PM Modi: ১৪ বছর খালি পায়ে! অবশেষে মোদির হাতে জুতো পরলেন ভক্ত

দেশ

নিউজ পোল ব্যুরো: ১৪ বছরের পুরনো এক প্রতিজ্ঞার আজ সমাপ্তি ঘটল এক অভাবনীয় আবেগঘন মুহূর্তে। হরিয়ানার (Haryana) কাইথালের বাসিন্দা রামপাল কাশ্যপ ২০১০ সালে একটি প্রতিজ্ঞা করেছিলেন—যতদিন না নরেন্দ্র মোদি (PM Modi) দেশের প্রধানমন্ত্রী হবেন, ততদিন তিনি কোনও জুতো পরবেন না। সেই প্রতিজ্ঞা রক্ষা করতে গিয়ে দীর্ঘদিন খালি পায়ে পথ চলেছেন তিনি গ্রীষ্মের উত্তাপ হোক কিংবা শীতের কাঁপুনি।

আরও পড়ুন: Narendra Modi: সৌরবিদ্যুৎ কেন্দ্রের উদ্বোধনে মোদী!

এদিন যমুনা নগরের এক সরকারি অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (PM Modi) সঙ্গে দেখা হওয়ার সুযোগ পান রামপাল। ঘটনাটি যখন মোদির (PM Modi) কানে পৌঁছায়, তিনি নিজে এগিয়ে এসে আলাদা করে রামপালের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। শুধু তাই নয়। রীতিমতো ভালোবাসায় আপ্লুত হয়ে প্রধানমন্ত্রী নিজ হাতে রামপালকে (Rampal) একজোড়া জুতো পরিয়ে দেন। এই মুহূর্তটি ধরা পড়ে যায় ক্যামেরায়। আর মুহূর্তেই ভাইরাল সোশাল মিডিয়ায় (Social Media)।

মোদি এক্স হ্যান্ডেলে (X-Handle) লেখেন, “আজ তোমাকে জুতো পরালাম। কিন্তু ভবিষ্যতে আর কখনও এমন প্রতিজ্ঞা করবে না। সমাজের জন্য কাজ করো। নিজেকে কষ্ট দিও না।”

নিউজ পোল বাংলা ইউটিউব লিঙ্ক: https://youtube.com/@newspolebangla?si=mYrQvXTBQ1lG3NFT

প্রধানমন্ত্রীর এই মানবিক রূপ দেখে দেশবাসীও আপ্লুত। রামপালের এই ভক্তি যেমন অসাধারণ, তেমনই মোদির প্রতিক্রিয়া প্রমাণ করে দিল। নেতা আর জনতার সম্পর্ক শুধুই রাজনৈতিক নয়, তাতে থাকে অনুভব, শ্রদ্ধা আর গভীর মানবিকতা। এই ভালোবাসাই এক নেতাকে করে তোলে জনগণের নেতা। আর এই মুহূর্তগুলোই হয়ে ওঠে ইতিহাসের পাতায় অমর।

২০০১ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত নরেন্দ্র মোদি গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন। এরপর ২০১৪ সালে তিনি ভারতের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন। তাঁর মুখ্যমন্ত্রী থাকার সময় গুজরাটে নানা উন্নয়নমূলক কাজ ও রাজনৈতিক বিতর্ক দেখা দেয়। প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর মোদি জাতীয় ও আন্তর্জাতিক অঙ্গনে প্রভাবশালী একজন নেতা হিসেবে উঠে আসেন। তাঁর নেতৃত্বে ভারত সরকারের নীতি ও কার্যক্রমে অনেক পরিবর্তন আসে, যার মধ্যে রয়েছে অর্থনৈতিক সংস্কার, ডিজিটাল ভারত কর্মসূচি, স্বচ্ছ ভারত অভিযান ও আন্তর্জাতিক সম্পর্কের উন্নয়ন। তাঁর প্রশাসনকে কেউ কেউ প্রশংসা করেছেন, আবার কেউ সমালোচনা করেছেন, বিশেষ করে ধর্মনিরপেক্ষতা ও মানবাধিকার ইস্যুতে। তবুও তাঁর জনপ্রিয়তা বহাল থাকে।