মন্দারমণিকে ঢেলে সাজাবে সরকার

জেলা ভ্রমণ রাজ্য

নিউজ পোল ব্যুরো: পশ্চিমবঙ্গের অন্যতম জনপ্রিয় সমুদ্র পর্যটন কেন্দ্র মন্দারমণি। সোনালি বালুকাবেলা, বিশাল সমুদ্র, এবং শান্ত পরিবেশ পর্যটকদের মন জয় করে নিয়েছে বহু বছর ধরে। দীঘার পর মন্দারমণিও পর্যটকদের কাছে একটি প্রিয় ডেস্টিনেশন। কিন্তু পর্যটকদের আরও বেশি আকর্ষণ করতে এবং মন্দারমণির পর্যটন শিল্পকে উন্নত করার লক্ষ্যে এবার রাজ্য সরকার নিয়েছে এক বড় পদক্ষেপ।

মন্দারমণিকে আরও আকর্ষণীয় করে তুলতে রাস্তাঘাট, পানীয় জলের ব্যবস্থা, বিভিন্ন উদ্যান এবং অন্যান্য মনোরম স্থান তৈরি করার পরিকল্পনা করেছে রাজ্য সরকার। এই পরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্য সম্প্রতি একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক আয়োজিত হয়েছিল মন্দারমণিতে। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন প্রশাসনের উচ্চপদস্থ আধিকারিক ও হোটেল মালিকরা। দ্রুত এবং কার্যকরী পদক্ষেপ নেওয়ার লক্ষ্যে এই বৈঠকে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। মন্দারমণিতে ছোট-বড় প্রায় ২০০টি হোটেল রয়েছে। এর মধ্যে ১৪০টি হোটেল অবৈধ ঘোষণা করে ভাঙার নির্দেশ দিয়েছিল কেন্দ্রের গ্রিন ট্রাইব্যুনাল। তবে, হোটেল মালিকরা এই রায়ের বিরুদ্ধে হাই কোর্টে মামলা করেছেন। মামলার শুনানি এখনও চলছে। এর মধ্যেই রাজ্য সরকার মন্দারমণিকে সাজানোর উদ্যোগ নিয়ে এগোতে শুরু করেছে।

বৈঠকে উপস্থিত ছিলেনএই গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন পূর্ব মেদিনীপুর জেলার জেলাশাসক পূর্ণেন্দু মাজি, রাজ্য দূষণ কন্ট্রোল বোর্ডের অ্যাডিশনাল চিফ সেক্রেটারি রশ্মি সেন, কাঁথি মহকুমাশাসক সৌভিক ভট্টাচার্য, ভূমি দফতরের অতিরিক্ত জেলাশাসক, এবং রামনগর ২ ব্লকের প্রশাসনিক আধিকারিকরা। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন মন্দারমণি হোটেলিয়ার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মীর মমরেজ আলি, সম্পাদক গৌতম দাস, মোস্তাক আলি খান ও অশোক আদক সহ একাধিক হোটেল মালিক।

পরিকল্পনার মূল লক্ষ্য মন্দারমণিকে পর্যটকদের জন্য আরও আকর্ষণীয় ও সুন্দর করে তোলা। পরিবেশের ভারসাম্য বজায় রেখে, পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে এর গুরুত্ব বাড়ানোই সরকারের মূল উদ্দেশ্য। রাস্তাঘাট উন্নয়ন, পর্যাপ্ত পানীয় জল, সাফাই অভিযানের মতো একাধিক উদ্যোগ নেওয়ার কথা ভাবা হচ্ছে। মন্দারমণিকে নতুন রূপে সাজিয়ে তুলতে রাজ্য সরকারের এই পদক্ষেপ কতটা সফল হয়, তা ভবিষ্যতেই জানা যাবে। তবে এই উদ্যোগ মন্দারমণির পর্যটন শিল্পকে আরও সমৃদ্ধ করবে বলেই আশা করা হচ্ছে।