Illegal soil excavation: বেআইনি মাটি কাটার জেরে বিপর্যস্ত কৃষিজমি

জেলা রাজ্য

নিউজ পোল ব্যুরো: উত্তর দিনাজপুর জেলার কালিয়াগঞ্জ ব্লকের ভান্ডার এলাকায় কৃষি জমি থেকে অবৈধভাবে মাটি কাটার(Illegal soil excavation) গুরুতর অভিযোগ উঠেছে। সরকারি নিয়ম উপেক্ষা করে ৭-৮ ফুট গভীর গর্ত করে মাটি কাটার কাজ চলছে প্রকাশ্যে। স্থানীয়দের অভিযোগ(Illegal soild exploitation), সরকারি অনুমোদন ছাড়াই এইভাবে মাটি কাটার ফলে কৃষি জমির চরিত্র বদলে যাচ্ছে, যা পরবর্তীতে জলাশয়ে পরিণত হচ্ছে। প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, ইটভাটার জন্য মাটি কাটার সরকারি অনুমতি বা চালান দেখিয়েই এই অনিয়মের রমরমা ব্যবসা চলছে। যদিও সরকারি অনুমতি অনুযায়ী নির্দিষ্ট পরিমাণ মাটি তোলার নিয়ম রয়েছে, বাস্তবে তা অমান্য করেই একাধিক ট্রাক্টর ও জেসিবি মেশিন(JCB Machine) নামিয়ে ব্যাপক হারে মাটি তোলা হচ্ছে। পূর্ব ভান্ডার গ্রামে এমনই চিত্র দেখা গিয়েছে, যেখানে দীর্ঘদিন ধরে মাটি কাটার কারণে কৃষি জমি জলাশয়ে পরিণত হয়েছে(Illegal soil excavation)।

স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, প্রশাসনের নাকের ডগায় এই অবৈধ মাটি কাটার কাজ চলছে। এদিন দেখা যায়, কৃষিজমির মধ্যে জেসিবি মেশিন নামিয়ে মাটি কাটার কাজ চলছে জোরকদমে(illegal land exploitation)। ৭-৮টি ট্রাক্টরে(tractor) করে মাটি পাশের একটি ইটভাটায় পাঠানো হচ্ছে। যদিও মাটি কাটার অনুমতি থাকার দাবি করেছে এক ট্রাক্টর চালক, তবে বাস্তব চিত্র একেবারেই ভিন্ন। এক ট্রাক্টর চালক ব্লক ভূমি সংস্কার(illegal land exploitation) দপ্তরের প্রদত্ত একটি চালানের ফটোকপি দেখায়। সেই চালান অনুযায়ী, ১৮-২১ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত চার দিনের জন্য ২৪ ট্রলি মাটি তোলার অনুমতি প্রদান করা হয়েছে। অথচ, বাস্তবে কমবেশি দুই বিঘা জমি(illegal land exploitation) থেকে অন্তত ৫০০ ট্রলি মাটি কেটে নেওয়া হয়েছে। যা অনুমতির সীমার চেয়ে বহুগুণ বেশি।

এই বিষয়ে শ্রমিক মলয় বর্মণ জানান, ‘‘আমরা শুধুমাত্র কাজ করি, কীভাবে মাটি কাটার অনুমতি নেওয়া হয়, সেটা আমাদের জানা নেই।’’ একই কথা বলেন শ্রমিক মিন্টু বর্মণও। তিনি বলেন, ‘‘আমরা দৈনিক মজুরির ভিত্তিতে কাজ করি, আমাদের কাজ দেওয়া হলে আমরা করি।’’ এভাবে কৃষিজমি ধ্বংস(Illegal soil excavation) হলে পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট হবে এবং কৃষি উৎপাদনেও নেতিবাচক প্রভাব পড়বে। এলাকাবাসীরা প্রশাসনের দ্রুত হস্তক্ষেপ দাবি করেছে, যাতে এই ধরনের বেআইনি কার্যকলাপ বন্ধ করা যায় এবং কৃষকদের জমি রক্ষা করা যায়।