নিউজ পোল ব্যুরো: ভূমিকম্প (Earthquake) বরাবরই এক প্রাকৃতিক দুর্যোগ, যা মুহূর্তের মধ্যে বদলে দিতে পারে মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা। বিশেষ করে উপকূলবর্তী অঞ্চলে (Coastal Areas) ভূকম্পন অনুভূত(Kolkata Earthquake) হলে মানুষের মনে স্বাভাবিকভাবেই উদ্বেগ তৈরি হয়। মঙ্গলবার সকালেই এমনই এক ভূমিকম্পের (Seismic Activity) সাক্ষী থাকল পশ্চিমবঙ্গের (West Bengal) বিস্তীর্ণ অংশ, যার কেন্দ্রস্থল ছিল বঙ্গোপসাগর (Bay of Bengal)। মঙ্গলবার সকাল ৬টা ১০ মিনিটে আচমকাই কেঁপে ওঠে কলকাতা (Kolkata) ও দক্ষিণবঙ্গের (South Bengal) বিস্তীর্ণ এলাকা। জাতীয় ভূকম্পন(Kolkata Earthquake) পরিমাপকেন্দ্র (National Center for Seismology) জানিয়েছে, এই ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল রিখটার স্কেলে (Richter Scale) ৫.১। কম্পনের উৎসস্থল বঙ্গোপসাগরের গভীরে, প্রায় ৯১ কিলোমিটার নিচে।
শুধু পশ্চিমবঙ্গ নয়, এই কম্পন অনুভূত হয়েছে বাংলাদেশ (Bangladesh) এবং ওড়িশার (Odisha) উপকূলীয় এলাকাগুলিতেও। জাতীয় ভূকম্পন পরিমাপকেন্দ্র যে মানচিত্র প্রকাশ করেছে, তাতে স্পষ্টভাবে বোঝা যাচ্ছে, এই ভূমিকম্প প্রধানত উপকূলীয় অঞ্চলগুলিতেই (Seismic Zones) বেশি অনুভূত হয়েছে। এখনও পর্যন্ত এই ভূমিকম্পের ফলে কোনও ক্ষয়ক্ষতির (Damage Report) খবর পাওয়া যায়নি। তবে ভূমিকম্পের পরে সমুদ্রের (Sea Condition) অবস্থার কোনও পরিবর্তন হয়েছে কি না, তা এখনও সরকারি স্তরে (Government Report) জানানো হয়নি। যেহেতু ভূমিকম্পের উৎসস্থল বঙ্গোপসাগরে, তাই সুনামির (Tsunami) সম্ভাবনা রয়েছে কি না, সেটাও বিশেষজ্ঞরা খতিয়ে দেখছেন। এই ভূমিকম্পের আগে, গত সপ্তাহেই দিল্লি (Delhi) এবং সংলগ্ন অঞ্চলে ভূমিকম্প হয়, যার মাত্রা ছিল ৪। ওই কম্পনের কেন্দ্রস্থল ছিল দিল্লির ধৌলাকুঁয়া (Dhaula Kuan), ভূগর্ভের পাঁচ কিলোমিটার গভীরে।
এছাড়াও, গত মাসেই তিব্বতের (Tibet) নেপাল সীমান্তের কাছে শক্তিশালী ভূমিকম্প হয়, যার মাত্রা ছিল ৭.১। সেই কম্পন উত্তরবঙ্গ (North Bengal), শিলিগুড়ি (Siliguri), সিকিম (Sikkim) এবং উত্তর ভারতের (North India) কয়েকটি অঞ্চলে অনুভূত হয়েছিল। উত্তরবঙ্গের পরে এবার দক্ষিণবঙ্গের (South Bengal) উপকূলীয় অঞ্চলও ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল। যদিও ক্ষয়ক্ষতির তেমন কোনও খবর নেই, তবুও বিশেষজ্ঞরা এই অঞ্চলের ভূকম্পনের(Kolkata Earthquake) প্রবণতা (Earthquake Prone Zone) নিয়ে পর্যালোচনা শুরু করেছেন। সামনের দিনগুলিতে আরও কোনো কম্পন অনুভূত হতে পারে কি না, সে বিষয়ে নজর রাখা হচ্ছে।