নিউজ পোল ব্যুরো: গত মঙ্গলবার কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ের বৈসরন ভ্যালিতে (Pakistan On Pahalgam Attack) ঘটে গেল এক হৃদয়বিদারক ঘটনা। জঙ্গিরা নির্বিচারে ২৬ জন নিরপরাধ মানুষের ওপর গুলি চালায়। যার ফলে পুরো উপত্যকা রক্তে ভেসে যায়। মৃত্যুর মুখে (Pakistan On Pahalgam Attack) পতিত ওই মানুষগুলোর দেহ ছড়িয়ে পড়ে চারপাশে। যার দৃশ্য দেখেও রিক্ত ও শোকে স্তব্ধ হয়ে পড়েছেন স্থানীয়রা। বেশ কিছু মানুষ তো তাদের সন্তানদের কোলে নিয়ে দিশাহারা হয়ে ছুটে যাচ্ছিলেন। প্রতিটি বাড়ি থেকে আসছিল একে একে নিথর দেহ। এই নির্মম হামলার পর ভারতীয় প্রশাসন পাকিস্তানের বিরুদ্ধে একাধিক কড়া ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। গত বৃহস্পতিবার বিহারের মধুবনিতে (Bihar Madhubani) একটি বক্তৃতার সময়, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি পাকিস্তানকে ‘শেষ পরিণতি’ পর্যন্ত ধাওয়া করার হুঁশিয়ারি দেন।
আরও পড়ুন: Support Terror Groups : সন্ত্রাসবাদী গোষ্ঠীগুলিকে সমর্থনের কথা স্বীকার পাক প্রতিরক্ষামন্ত্রীর
জঙ্গি হামলার (Pakistan On Pahalgam Attack) পরপরই, ভারত সরকারের পক্ষ থেকে একাধিক সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। পাকিস্তানের সঙ্গে সিন্ধু জলবণ্টন চুক্তি স্থগিত করে দেয় ভারত, যা এই অঞ্চলের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। শুধু তাই নয়, পাকিস্তানি নাগরিকদের জন্য ভিসা নীতিতে কড়াকড়ি আনা হয় এবং ভারতীয় মাটিতে থাকা পাকিস্তানি দূতাবাসের সংখ্যাও কমিয়ে দেওয়া হয়।
পাকিস্তান (Pakistan) এর পাল্টা প্রতিক্রিয়া জানিয়ে বলে, যদি সিন্ধু চুক্তি স্থগিত করা হয়, তবে শিমলা চুক্তির উপরও তাদের কোনো বাধ্যবাধকতা থাকবে না। পাকিস্তান (Pakistan) সরকারের পক্ষ থেকে একটি বিবৃতিতে বলা হয়, “যদি সিন্ধু জলবণ্টন চুক্তির আওতায় পাকিস্তানের জল প্রবাহের পথ রুদ্ধ করা হয়, তবে তা যুদ্ধের মতো আচরণ হিসেবে গণ্য হবে।”
এই পরিস্থিতির মধ্যে, পাকিস্তানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী খ্বজা আসিফ সম্প্রতি একটি সাক্ষাৎকারে একটি চাঞ্চল্যকর বক্তব্য দেন। তিনি জানান, পাকিস্তান দীর্ঘ সময় ধরে আন্তর্জাতিক শক্তিগুলির সঙ্গে সম্পর্কের কারণে জঙ্গিদের প্রশিক্ষণ ও অর্থ সাহায্য দিচ্ছে। তাঁর কথায়, “হ্যাঁ, আমরা তিন দশক ধরে আমেরিকা ও ব্রিটেনের জন্য এই কাজ করেছি।”
নিউজ পোল বাংলা ইউটিউব লিঙ্ক: https://youtube.com/@newspolebangla?si=mYrQvXTBQ1lG3NFT
এছাড়া, তিনি ভারত-পাকিস্তান সম্পর্ক (India-Pakistan Relation) নিয়ে এক বিবৃতিতে বলেন, দুটি পারমাণবিক শক্তিধর দেশ যদি পরিপূর্ণ যুদ্ধের দিকে এগিয়ে যায়, তবে তা বিশ্বব্যাপী উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়াবে। যদিও তিনি দাবি করেছেন, পাকিস্তানে লস্কর-এ-তৈবার মতো জঙ্গি সংগঠনের আর কোনো অস্তিত্ব নেই।