Boris Spassky: ঠান্ডা যুদ্ধের কি নোটস ‘স্প্যাস্কি’ — একযুগের অবসান

ক্রীড়া

নিউজ পোল স্পোর্টস ব্যুরো: প্রয়াত রাশিয়ার প্রাক্তন গ্র্যান্ডমাস্টার (Grandmaster) বরিস স্প্যাস্কি (Boris Spassky)। মৃত্যুকালে বয়স হয়েছিল ৮৮ বছর। ১৯৭২ সালে আমেরিকা (USA) এবং রাশিয়ার (Russia) মধ্যে ‘ঠান্ডা’ লড়াই (Cold War) চলার সময় আমেরিকার ববি ফিশারের (Bobby Fischer) সঙ্গে তাঁর দাবার (Chess) লড়াই ইতিহাস হয়ে আছে। যদিও শেষ পর্যন্ত জিতেছিলেন ফিশার। কিন্তু এই ম্যাচের মাধ্যমে বিশ্বব্যাপী সাড়া ফেলে দিয়েছিলেন স্প্যাস্কি।

আরও পড়ুন: Asia Cup 2025: পাকিস্তান আসবে না, এশিয়া কাপ আয়োজনের দায়িত্ব হারাতে পারে ভারত

১৯৩৭ সালে লেনিনগ্রাদে (বর্তমান সেন্ট পিটার্সবার্গ)জন্মগ্রহণ করেন স্প্যাস্কি (Boris Spassky)। শৈশব থেকেই অসামান্য প্রতিভার অধিকারী ছিলেন তিনি। ১৮ বছর বয়সে বিশ্ব জুনিয়র চ্যাম্পিয়নশিপ (World Junior Chess Championship) জিতে সর্বকনিষ্ঠ গ্র্যান্ডমাস্টার হয়েছিলেন। ১৯৬২ থেকে ১৯৭৮ সাল পর্যন্ত সোভিয়েতের হয়ে দাবা অলিম্পিয়াড (Chess Olympiad) প্রতিনিধিত্ব করেছেন তিনি। পরে ফ্রান্সের (France) হয়েও তিনবার খেলেছেন তিনি।

১৯৬৯ সালে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন (World Champion) হয়েছিলেন স্প্যাস্কি (Boris Spassky)। সেই সময় বিশ্ব ক্রমতালিকায় (World Chess Ranking) দ্বিতীয় স্থানে ছিলেন এই কিংবদন্তি দাবাড়ু। আর সদ্য ক্যান্ডিডেটস (Chess Candidates Tournament) জিতে আসা ফিশার তখন ছিলেন বিশ্বের এক নম্বর দাবাড়ু। একদিকে দুই দেশের মধ্যে ঠান্ডা যুদ্ধ অন্যদিকে সোভিয়েত ইউনিয়ন তখন বছরের পর বছর ধরে চৌষট্টি খোপের খেলায় একচেটিয়া আধিপত্য বিস্তার করে আসছে — এইরকম একটা মুহূর্তে স্প্যাস্কি বনাম ফিশারের লড়াই এক অন্য উত্তেজনা সৃষ্টি করেছিল সারা বিশ্বে। ম্যাচের শুরুতে স্প্যাস্কি এগিয়ে থাকলেও ১২.৫-৮.৫ ব্যবধানে শেষ হাসি হাসেন ফিশার এবং ১৯৪৮ সাল থেকে দাবার মঞ্চে সোভিয়েতের একচেটিয়া আধিপত্যের অবসান ঘটান।

নিউজ পোল বাংলা ফেসবুক পেজের লিংক: https://www.facebook.com/share/1EA79Afcw5/

ফিশারের সঙ্গে তাঁর (Boris Spassky) বিখ্যাত প্রতিযোগিতা দাবার লোকগাথায় চিরকাল থেকে যাবে। এই নিয়ে বই, তথ্যচিত্র এবং চলচ্চিত্র সহ অসংখ্য সৃজনশীল কাজ হয়েছে। এই ম্যাচটির থেকে অনুপ্রাণিত হয়েই বিখ্যাত মার্কিন ঔপন্যাসিক ওয়াল্টার টেভিস (Walter Tevis) ‘দ্য কুইন্স গ্যাম্বিট’ (The Queen’s Gambit) উপন্যাসটি লেখেন। পরে ২০২০ সালে যা নিয়ে সিরিজ বানায় নেটফ্লিক্স (Netflix)।