নিউজ পোল ব্যুরো: খলিস্তানিদের তাণ্ডবের ফলে ব্রিটেনে একাধিক শহরে কঙ্গনা রানাউতের ছবি ‘এমার্জেন্সি’-র প্রদর্শন বন্ধ হয়ে যাওয়ার ঘটনা প্রকাশ্যে এসেছে। ১৯ জানুয়ারি মুক্তি পাওয়ার পর থেকেই ‘এমার্জেন্সি’ সিনেমা বিতর্কের মুখে পড়েছে, বিশেষত শিখ সম্প্রদায়ের একাংশের আপত্তির কারণে।
এই পরিস্থিতিতে, ব্রিটেনের সাংসদ বব ব্ল্যাকম্যান খলিস্তানপন্থীদের তীব্র সমালোচনা করেছেন এবং সিনেমার প্রদর্শন বন্ধের ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেন, ‘বাক-স্বাধীনতা রোধ করার চেষ্টা করা হচ্ছে এবং এটি মোটেই গ্রহণযোগ্য নয়।’ সম্প্রতি লন্ডনের হ্যারো ভ্যু হলে এমার্জেন্সি সিনেমা চলাকালীন খলিস্তানপন্থী কিছু লোক প্রেক্ষাগৃহে প্রবেশ করে ভারতবিরোধী স্লোগান দেওয়া শুরু করে এবং শিখ দাঙ্গার লিফলেট বিলি করে। তাদের স্লোগান ছিল, “ভারত নিপাত যাক”, যা দর্শকদের মধ্যে আতঙ্কের সৃষ্টি করে।
প্রেক্ষাগৃহের মধ্যে প্রবল উত্তেজনা দেখা দেয়, তবে পুলিশ ১০ মিনিটের মধ্যে ঘটনাস্থলে পৌঁছে দর্শকদের নিরাপদে বের করে নিয়ে আসেন। পুলিশের তরফে বলা হয়, তান্ডবকারীদের গ্রেফতার করা হয়নি, কারণ সেখানে কেউ আহত হননি এবং প্রতিবাদের অধিকার সবার রয়েছে। তড়িঘড়ি সিনেমার শো বন্ধ করে দেওয়া হয়, যার মধ্যে বার্মিংহাম, উলভারহ্যাম্পটন এবং ওয়েস্ট লন্ডন রয়েছে।
এই ঘটনার পর কঙ্গনা রানাউত ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন এবং সোশ্যাল মিডিয়ায় মন্তব্য করেছেন, ‘একজন ব্রিটিশ সাংসদ আমার বাক-স্বাধীনতার জন্য আওয়াজ তুলেছেন, কিন্তু আমাদের ভারতীয় নেতা-মন্ত্রী এবং নারীবাদীরা কেন চুপ?’ তিনি আরও বলেন, ‘এটা আমাদের জন্য একটি বড় দুঃখজনক পরিস্থিতি, যখন অন্য একটি দেশ আমাদের স্বাধীনতার পক্ষে দাঁড়ায়, কিন্তু আমাদের দেশের নেতারা নিজেদের অবস্থান পরিষ্কার করেন না।’ এদিকে, পাঞ্জাবের কিছু অংশে ‘এমার্জেন্সি’ সিনেমা প্রদর্শিত না হওয়ার খবরও পাওয়া গেছে, যার মধ্যে পাতিয়ালা, অমৃতসর ও ভাটিন্ডার মত শহর রয়েছে। যদিও কঙ্গনা এই সমস্ত প্রতিবন্ধকতার বিরুদ্ধে কঠোর প্রতিবাদ করেছেন, তিনি বলেন, ‘এটা একটি সাংস্কৃতিক স্বাধীনতার বিরুদ্ধে আক্রমণ।’ সামগ্রিকভাবে, ‘এমার্জেন্সি’ ছবির প্রদর্শন বন্ধ হওয়ার ঘটনা শুধু সিনেমা কিংবা একটি চলচ্চিত্রের বিষয় নয়, বরং এটি বাক-স্বাধীনতা এবং সাংস্কৃতিক মুক্তিরও প্রশ্ন হয়ে দাঁড়িয়েছে।