Sperm Whale Language: তিমির মুখেও ভাষা! কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তায় প্রকাশ পেল স্পার্ম হোয়েলের ‘ফোনেটিক বর্ণমালা’

বিজ্ঞান

নিউজ পোল ব্যুরো: সমুদ্রের গভীরে তিমিদের মধ্যে চলে বিশেষ এক ধরনের যোগাযোগ, যা মানুষের ভাষার মতোই জটিল। দাঁতযুক্ত তিমিদের মধ্যে সবচেয়ে বড় প্রজাতি, স্পার্ম হোয়েল (Sperm Whale), একে অপরের সঙ্গে যোগাযোগ করতে ব্যবহার করে এক ধরনের স্বরযুক্ত শব্দ(Sperm Whale Language), যাকে গবেষকেরা বলছেন ‘কোডা (Coda)’। এই শব্দ অনেকটা মোর্স কোড (Morse Code)-এর মতো শোনায়, যা তাদের নিজস্ব ভাষার মতোই কাজ করে।এমআইটি (MIT) -এর কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স ল্যাবরেটরির (Computer Science and Artificial Intelligence Laboratory) গবেষক প্রত্যুষা শর্মা ও তাঁর দল এই রহস্য উদ্‌ঘাটনের জন্য কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (Artificial Intelligence, AI) ব্যবহার করছেন।

আরও পড়ুন:- https://thenewspole.com/2025/02/26/the-conflict-between-ai-and-natural-intellect/

স্পার্ম হোয়েলদের ভাষার(Sperm Whale Language) নিজস্ব ছন্দ ও গঠন রয়েছে। প্রত্যুষার মতে, তাদের তৈরি শব্দ অনেকটা বিটবক্সিং (Beatboxing)-এর মতো, যেখানে গলার স্বর ব্যবহার করে ড্রামের মতো ছন্দ তৈরি হয়। গবেষণায় দেখা গেছে, তিমিরা ভিন্ন ভিন্ন কাজের জন্য আলাদা কোডা (Coda) ব্যবহার করে। উদাহরণস্বরূপ: নিজেদের পরিচয় দেওয়ার জন্য এক ধরনের কোডা। দলের সদস্যদের আনুগত্য স্বীকারের জন্য অন্য কোডা। শিকারের সময় বিশেষ ইকোলোকেশন (Echolocation) ব্যবহৃত হয়। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সাহায্যে ভাষার বিশ্লেষণ।‌ গবেষক দল তিমিদের স্বর বিশ্লেষণে ডিজিটাল অ্যাকোস্টিক রেকর্ডিং ট্যাগ (Digital Acoustic Recording Tag) ব্যবহার করেছেন, যা মাইক্রোফোন (Microphone), অ্যাক্সিলোমিটার (Accelerometer), জাইরোস্কোপ (Gyroscope), ম্যাগনেটোমিটার (Magnetometer) দ্বারা তিমির আচরণ, গতিবিধি ও শব্দ সংরক্ষণ করে।আগে ধারণা করা হত, স্পার্ম হোয়েলরা মাত্র ২১ ধরনের কোডা ব্যবহার করে, কিন্তু ৮,৭০০টিরও বেশি রেকর্ড বিশ্লেষণের পর গবেষকেরা ১৫৬ ধরনের কোডা শনাক্ত করেছেন।

নিউজ পোল বাংলা ফেসবুক পেজের লিঙ্ক:- https://www.facebook.com/share/164mWXbsyp/

গবেষণায় চারটি মৌলিক উপাদান খুঁজে পাওয়া গেছে, যা একসঙ্গে একটি ফোনেটিক বর্ণমালা (Phonetic Alphabet) তৈরি করে। তিমিরা এই বর্ণমালাকে অসংখ্য শব্দ ও বাক্য তৈরিতে ব্যবহার করে, ঠিক যেমন মানুষ করে থাকে। প্রত্যুষা ও তাঁর দলের গবেষণা নেচার কমিউনিকেশনস (Nature Communications)-এ প্রকাশিত হয়েছে। এই গবেষণা শুধু তিমির ভাষা(Sperm Whale Language) বোঝার নয়, বরং প্রাণিজগতে ভাষাবিজ্ঞান (Linguistics) এবং মেশিন লার্নিং (Machine Learning)-এর যুগান্তকারী প্রয়োগের একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় হয়ে উঠেছে।