নিউজ পোল ব্যুরো: মঙ্গলবার সকালে কসবার হালতুর এক বাড়ি থেকে সোমনাথ, সুমিত্রা এবং তাঁদের সন্তানের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। হৃদয়বিদারক এই ঘটনার সময় সোমনাথ তাঁর ছেলেকে দেহের সঙ্গে বেঁধে গলায় ফাঁস দেন এবং সুমিত্রাও একইভাবে আত্মহত্যা করেন(Kasba Incident)। সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য বিষয়, তাঁদের ঘরের দেওয়ালে একটি ‘সুইসাইড নোট’ (Suicide Note) লেখা ছিল। সেখানে কয়েক জন পরিবারের সদস্যের নাম উল্লেখ করা হয়েছিল, যা থেকে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, সম্পত্তি নিয়ে পারিবারিক বিবাদ (Family Dispute) এই আত্মহত্যার অন্যতম কারণ হতে পারে।
আরও পড়ুন:- Dumdum: অপরাধের মুক্তাঞ্চল হয়ে উঠছে দমদম
সুমিত্রার পরিবারের অভিযোগ, সম্পত্তি নিয়ে বিবাদই এই আত্মঘাতী সিদ্ধান্তের কারণ। তাঁরা সরাসরি সোমনাথের মামা-মামির দিকে আঙুল তুলেছেন। তবে স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশের মতে, আর্থিক অনটন এবং পাওনাদারদের (Money Lenders) চাপও সোমনাথকে মানসিকভাবে বিপর্যস্ত করেছিল। প্রতিবেশীদের দাবি, তাঁদের বাড়িতে পাওনাদাররা আসতেন এবং টাকা চেয়ে চাপ দিতেন। যদিও তাঁরা নিজের চোখে কিছু দেখেননি, কিন্তু এ নিয়ে এলাকায় বহু কথা শোনা যাচ্ছিল। ফলে তদন্তকারীরা আর্থিক দিকটিকেও (Financial Troubles) গুরুত্ব দিয়ে দেখছেন। এই মর্মান্তিক ঘটনার(Kasba Incident) পর কসবা থানায় (Kasba Police Station) দুটি পৃথক অভিযোগ (FIR) দায়ের করা হয়। প্রথম অভিযোগটি দায়ের করেন সুমিত্রার দিদি সুপর্ণা ভৌমিক। তিনি সোমনাথের মামা প্রদীপ ঘোষাল এবং মামি নীলিমা ঘোষালের বিরুদ্ধে আত্মহত্যায় প্ররোচনা এবং অপরাধমূলক ষড়যন্ত্রের (Criminal Conspiracy) অভিযোগ এনেছেন। দ্বিতীয় অভিযোগটি করেন সুমিত্রার বাবা বিশ্বনাথ ভৌমিক, যেখানে তিনি অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তির বিরুদ্ধে খুনের (Murder) অভিযোগ দায়ের করেন।
নিউজ পোল বাংলা ফেসবুক পেজের লিঙ্ক:- https://www.facebook.com/share/164mWXbsyp/
হালতু কাণ্ডে(Kasba Incident) এরপর পুলিশের জালে পড়লেন ব্যাঙ্কের লোন রিকভারি এজেন্ট (Loan Recovery Agent)। সুইসাইড নোটে (Suicide Note) তার নাম থাকার ভিত্তিতেই তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে সূত্রের খবর। অভিযুক্ত চঞ্চল মুখোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি লোন আদায়ের (Loan Recovery) নামে প্রয়াত সোমনাথ রায় ও তার পরিবারকে মানসিকভাবে চাপে ফেলার পাশাপাশি অপমানজনক ভাষায় কথা বলেছিলেন। সূত্রের খবর, সোমনাথ রায় একটি বেসরকারি ব্যাঙ্ক থেকে ১০ লক্ষ টাকা লোন (Bank Loan) নিয়েছিলেন। কিন্তু লোনের বকেয়া পরিশোধে সমস্যায় পড়েছিলেন তিনি। সেই সূত্র ধরেই ব্যাঙ্কের তরফে লোন রিকভারি এজেন্ট চঞ্চল মুখোপাধ্যায় তার উপর চাপ সৃষ্টি করছিলেন। অভিযোগ, শুধু ফোনেই নয়, তিনি সরাসরি সোমনাথের বাড়িতে গিয়ে হেনস্তা (Harassment) করতেন এবং কটূক্তি করতেন। এসবের ফলেই মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছিলেন সোমনাথ, এমনটাই দাবি মৃতের পরিবারের।