নিউজ পোল ব্যুরো: শুধু কথা দিয়ে প্রশাসন চালানো যায় না। তার জন্য কাজ করতে হয়। এমন কাজ, যা মানুষের জীবন বদলে দিতে পারে।’ মানুষের জীবন বদলে দিতেই ডায়মন্ড হারবারের তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের(Abhishek Banerjee) মানবিক কর্মসূচি ‘সেবাশ্রয়’ (Sebaashray Camp)। যা রাজ্যের স্বাস্থ্যক্ষেত্রে অন্য দিগন্ত খুলে দিয়েছে। গত ২ জানুয়ারি থেকে নিজের লোকসভা কেন্দ্রে বিশেষ স্বাস্থ্য পরিষেবা চালু করেছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়৷ সেখানে বিধানসভা ধরে ধরে সাধারণ মানুষকে বিনামূল্যে চিকিৎসা পরিষেবা দেওয়া হচ্ছে। এই স্বাস্থ্য পরিষেবার মাধ্যমে বহু সাধারণ মানুষ উপকৃত হচ্ছেন। জনকল্যাণ মূলক কাজ হিসেবে আম জনতার কাছে এই প্রকল্প ব্যপক প্রভাব ফেলেছে। রাজনৈতিক মহলের অনেকেই মনে করছে চিকিৎসা ক্ষেত্রকে আরও হাতে কাছে এনে দেওয়ার এই প্রচেষ্টা ভোট ব্যঙ্কেও প্রভাব বিস্তার করবে।
এবার তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের তৎপরতায় এ রাজ্যের দুই শিশুর উন্নততর চিকিৎসার জন্য ব্যাঙ্গালোরের নিমহ্যান্স এ পাঠানো হলো। উন্নততর চিকিৎসার জন্য এরাজের দুই শিশুকে ব্যক্তিগত উদ্যোগে ব্যাঙ্গালোরে পাঠালেন অভিষেক। এর আগেও এই ধরণের কাজ করেছেন অভিষেক। তাঁর হাত ধরেই দ্রুত হয়েছে এক শিশুর ওপেন হার্ট সার্জারি। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ই শিশুটির জন্য সেবাশ্রয়ের(Sebaashray Camp) মাধ্যমে বিনামূল্যে চিকিৎসার ব্যবস্থা করেছেন। বলা বাহুল্য যে, সরকারি হাসপাতালের পাশাপাশি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ে ‘সেবাশ্রয়’-এর মাধ্যমে দেওয়া স্বাস্থ্যপরিষেবা সাধারণ মানুষের কাছে দ্রুত গ্রহণযোগ্য হয়ে উঠেছে। ডায়মন্ড হারবারের মানুষদের কাছে এখন স্বাস্থ্যপরিষেবা নেওয়া আরও সজহ হয়ে গিয়েছে। জনকল্যাণের ক্ষেত্রে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই পদক্ষেপ নিঃসন্দেহে বাংলার স্বাস্থ্যপরিষেবার ক্ষেত্রে মাইলফলক তৈরি করবে। এই সেবাশ্রয়-এ কেবল তৃণমূল সাংসদের সংসদীয় এলাকার নয় রাজ্যের বহু মানুষই বিনামূল্যে চিকিৎসা পরিষেবা নিচ্ছেন। অনেকেই বলছেন,গোটা ভারতবর্ষকে পথ দেখাক তৃণমূল সাংসদের এই মানবিক পদক্ষেপ। প্রতিদিন এই ক্যাম্পগুলিতে হাজার হাজার মানুষ ভিড় জমাচ্ছেন। এখনই পর্যন্ত ‘সেবাশ্রয়’ থেকে সেবা পেয়েছেন লক্ষাধিক মানুষ। স্বাস্থ্য শিবিরগুলিতে গিয়ে গিয়ে সাধারণ মানুষের সঙ্গে দেখাও করছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এটা যে শুধু প্রতিশ্রুতি তা একেবারেই যে নয় তা মানুষের ভিড়ই প্রমাণ করেছে।
জানিয়ে রাখা ভাল, স্বাস্থ্য শিবিরের মাধ্যমে ‘চলমান হাসপাতাল’ পরিষেবায় মিলছে, হিমোগ্লোবিন-সহ রক্তের নানাবিধ পরীক্ষা-সহ ডেঙ্গি পরীক্ষার সুবিধা। তৎক্ষণাৎ ডায়গনিস্টিক টেস্টও রয়েছে। ৭৫ দিন ধরে চলবে এই কর্মসূচিটি। ৮০০ চিকিৎসক যোগ উপস্থিত থাকবেন। প্রতি শিবিরে অন্তত দু’জন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক থাকছেন। সঙ্কটজনক রোগীদের জরুরি চিকিৎসার প্রয়োজন হলে ১২টি সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালে পাঠানো হবে। অভিষেকের সেবাশ্রয়ে মানুষের বিপুল সাড়া যেন নতুন করে অক্সিজেন দিচ্ছে ঘাসফুল শিবিরকে। মানুষের একেবারে কাছে গিয়ে সেবা করার এই পদক্ষেপ ২০২৬-এর ভোটব্যঙ্কে বিরাট প্রভাব বিস্তার করতে পারে। এমনটাই মত রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের বড় অংশের। তবে যাই হোক আলোচনা সমালোচনা তো চলতেই থাকবে। তবে এই সব কিছুর মধ্যেই প্রতিদিনের তথ্য তুলে ধরছেন তৃণমূল সাংসদ। সেই সঙ্গেই অভিষেক জানিয়েছেন তিনি সেবাশ্রয়ের মাধ্যমে স্বাস্থ্য পরিষেবাকে মানুষের ‘দুয়ারে’ পৌঁছে দিতে চান।