আনতে জোম্যাটো ‘ফুড রেসকিউ’ (Food Rescue) অপশন চালু করেছে। এই নতুন ফিচারের মাধ্যমে অর্ডার ক্যানসেল হওয়া খাবার আশপাশের অন্য গ্রাহকদের কাছে দ্রুত পাঠানোর ব্যবস্থা করা হবে। যাঁরা এই খাবার গ্রহণ করতে ইচ্ছুক, তাঁরা এটি কিনতে পারবেন সরকারি ট্যাক্স ছাড়া কোনো অতিরিক্ত মূল্য পরিশোধ না করেই। এছাড়া, নতুন গ্রাহক যখন এই খাবারের পেমেন্ট করবেন, তার সমস্ত তথ্য মূল গ্রাহকের কাছে পৌঁছে যাবে, যাতে স্বচ্ছতা বজায় থাকে।

নাম পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত এবং নতুন পরিষেবার সূচনা, দুটিই জোম্যাটোর নতুন দৃষ্টিভঙ্গির প্রতিফলন। ‘ইটারনাল’ নামটি সংস্থার দীর্ঘস্থায়ী ও ভবিষ্যৎমুখী লক্ষ্যকে নির্দেশ করে। পাশাপাশি, ‘ফুড রেসকিউ’ উদ্যোগ সংস্থার সামাজিক দায়বদ্ধতার প্রতিফলন। নতুন এই উদ্যোগ প্রযুক্তি ব্যবহার করে খাবারের অপচয় কমিয়ে পরিবেশ ও সমাজের উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। জোম্যাটোর নতুন এই পরিবর্তন কীভাবে গ্রাহক ও বাজারের ওপর প্রভাব ফেলবে, সেটাই এখন দেখার বিষয়।