নিউজ পোল ব্যুরো: বিধাননগর পৌরনিগমের (Bidhannagar Municipal Corporation) ২০ নম্বর ওয়ার্ডের এক নাবালিকা বিধাননগর মহকুমা হাসপাতালে (Bidhannagar Hospital) কন্যা সন্তানের জন্ম দেওয়ার পরই রহস্যজনকভাবে নিখোঁজ হয়ে গিয়েছে। এই ঘটনার পর থেকেই হাসপাতালের নিরাপত্তা ব্যবস্থা (hospital security) নিয়ে উঠছে একাধিক প্রশ্ন। হাসপাতাল সূত্রে খবর, বিধাননগর পৌরনিগমের ২০ নম্বর ওয়ার্ডের একটি অ্যাম্বুলেন্স (ambulance) করে পৌরনিগমের স্বাস্থ্য দফতরের (Health Department) আধিকারিকরা ওই নাবালিকাকে হাসপাতালে ভর্তি করেন। পরবর্তীতে সে কন্যা সন্তানের (baby girl) জন্ম দেয়। খোঁজখবর করতে গিয়ে জানা যায়, নিজের সৎ বাবার (stepfather) লালসার শিকার হয় ওই নাবালিকা।
আরও পড়ুন:- Tollygunge: শহরে ধর্ষণের শিকার ৬ বছরের নাবালিকা
প্রথমে অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার পর নাবালিকা তার সন্তান নষ্ট (abortion) করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। কিন্তু পরবর্তীকালে বিষয়টি পৌরনিগমের আধিকারিকদের কানে গেলে তারা দ্রুত বিষয়টি তদন্ত করতে শুরু করেন। তখনই নজরে আসে, ওই নাবালিকা প্রসব যন্ত্রণায় (labour pain) ভুগছে। এরপর তাকে দ্রুত হাসপাতালে স্থানান্তরিত (shifted to hospital) করা হয়। কন্যা সন্তানের জন্ম দেওয়ার পরই রহস্যজনকভাবে হাসপাতাল থেকে নিখোঁজ হয়ে যায় ওই নাবালিকা। কীভাবে সে হাসপাতালের(Bidhannagar Hospital) নজরদারি এড়িয়ে পালিয়ে যেতে পারল, তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের তরফে এই ঘটনায় বিধাননগর উত্তর থানায় (Bidhannagar North Police Station) নিখোঁজের অভিযোগ (missing complaint) দায়ের করা হয়েছে। এখনও পর্যন্ত পুলিশ বা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ নাবালিকার কোনো সন্ধান (whereabouts) পায়নি। এই ঘটনায় হাসপাতালের নিরাপত্তা ব্যবস্থা ও নজরদারি (monitoring system) নিয়েও প্রশ্ন উঠছে। এক নাবালিকা প্রসূতি কীভাবে নজর এড়িয়ে বেরিয়ে গেল, তা নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
নিউজ পোল বাংলা ফেসবুক পেজের লিংক:- https://www.facebook.com/share/164mWXbsyp/
পুলিশ হাসপাতালের সিসিটিভি ফুটেজ (CCTV footage) খতিয়ে দেখছে, যাতে বোঝা যায় কীভাবে এবং কখন নাবালিকাটি হাসপাতাল(Bidhannagar Hospital) ছেড়েছে। পাশাপাশি, হাসপাতালের কর্মীদেরও (hospital staff) জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে, কেউ কোনো কিছু লক্ষ্য করেছিল কি না। এখন প্রশ্ন একটাই—নাবালিকা কোথায় গেল? সে কি কারও সহায়তায় পালিয়েছে, নাকি কেউ তাকে নিয়ে গিয়েছে? কন্যা সন্তানটিও তার সঙ্গে আছে কি না, তাও নিশ্চিত নয়। এই ঘটনার পর থেকে স্থানীয় প্রশাসন ও পৌরনিগমের (Municipal Corporation) আধিকারিকরা নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও কড়াকড়ি করার বিষয়ে ভাবনাচিন্তা শুরু করেছে। তবে এখন সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো নিখোঁজ নাবালিকার দ্রুত সন্ধান পাওয়া।