Emergency anniversary : ইতিহাসের অন্যতম কালো অধ্যায়, জরুরি অবস্থা জারির ৫০ বছরে প্রধানমন্ত্রী মোদীর নিশানায় কংগ্রেস

breakingnews দেশ

নিউজ পোল ব্যুরো: কংগ্রেসের শাসনকালে জরুরি অবস্থা জারির আজ ৫০ বছর (Emergency anniversary) পূর্ণ হচ্ছে। জরুরি অবস্থার ৫০তম বার্ষিকী উপলক্ষে কেন্দ্র সংবিধান হট দিবস হিসেবে পালনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এই দিনেই জরুরি অবস্থা নিয়ে কংগ্রেসকে নিশানা করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (Narendra Modi)। ভারতের গণতান্ত্রিক ইতিহাসের অন্যতম কালো অধ্যায় হিসেবে অভিহিত করে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বলেন, কংগ্রেস কর্তৃক জরুরি অবস্থা আরোপ কেবল সংবিধানের চেতনা লঙ্ঘন করেনি বরং “গণতন্ত্রকে আটকে রেখেছে”।

জরুরি অবস্থার ৫০তম বার্ষিকী উপলক্ষে একাধিক পোস্ট করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। প্রধানমন্ত্রী মোদী বলেছেন, কোনও ভারতীয় কখনও ভুলবে না যে এই সময়কালে সংসদের কণ্ঠস্বর কীভাবে রুদ্ধ করা হয়েছিল এবং আদালতকে নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করা হয়েছিল। একের পর এক পোস্টে প্রধানমন্ত্রী মোদী লিখেছেন,
“এই দিনে, ভারতীয় সংবিধানে অন্তর্ভুক্ত মূল্যবোধগুলিকে বিলুপ্ত করা হয়েছিল, মৌলিক অধিকার স্থগিত করা হয়েছিল, সংবাদপত্রের স্বাধীনতা বিলুপ্ত করা হয়েছিল এবং বেশ কয়েকজন রাজনৈতিক নেতা, সমাজকর্মী, ছাত্র এবং সাধারণ নাগরিককে জেলে পাঠানো হয়েছিল। মনে হচ্ছিল যেন কংগ্রেস সরকার গণতন্ত্রকে আটকে রেখেছে!” এদিন প্রধানমন্ত্রী মোদী জরুরি অবস্থার বিরুদ্ধে দৃঢ়ভাবে লড়াই করা প্রত্যেককে অভিনন্দনও জানিয়েছেন।

আরও পড়ুনঃ Digha Rathyatra: রথযাত্রার প্রথম পালক সৈকত শহরে, মুখ্যমন্ত্রীর হাত ধরে নতুন যাত্রার সূচনা!

প্রসঙ্গত, তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর দ্বারা আরোপিত জরুরি অবস্থা জারি করা হয়েছিল যা প্রায় দুই বছর ধরে ১৯৭৫ সালের জুন থেকে ১৯৭৭ সালের মার্চ পর্যন্ত চলেছিল। জরুরি অবস্থা জারির আজ ৫০ বছর (Emergency anniversary) পূর্ণ হওয়া উপলক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী এদিন উল্লেখ করেছেন কীভাবে বিতর্কিত ৪২তম সংবিধান সংশোধনীর মাধ্যমে আদালতকে নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করা হয়েছিল। ১৯৭৬ সালের সংশোধনী ক্ষমতা কেন্দ্রীভূত করতে এবং বিচার ক্ষমতাকে সীমিত করার জন্য ব্যাপক পরিবর্তন আনা হয়েছিল। মোদী এক্স হ্যান্ডেলে আরও লিখেছেন, “কোনও ভারতীয় কখনও ভুলতে পারবে না যে, কীভাবে আমাদের সংবিধানের চেতনা লঙ্ঘিত হয়েছিল, সংসদের কণ্ঠস্বর রুদ্ধ করা হয়েছিল এবং আদালতগুলিকে নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করা হয়েছিল। ৪২ তম সংবিধান সংশোধনী তাদের কুকর্মের প্রধান উদাহরণ। গরিব, প্রান্তিক এবং নিপীড়িতদের বিশেষভাবে নিশানা করা হয়েছিল, তাদের মর্যাদাকে অপমান করা হয়েছিল।”

নিউজ পোল বাংলা ইউটিউব লিঙ্ক:- https://youtube.com/@newspolebangla?si=mYrQvXTBQ1lG3NFT