SSKM Hospital: এসএসকেএম হাসপাতালে নজিরবিহীন সাফল্য: পাঁচ দিনে ১৮৫টি অপারেশন

কলকাতা শহর

নিউজ পোল ব্যুরো: পুনরায় নজির গড়ল রাজ্যের অন্যতম বৃহৎ সরকারি হাসপাতাল এসএসকেএম (SSKM Hospital)। মাত্র পাঁচ দিনে ১৮৫ জন রোগীর গলব্লাডার (Gallbladder Surgery) অপারেশন করে বিশ্বরেকর্ড স্থাপন করেছে এই হাসপাতাল। উল্লেখযোগ্য বিষয় হলো, রোগীদের বয়স সর্বনিম্ন ১৪ বছর থেকে সর্বোচ্চ ৮২ বছর পর্যন্ত। বর্তমানে প্রত্যেকেই সুস্থ আছেন এবং অধিকাংশ রোগী ইতিমধ্যেই হাসপাতাল(SSKM Hospital) থেকে ছুটি পেয়ে গিয়েছেন। হাসপাতালের(SSKM Hospital) কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, এই সংখ্যা ২০০-এ নিয়ে যাওয়ার লক্ষ্যে তারা কাজ করে চলেছেন। চিকিৎসকদের বিশ্বাস, খুব শীঘ্রই সেই লক্ষ্য পূরণ হবে। সাধারণত সরকারি হাসপাতালের ক্ষেত্রে রোগীদের বেড না পাওয়া ও দীর্ঘদিন ধরে অস্ত্রোপচারের জন্য অপেক্ষার অভিযোগ থাকে। তবে এই অপারেশন ড্রাইভ (Surgical Drive) সেই চিত্র বদলে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে।

এসএসকেএম হাসপাতালের (SSKM Hospital) জেনারেল সার্জারি বিভাগের অধ্যাপক এবং চিকিৎসক অভিমন্যু বসু (Abhimanyu Basu) জানিয়েছেন, “আমরা সাধারণত জটিল রোগগুলিতে বেশি মনোযোগ দিই। ফলে সাধারণ সমস্যাগুলি জমা হয়ে যায়। এবার আমরা চেষ্টা করেছি জমে থাকা গলব্লাডার(Gallbladder Operation)কেসগুলো দ্রুত সম্পন্ন করতে। আমরা প্রতিদিন ৩০-৪০টি অস্ত্রোপচার সম্পন্ন করেছি। জরুরি কেসগুলির প্রাধান্য দিয়েই অপারেশন সম্পন্ন হয়েছে।”এই প্রসঙ্গে চিকিৎসক দীপ্তেন্দ্র সরকার (Diptendra Sarkar) বলেছেন, “প্রান্তিক এলাকার রোগীদের সফল মাইক্রো সার্জারি (Micro Surgery) করে দ্রুত বাড়ি পাঠানো একটি বিরাট সাফল্য। যদি এই পদ্ধতিকে আরও উন্নত করা যায়, তাহলে এটি উন্নয়নশীল দেশগুলির জন্য একটি মডেল (Model for Developing Countries) হতে পারে।”

তবে প্রশ্ন উঠছে, কেন এত গলব্লাডার অপারেশন জমা হয়ে থাকে? এই বিষয়ে হাসপাতালের সার্জারি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক সিরাজ আহমেদ (Siraj Ahmed) জানিয়েছেন, “গলব্লাডারের সমস্যা(Gallbladder Problem) সবচেয়ে বেশি দেখা যায়। তবে এসএসকেএমের মতো বৃহৎ হাসপাতালে(SSKM Hospital) অন্যান্য জটিল রোগের জন্য গলব্লাডারের কেসগুলো আটকে যায়। এছাড়া, জেলা হাসপাতালগুলিতে যথাযথ পরিকাঠামো না থাকায় (Lack of Infrastructure) এসএসকেএমে(SSKM Hospital) রোগীর ভিড় বাড়ে।” সরকারি চিকিৎসকদের(Government Hospital Doctors) এই ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টার মাধ্যমে রোগীদের দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসান ঘটিয়ে দ্রুত সেবা প্রদানের এই দৃষ্টান্ত গোটা রাজ্যের জন্য একটি নতুন দিশা দেখাবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।