নিজস্ব প্রতিনিধি, পূর্ব মেদিনীপুর : খাদ্য সুরক্ষা দফতরের বিধিনিষেধ শিকেয় তুলে দীঘার হোটেলগুলি এতদিন রমরমিয়ে চলেছে। বেশ কিছুদিন ধরে খাবারের অভিযোগ উঠেছে হোটেলগুলোর বিরুদ্ধে। সেই অভিযোগের বিরুদ্ধে মঙ্গলবার জেলা খাদ্য সুরক্ষা দফতরের একটি টিম দিঘার হোটেলগুলিতে অভিযান চালায়। এরপর ২৪টি হোটেলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়। সূত্রের খবর, ওই হোটেলগুলিতে বাসি খাবার বিক্রি করা হত। হোটেলের লাইসেন্স বাজেয়াপ্ত করেছে খাদ্য সুরক্ষা দফতর।
উল্লেখ্য, বেশ কিছু ধরে পর্যটকদের থেকে খাবারের অভিযোগ ওঠে দীঘার হোটেলগুলির বিরুদ্ধে। সেই সূত্রে গত মঙ্গলবার জেলা খাদ্য সুরক্ষা আধিকারিক বিশ্বজিৎ মান্নার নেতৃত্বে বিশেষ অভিযান চালানো হয় দীঘার হোটেলগুলিতে। অভিযান চালিয়ে তাঁরা রীতিমতো তাজ্জব বনে যায়। ২৪টি হোটেলের বিরুদ্ধে স্বাস্থ্য বিধিনিষেধ না মানার অভিযোগ উঠেছে। হোটেলগুলোর বিরুদ্ধে এরমধ্যে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। জেলা খাদ্য সুরক্ষা দফতরের আধিকারিক বিশ্বজিৎ মান্না বলেন, ‘মোট ২৫টি হোটেলে অভিযান চালানো হয় তার মধ্যে ২৪টি হোটেলে খাদ্য সুরক্ষা বিধি মানা হয়নি। জেলা প্রশাসনকে এই বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে। আইন না মানার শাস্তি পেতে হবে হোটেলগুলোকে। তাদের লাইসেন্স বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে ও তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে।’
খাদ্য সুরক্ষা দফতর হোটেলগুলিতে অভিযান চালিয়ে দেখেন, হোটেলের রান্নাঘর থেকে প্রচুর পরিমান বাসি ও পচে যাওয়া মাছের ঝোল, তড়কা, বিরিয়ানি উদ্ধার করেছে। সেই সঙ্গে রেফ্রিজেটর থেকে উদ্ধার হয় বেশ কিছুদিন আগের কাঁচা মাছ ও মাংস। এছাড়া রান্নায় বেআইনি রং ও অপরিস্রুত জল ব্যবহার করা হয়। যা স্বাস্থ্যের পক্ষে অত্যন্ত হানিকারক। সবদিক অবাক করা বিষয় অনেক হোটেলে ‘ফুড সেফ্টি এন্ড স্ট্যান্ডার্স অথরিটি অফ ইন্ডিয়ার’ থেকে কোন ছাড়পত্র নেই তাদের।