নিজস্ব প্রতিনিধি:- দুয়ারে বসন্ত,মানে বসন্ত একেবারেই দোরগোড়ায় দাঁড়িয়ে আছে,কদিন পরেই আমাদের সকলের মধ্যে বিরাজ করবে তার নিজের মতো করে। আর এমন সময় নদীয়ার হরিণঘাটার (Haringhata ) মৌলানা আবুল কালাম আজাদ ইউনিভার্সিটি ক্যাম্পাসে ঘটলো এমন এক ঘটনা, যা দেখে নেটিজেনদের চোখ উঠেছে কপালে ! হরিণঘাটায় (Haringhata) প্রযুক্তি শিক্ষার নাম করে ক্লাসরুমেই রীতিমতো বিয়ের আসর বসিয়ে ফেললেন বিভাগীয় প্রধান ও প্রথম বর্ষের ছাত্র। এমন এক প্রজেক্ট তৈরী হয়েছে যা দেখে অনেকেই ভাবছেন – পড়াশোনা করতে এসে যদি বিয়ে হয়ে যায়, তবে ডিগ্রীর কী দরকার ?
https://thenewspole.com/2025/03/26/sajna-danta-recipes-bengali/
ঘটনার ভিডিও ভাইরাল হতেই ক্যাম্পাসে শুরু হয়েছে গুঞ্জন। ভিডিওতে দেখা গিয়েছে, গত ১৬ জানুয়ারি ক্লাসরুমে ব’সে বিয়ের আসর। ক্লাসরুমের পোডিয়ামে শিক্ষিকা ও ছাত্র একসঙ্গে দাঁড়িয়ে, সাক্ষীদের সামনে একে অপরকে স্বামী – স্ত্রী হিসেবে গ্রহণ করছে ! মালাবদল সিঁদূরদান সবই হয়েছে নিয়ম মেনে। ক্যাম্পাসে শিক্ষার পাশাপাশি এখন কি তবে বিয়ের ট্রেনিংও শুরু হল ?
বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষের হাতে এই ভিডিও পৌঁছাতেই শোরগোল পরে যায়। গঠিত হয় তদন্ত কমিটি। আর এরপরই বিভাগীয় প্রধান শিক্ষিকাকে তৎক্ষণাৎ ছুটিতে পাঠানো হয়। তবে শিক্ষিকার দাবি – এটা নাকি প্রজেক্টের অংশ। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে – কোন প্রজেক্টে এমন বিয়ের আসর বসে ? শুভদৃষ্টি, মালাবদল, সিঁদুরদান সবকিছুই হয় নিয়ম মেনে ? প্রযুক্তির শিক্ষার সঙ্গে এ কেমন এবং কোন ধরণের গবেষণা? প্রশ্ন উঠছে ছাত্র ছাত্রীদের প্রযুক্তি শেখানোর জন্য বিয়ে করানোর কী দরকার ? ক্লাসরুমে প্রজেক্টের নামে এমন অভিনব ‘বিয়ের আয়োজন’ দেখে ছাত্রদের নতুন চিন্তার উদয় হয়েছে – পরীক্ষায় ফেল করলে এবার হয়তো ডিভোর্সের প্রজেক্টও শুরু হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে এই বিষয় এখনও পর্যন্ত কিছু জানানো হয়নি। তবে ক্যাম্পাস জুড়ে এখন একটাই আলোচনা – প্রজেক্ট করলেই কি বিয়ে হয়ে যাবে ? যদি তাই হয়, তবে পরের ব্যাচের ছাত্ররা নিশ্চয়ই এখন থেকেই প্রজেক্ট করতে উৎসাহিত হবে।
এই ঘটনার পর অনেকেই মজা করে বলছেন, ভবিষ্যতে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিলেবাসে হয়তো ‘বিয়ে ও দাম্পত্য জীবন’ নামক নতুন কোর্স চালু করা হবে। সেমিস্টারের শেষে হয়তো কেউ নববধূ, কেউ বর, আর কেউ হয়তো এক্স হয়ে বেরোবে ! ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে তদন্ত চলছে, বসন্ত আগত তাই ক্যাম্পাসের আকাশে এখন বইছে প্রেমের বাতাস ! তবে এটা প্রযুক্তির উন্নতি নাকি শিক্ষার নতুন চরম পরীক্ষা – তা সময়েই বলবে শেষ কথা।