Indo-China : ভারতীয় পণ্যে ছেয়ে যাবে চিনের বাজার! এক হচ্ছে ড্রাগন-হাতি!

breakingnews আন্তর্জাতিক ব্যাবসা বানিজ্য

নিউজ পোল ব্যুরো: শেষপর্যন্ত কি তাহলে শুরু হয়েই গেল ড্রাগন আর হাতির নাচ? মার্কিন রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্পের (Donald Trump) নয়া শুল্কনীতির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে ভারতকে পাশে পেতে (Indo-China) ‘ড্রাগন’ আর ‘হাতি’র উপমাই ব্যবহার করেছিলেন চিনের বিদেশমন্ত্রী ওয়াং ই। ট্রাম্পের সৌজন্যে সারা বিশ্বে যে শুল্ক যুদ্ধের (Tariff War) পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে তা মোকাবিলা করার উপায় হিসেবে ওয়াং বলেছিলেন, “ড্রাগন আর হাতিতে একসঙ্গে নাচিয়ে দিতে হবে।” নয়াদিল্লির চিনা রাষ্ট্রদূত জু ফেইহংয়ের মন্তব্যে এবারে সেই নাচ শুরু হওয়ার ইঙ্গিতই পাওয়া যাচ্ছে। ফেইহং জানিয়েছেন চিনের বাজারে আরও বেশি পরিমাণে ভারতীয় পণ্য আমদানি করা হবে।

আরও পড়ুনঃ Modi-Musk: ভারতে টেসলা? মোদি-মাস্ক ফোনে ইঙ্গিত গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তনের!

মার্কিন দাদাগিরি রুখতে নয়াদিল্লিকে দীর্ঘ দিন ধরেই পাশে চাইছে বেইজিং। মনে করা হচ্ছে, গত বছর রাশিয়ায় চিনা রাষ্ট্রপতি শি জিনপিংয়ের (Xi Jinping) সঙ্গে ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর (Narendra Modi) বৈঠকের পর থেকেই দুই দেশের (Indo-China) সম্পর্কে অগ্রগতি ঘটেছে। আর এবারে চিনের বাজারে আরও বেশি পরিমাণে ভারতীয় পণ্য আমদানি করার ঘোষণা করে দিলেন ফেইহং। যা অনেকাংশেই মনে করিয়ে দিচ্ছে সেই বাংলা প্রবাদটি। ঠেলায় না পড়লে বিড়াল গাছে ওঠে না।

বিগত কয়েক বছরের পরিসংখ্যান বলছে, ভারতের বাজারে চিনা পণ্যের আমদানি যে হারে বেড়েছে সেই তুলনায় চিনে মোটেই রফতানি বাড়াতে পারেনি নয়াদিল্লি। তাছাড়া একাধিক শিল্পের কাঁচামালের জোগানের ক্ষেত্রে চিনের ওপর অনেকাংশেই নির্ভরশীল ভারতীয় বিভিন্ন সংস্থা। এই অবস্থায় ফেইহংয়ের ঘোষণা কতটা তাৎপর্যবাহী তা আর বলার দরকার পড়ে না। একটি সর্বভারতীয় সংবাদ মাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে চিনা রাষ্ট্রদূত এও জানান যে, “চিন এবং ভারত যে কোনও আধিপত্যকামী পণ্য সুরক্ষা নীতির বিরুদ্ধে।”

নিউজ পোল বাংলা ইউটিউব চ্যানেলের লিংক: https://youtube.com/@newspolebangla?si=Ygy6shQubNhWstbr

উল্লেখ্য, গত অর্থবছরে চিনের সঙ্গে ভারতের বাণিজ্য ঘাটতি ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় সাড়ে ৮ লক্ষ কোটি টাকা। এর কারণ ভারতসহ বেশ কয়েকটি দেশের ওপর চিনের উচ্চ শুল্কহার এবং কঠিন নিয়ন্ত্রণ বিধি। মূলতঃ আভ্যন্তরীণ বাজারে চিনের কড়া নিয়ন্ত্রণের জন্যই ভারত সেদেশে রফতানি বাড়াতে পারছে না বলে মনে করা হচ্ছে। তবে এবারে ফেইহংয়ের ঘোষণার পর দুই দেশের (Indo-China) বাণিজ্যিক সমীকরণ কেমন দাঁড়ায় সেটাই দেখার।