নিউজ পোল বিনোদন ডেস্ক, কলকাতা: চলে গেলেন বিশিষ্ট কীর্তন শিল্পী সীমা আচার্য্য চৌধুরী। গত শুক্রবার রাতে আচমকাই তাঁর দক্ষিণ কলকাতার নাকতলার বাড়িতে হৃদরোগে আক্রান্ত হন। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার আগেই সব শেষ। বয়স হয়েছিল ৬৫ বছর।
কিংবদন্তি কীর্তন শিল্পী ছবি বন্দ্যোপাধ্যায়ের অন্যতম প্রিয় ছাত্রী ছিলেন তিনি। তাঁর স্বামী দেবকুমার আচার্য্য চৌধুরী কয়েকবছর আগে প্রয়াত হয়েছেন। শিল্পী রেখে গেলেন তাঁর একমাত্র পুত্র, পুত্রবধূ ও নাতনিকে। বিবাহ সূত্রে কমিউনিস্ট নেতা ও স্বনামধন্য আইনজীবী প্রয়াত স্নেহাংশু আচার্যের পরিবারের সদস্য সীমা আচার্য্য চৌধুরীর জন্ম ১৯৫৯ সালে কলকাতার কালীঘাটে এক সাঙ্গীতিক পরিবারে। তাঁর বাবা প্রয়াত ফণীভূষণ ভট্টাচার্য্য শরদ ও দোতারা শিল্পী হিসেবে আকাশবাণী কলকাতার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। সীমা আচার্য্য চৌধুরীও আকাশবাণীর যুববাণী বিভাগে গিটার শিল্পী হিসেবে প্রথম অংশগ্রহণ করেন। পরে পুরাতনী বাংলা গান টপ্পা এবং কীর্তন শিল্পী রূপে আকাশবাণী ও দূরদর্শন সহ অন্যান্য মাধ্যমেও অংশগ্রহণ করেন। গীতশ্রী ছবি বন্দোপাধ্যায় তাঁর দক্ষতা দেখে তাঁকে নিজের কাছে রেখে কীর্তন সহ পুরাতনী বিভিন্ন গানে তালিম দিয়েছিলেন।
পরবর্তী ক্ষেত্রে সীমা আচার্য্য কীর্তন প্রশিক্ষক হিসেবে ডাক পেয়েছিলেন রাজ্য সঙ্গীত প্রশিক্ষণ শিবিরে। কর্মসূত্রে সীমা আচার্য্য চৌধুরী কলকাতা দূরদর্শন কেন্দ্রের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। কয়েক বছর আগে প্রযোজনা বিভাগ থেকে অবসর নেওয়ার পর দেশে ও বিদেশে কীর্তন পরিবেশন করতেন। তাঁর সুমধুর কন্ঠ লালিত্যে পুরতনী গান ও কীর্তন এক অপূর্ব মাত্রা লাভ করেছিল। তাঁর এই অকাল প্রয়াণে বাংলা কীর্তন গানের জগতে একটা যুগের অবসান হল বলা যায়।